ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৯৪৮

পঞ্চগড়ে ঠাণ্ডার রেকর্ড

হিমবাতাসে কাঁপছে দেশ, বিপর্যস্ত জনজীবন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:০৮ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমবাতাসে কাঁপছে পুরো দেশ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জনজীবন। 

হিমালয়ের হিম বাতাসের কারণে আবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। বুধবার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ ছাড়া সীমান্তসংলগ্ন উত্তরের এ জেলায় কুয়াশা ও হিমালয়ের হিম বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শীতের প্রভাবে ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ।


তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। প্রতিদিন উত্তরের হিমেল বাতাসে ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করছে তাপমাত্রা। তবে দিনের তুলনায় রাতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা।


সোমবার সকালে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 


মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলেও শীতের প্রকোপ কমেনি হিমালয়ের কোল ঘেঁষে থাকা উত্তরের জনপদ রংপুরে। শীতের কবল থেকে বাঁচতে গরম কাপড়ের সন্ধানে কম দামের দোকানগুলোতে রাতেও ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষেরা।
 
ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় রাস্তায় হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। আবার ফসলি জমিতে কাজে যেতে পারছে না কৃষকেরা। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।   

হাড়কাঁপা এই শীতেও দু'পয়সা রোজগারের জন্য নগরীর অলিগলিতে খেটে খাওয়া মানুষের অপেক্ষা। তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় স্থবির হলেও সংসারের বড় দায়িত্বের কাছে সব কষ্ট তুচ্ছ করে ছুটছেন কর্মজীবী মানুষেরা।

টানা কয়েকদিন কষ্ট ভোগার পর শীতের কবল থেকে বাঁচতে গরম কাপড়ের সন্ধানে নগরীর আলমনগরে কম দামের দোকানগুলোতে রাতেও ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষেরা।


অন্যদিকে, রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ঘন কুয়াশার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। গরিব মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।  

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ মাসের ২৫-২৬ তারিখের দিকে সারাদেশে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে এবং হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তখন আবারও তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। ২৭-২৮ তারিখের দিকে আরও একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এটি ২-৩ দিন অব্যাহত থাকবে।


আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহীতে শীতের বেশ প্রভাব রয়েছে। সারাদেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা পড়তে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।


আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


আবহাওয়ার সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশে পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।