ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৭৯৬

রোহিঙ্গাদের মোবাইল ফোন বন্ধের নির্দেশ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:০৬ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

রোহিঙ্গাদের কাছে মোবাইল ফোন সুবিধা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অপারেটরদের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিটিআরসি)। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী সাত দিনের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় মোবাইল সিম বিক্রি-ব্যবহার বন্ধসহ সবরকম সুবিধা বন্ধ করতে হবে। রোবববার বিটিআরসি এই নির্দেশনা দিলেও সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
কী বলা হয়েছে বিটিআরসির নির্দেশনায়
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গুরুত্ব বিবেচনা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও জন সুরক্ষার স্বার্থে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যেন কোনোরকম মোবাইল সুবিধা না পায়, সেজন্য আগে অপারেটরদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিটিআরসির ক্যাম্প পরিদর্শন কমিটি, গোয়েন্দা সূত্র ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে রোহিঙ্গাদের হাতে ব্যাপক হারে সিম/রিম ব্যবহারের তথ্য পাওয়া গেছে।
তাই আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো প্রকার সিম বিক্রিসহ সকল প্রকার মোবাইল ফোন সুবিধা বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে বিটিআরসিকে অবহিত করতে হবে। এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর নির্দেশের পর বিটিআরসি এই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
কীভাবে সিম পায় রোহিঙ্গারা
বাংলাদেশে মোবাইল সিম কিনতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের ফটোকপির মতো পরিচয় ও ছবিযুক্ত আইডি কার্ড দরকার হয়। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় তথ্যাগারের সঙ্গে আঙ্গুলের ছাপ মেলার পরেই একজনের নামে সিম বিক্রি করা হয়ে থাকে।
তা হলে রোহিঙ্গারা সিম কিনছেন কীভাবে? কক্সবাজারের সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ বলছেন, প্রথম দিকে যখন রোহিঙ্গারা আসে, তখন বিভিন্ন এনজিও তাদের নানারকম খাদ্য ও দরকারি সামগ্রীর পাশাপাশি মোবাইল ও সিম কার্ড দিয়েছে। তখন অনেক কোম্পানির লোকজন ক্যাম্পে সিম বিক্রি করেছে।
পরবর্তীতে কড়াকড়ি আরোপ করায় বাংলাদেশি নানা ব্যক্তির সঙ্গে টাকা পয়সার চুক্তিতে তাদের নামে সিম কেনা হয় বা সিমের মালিকানা দেয়া হয়। সেসব সিম ব্যবহার করেন রোহিঙ্গারা। বিবিসির কথা হয় সাত বছর ধরে বাংলাদেশে থাকা একজন রোহিঙ্গার সঙ্গে। তিনি তখন বাজার থেকেই সিম কিনেছিলেন। কিন্তু এনআইডি আর আঙ্গুলের ছাপের কড়াকড়ি আরোপ করার পরে বাংলাদেশি একজনের পরিচয়পত্র দিয়ে সিমটি রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নেন। তবে এখনো তিনিই সেটি ব্যবহার করছেন।