ঢাকা, ১৪ মে বুধবার, ২০২৫ || ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
good-food

বিয়ের পর একইসঙ্গে মা ও বউয়ের মন জয়ের কৌশল

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৫১ ১৩ মে ২০২৫  

বিয়ের পর পুরুষদের জন্য সবচেয়ে বড় মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের জায়গা হয়ে ওঠে—মা না বউ, কার কথা শুনবেন? একদিকে যিনি জন্ম দিয়েছেন, লালন করেছেন, ভালোবেসেছেন; অন্যদিকে যিনি নিজের পরিবার ছেড়ে, স্বপ্ন নিয়ে জীবনসঙ্গী হিসেবে এসেছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেক ছেলেই পড়েন চাপে—একজনকে খুশি করতে গেলে আরেকজনের মন খারাপ হয়ে যায়। তাহলে কি ভারসাম্য বজায় রেখে দুজনের মন জয় করা সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবশ্যই সম্ভব—সচেতন সিদ্ধান্ত আর আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখলেই মিলতে পারে সমাধান।

 

১. নিজেকে সরিয়ে দিন, কিন্তু দায়িত্বহীনভাবে নয়:

মা ও স্ত্রীর মধ্যকার মতবিরোধে পক্ষ নেওয়া খুব সহজ, কিন্তু তা দীর্ঘমেয়াদে অশান্তি ডেকে আনতে পারে। তাই এমন পরিস্থিতিতে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে আপনি পরিস্থিতি বোঝার সময় নিন। আপনি সরাসরি বলতে পারেন- “তোমরা দুজনই আমার আপন, আমি চাই তোমরা নিজেরা বিষয়টা আলোচনা করে বুঝে ফেলো।” এতে করে কোনো পক্ষেই আপনি ‘খারাপ’ হয়ে উঠবেন না।

 

২. সময় নিয়ে বিবেচনা করুন, আবেগে নয়:

স্ত্রী বা মা কেউ যদি আপনাকে জোর করে সিদ্ধান্ত দিতে বলেন, তখন আবেগে ভেসে গিয়ে কিছু না বলে ঠান্ডা মাথায় উত্তর দিন- “আমি একটু ভেবে দেখি, তোমাদের দুজনের কথাই শোনার পর বলব।” এরপর দুই পক্ষের যুক্তি শুনে চিন্তা করে, দুজনের মতেরই ভালো ও খারাপ দিক বিশ্লেষণ করুন। সরাসরি একজনকে সঠিক বলবেন না- বরং বুঝিয়ে বলুন কেন একটি বিষয় বাস্তবতা অনুযায়ী বেশি গ্রহণযোগ্য।

 

৩. আলাদা করে কথা বলুন:

একসঙ্গে বিষয় মীমাংসার চেষ্টা সবসময় ফলপ্রসূ না-ও হতে পারে। বরং আলাদা আলাদা করে কথা বললে আপনি তাদের ব্যক্তিগত অনুভূতির জায়গাটা বুঝতে পারবেন। যেমন, কোথায় ডিনার করা হবে তা নিয়ে মতবিরোধ হলে- মায়ের কাছে গিয়ে বলুন, “তুমি যেখানে যেতে চাও, সেটা খুব ভালো জায়গা। তবে ওরও কিছু পছন্দ আছে, আমরা দুজনের মাঝামাঝি একটা জায়গা ভাবতে পারি।” একইভাবে স্ত্রীর সঙ্গেও এমন আলোচনায় করুন। এতে কারও অপমান হবে না, বরং সমাধানের পথ তৈরি হবে।

 

৪. বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ নিন:

এই ধরনের পরিস্থিতিতে সদ্য বিবাহিত কেউ যদি খুব চাপে থাকেন, তবে বাবার মতো কাছের অভিভাবক, আত্মীয় বা বিশ্বাসযোগ্য বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন। তারা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আপনাকে এমন কিছু পরামর্শ দিতে পারেন, যা সত্যিই কাজে আসবে। তবে সব পরামর্শ অন্ধভাবে গ্রহণ করা যাবে না। বরং নিজের পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে, মানসিক ভারসাম্য রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

 

৫. গুরুত্ব দিন সম্পর্কের ‘মানুষটার’ উপরে, মতের নয়:

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—মা ও স্ত্রী দুজনই আপনাকে ভালোবাসেন। মতভেদ হলেও ভালোবাসায় কোনো ঘাটতি নেই। তাই কে ‘ঠিক’ আর কে ‘ভুল’ সেটা নিয়ে না ভেবে বরং ভাবুন, কীভাবে সম্পর্কটা আরেকটু মধুর রাখা যায়।