ঢাকা, ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১০ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৩৫৬

বিলুপ্তির পথে গ্রামীণ ঐতিহ্য ঢেঁকি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৫৪ ১০ জুন ২০২০  

আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। একসময় এটি ছিল গ্রাম অঞ্চলে চাল ভাঙার একমাত্র মাধ্যম। গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত এতে চাল ভাঙতেন গ্রাম্য বধূরা।

এখন ঢেঁকির সেই ধুপধাপ শব্দ শোনা যায় না। আগে অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে ধান কাটতে মেতে উঠতেন কৃষকরা।  ঘরে ঘরে উঠতো নতুন ধান। 

তা থেকে চাল ভানায় ব্যস্ত হয়ে পড়তেন কৃষাণিরা। পরে সেই চালের গুঁড়া করতেন তারা। আর ওই গুঁড়া দিয়ে পিঠাপুলি, ফিরনি পায়েস তৈরি করার ধুম পড়ে যেত। 

ঢেঁকি নিয়ে একসময় গানও বাঁধা হতো। রচিত হতো অসংখ্য গান-ও বউ চাল ভাঙে রে, ঢেঁকিতে পাড় দিয়া...। সেই আবহ এখন আর নেই। ধান ভানা, চাল গুঁড়া, বড়ি বানানো, আটা তৈরি-ঢেঁকির যাবতীয় কাজ এখন সম্পন্ন হচ্ছে ইঞ্জিনচালিত মেশিনে।

সভ্যতার প্রয়োজনে ঢেঁকির আবির্ভাব হয়েছিল। আবার প্রযুক্তিগত উত্কর্ষেই সেটির বিলুপ্তি ঘটেছে। মূলত কুল, বাবলা, জাম ইত্যাদি গাছের কাঠ দিয়ে এটি তৈরি করা হতো। 

সাধারণত, ঢেঁকির দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন থেকে চার হাত। আর পৌনে এক হাত চওড়া। মাথার দিক একটু পুরু এবং অগ্রভাগ সরু থাকে। এর মাথায় এক হাত কাঠের ওচা বা দস্তা বিদ্যমান। তাতে লাগানো থাকে লোহার গুলা। এর মুখ একটি নির্দিষ্ট স্থানে পড়ে। সেই স্থানকে গড় বলে। 

ধান ভানতে ন্যূনতম দুজন লোকের প্রয়োজন হয়। ঢেঁকি ছাঁটা আউশ চালের পান্তা ভাতের পুষ্টিমান অনেক। এটি খুব স্বাদেরও। বর্তমান প্রজন্ম সেই স্বাদ থেকে বঞ্চিত। কারণ, পুরোপুরি বিলুপ্তির পথে এ গ্রামীণ ঐতিহ্য।

বাংলাদেশকে জানো বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর