ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১২৪৩

রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনযোগ্য: ড. জাহিদ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:২১ ১৪ জুন ২০১৯  

রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিকট অতীতের বাজেটের তুলনায় অনেকটাই বাস্তবসম্মত, এটা অর্জনযোগ্য। সেদিক থেকে বাজেট যে তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছিল, এবার তাতে একটু ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। এবার ভ্যাট আইন পরিবর্তন ও তার বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এতে রাজস্ব আহরণের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে তা অনিশ্চিত। টার্নওভার ট্যাক্সের থ্রেশোল্ড বাড়ানো হচ্ছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে কর ও শুল্ক হ্রাস-বৃদ্ধি হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা আদায় হবে কিনা সেটা নির্ভর করছে করের আওতা বৃদ্ধির সক্ষমতার ওপর।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বললেন, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন।

এখানে ব্যাংকঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের উল্লেখযোগ্য অংশই ব্যাংকঋণ হিসেবে ধরা হয়েছে। দুই বছর আগে এটি করা হলেও সাধুবাদ দেয়া যেত। কারণ তখন ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য ছিল। তার পরও সে সময় সঞ্চয়পত্রের ওপর অপ্রয়োজনীয় নির্ভরশীলতা ছিল। এতে সুদের বোঝা বেড়েছে। ফলে সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোটাই কাম্য ছিল।

আরেকটা উপায় হলো তফসিলি ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেয়া। সাধারণত আর কোনো উপায় না থাকলে এ পথে যেতে হয়। তবে এভাবে ঋণ নেয়াটা বিপদ ডেকে আনতে পারে। কারণ মুদ্রা সরবরাহ বাড়িয়ে দিলে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাবে।

সব মিলিয়ে একটা উভয়সংকট রয়েছে। আমরা একদিকে সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমাচ্ছি, আবার সেটা করতে গিয়ে ব্যাংকঋণ বাড়াতে হবে। আর এমন একটা সময় ব্যাংকের দ্বারস্থ হচ্ছি, যখন তারল্য সংকটে রয়েছে তারা। এর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে প্রাইভেট সেক্টরে। ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা গেলে এ সমস্যা হতো না। এজন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সক্ষমতা থাকতে হবে।

গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে ব্যয় বৃদ্ধি করতে হবে। শহরকে বাসযোগ্য করতে হলে তো গ্রামকেও বাসযোগ্য করতে হবে। সেজন্য গ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সুবিধাও বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ।