অনুগ্রহ করে জবাব দিন
ড. মুনীরউদ্দিন আহমদ
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১১:২৬ ২৫ অক্টোবর ২০১৯
১৯৭৬ সাল থেকে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সাথে জড়িত। এই দীর্ঘ সময়ের শিক্ষকতা জীবনে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমাবনতিশীল শিক্ষার মান ও পরিবেশ আমার শিক্ষকতা জীবনের সবচেয়ে বড় হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমার অন্যান্য বন্ধুদের মতো আমিও ১৯৭৪ সালে আমেরিকায় অভিবাসনের সুযোগ পেয়েও যাইনি। সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত আমার প্রাণপ্রিয় জন্মভূমির সেবা করার জন্য শিক্ষকতাকে পেশা বেছে নিয়ে থেকে গেলাম। থেকে গেলাম বটে, বিশ্বমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছিলাম, সেই স্বপ্ন আর পূরণ হল না বা পূরণ হতে দিল না।
আমরা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছিলাম, সেই বিশ্ববিদ্যালয় আর এই বিশ্ববিদ্যালয় এক নয়। সার্বিকভাবে অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়েরও শিক্ষার মানের অনেক অবনতি ঘটেছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত এই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অবনতি কোনোদিন মেনে নিতে পারিনি। এই চরম দুঃখবোধ রয়েই গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একান্ত মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের নিরীহ ও সাধাসিধে ছেলেমেয়েরাই পড়তে আসে। এরা পারতপক্ষে রাজনীতি বা অপকর্মে জড়াতে চায় না। পড়াশোনা করে একটি ভালো ডিগ্রি নিয়ে ভালো একটি চাকরি পাওয়াই থাকে তাদের মূল টার্গেট। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কয়েক দশক ধরে জ্ঞান চর্চার চারণভূমি না হয়ে নোংরা দলীয় রাজনীতির চারণভূমিতে পরিণত হয়ে পড়েছে। এর কারণে সাধারণ শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। স্বেচ্ছায় হোক বা বাধ্য হয়ে হোক অধিকাংশ শিক্ষক ও ছাত্রসমাজের একটি বড় অংশ দলীয় তকমা ধারণ করে উচ্চ পর্যায়ের কর্তাব্যক্তি ও জাতীয় নেতানেত্রীদের সমর্থনপুষ্ট হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নানা অপকর্ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে।
আমি সবসময় আশা করতাম, ছাত্র-শিক্ষক ও জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলো দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনীতিমুক্ত রাখবে। বিশেষ করে সরকার জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালগুলোতে অপরাজনীতির প্রশ্রয় দেবে না, মদদ দেবে না, নিজেদের দূরে রাখবে এবং নিরপেক্ষ থেকে ছাত্র-শিক্ষকদের পড়াশোনা, গবেষণা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে উৎসাহিত করবে। তা না করে স্বাধীনতা পরবর্তী প্রত্যেকটি সরকার ক্ষমতায় নিজেদের অবস্থানকে পাকাপোক্ত করার জন্য ছাত্রশিক্ষকদের হাতিয়ার হিসেবে নোংরা রাজনীতিতে ব্যবহার করেছে।
কয়েক দশক ধরে দেখে আসছি, সরকারী দল না করলে এখন আর বড়-ছোট কোনো পদই পাওয়া যায় না, মেধা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক হওয়া যায় না, প্রমোশন মিলে না, উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশী স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, সরকারী কর্ম কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও অন্যান্য সরকারী বেসরকারী উচ্চপদে যোগ্যতা থাক বা না থাক, দলীয় অনুগত লোক নিয়োগ পাওয়া এখন অলঙ্ঘিত নিয়মে পরিণত হয়েছে।
শুধু দলীয় অপরাজনীতির কারণে স্বাধীনতার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গোলাগুলি, খুনখারাবি, হত্যা, রাহজানিতে অনেক শিক্ষার্থীকে আহত নিহত হয়ে জীবন দিতে দেখেছি। বহুবার বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়েছে, শিক্ষা-দীক্ষার অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সরকার বা প্রশাসন এসব ক্রাইম ঠেকায়নি বা ঠেকাতে পারেনি।
আমরা মনে হয় ভুলেই গেছি- বিশ্ববিদ্যালয় মানব সৃষ্টির জায়গা, দানব সৃষ্টির নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির কারণে দানব সৃষ্টির ফলশ্রুতিতে সর্বশেষ বলি হলেন একটি শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবরার। এই অনাকাঙ্ক্ষিত অপরাজনীতির কারণে আরও নির্মম হত্যাকাণ্ডের জন্য কী আমাদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করে থাকতে হবে? নাকি আবরার হত্যাই হবে শেষ হত্যা?
এখনিই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসমাজ ও সরকারের কাছে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট একটা জবাব জাতি আশা করছে। মানুষ এখন মনে করে, সব ক্ষমতার উৎস মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যেকোনো সময় সম্ভব।
- সাইনোসাইটিস ও পলিপ কি একই সমস্যা?
- শুভশ্রী ‘শেষ সুযোগে’ কী প্রমাণ দিতে চাইলেন?
- দাপুটে জয়ে শুরু ভারত-পাকিস্তানের, বৈভবের ছক্কার রেকর্ড
- নির্বাচন: প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারিত হবে যেভাবে
- ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন আসিফ
- ওসমান হাদীকে গুলি, হামলাকারীদের ধরতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
- গভীর গর্তে পড়া সেই শিশু জীবিত উদ্ধার
- শূন্য হওয়া তিন মন্ত্রণালয় কে পেলেন কোনটা
- জোটসঙ্গী হলেও নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে
- শুক্রবার ভারতে আসছেন মেসি, যা থাকছে আয়োজনে
- ব্লাউজের সঙ্গে জিন্স, জয়া লিখলেন ‘ডোন্ট বি এন অ্যাপল’
- ভাপা পিঠা কখন খাওয়া ভালো?
- ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট
- মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার
- নির্বাচনের প্রস্তুতিতে রাষ্ট্রপতির সন্তোষ, সহযোগিতার আশ্বাস
- ছাড়ে আইফোন কেনার আগে যে ৮ বিষয় দেখা দরকার
- আবারো এমভিপি এ্যাওয়ার্ড জিতলেন মেসি
- কেমন আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, জানালেন সোনিয়া
- পদত্যাগ করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ ও আসিফ
- ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক স্বীকৃতি পেল টাঙ্গাইলের শাড়ি বুননশিল্প
- ৮ ঘণ্টা ঘুম কতটা দরকারি?
- ২০২৫: আলোচিত ৮ সিনেমা
- উইকেটরক্ষক থেকে যেভাবে ‘ভয়ংকর’ পেসার হলেন স্টার্ক
- এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি: মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
- আবু সাঈদ হত্যা: ‘নতুন সেইফ হাউজের’ তথ্য দিলেন হাসনাত
- ইচ্ছাকৃতভাবেই ‘অবৈধ বোলিং অ্যাকশন’ করেছিলেন সাকিব
- বিয়ের কথা জানালেন কেয়া পায়েল
- জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চাওয়া রিট খারিজ
- ‘শিগগিরই’ হানা দেবে শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’
- শীতকালে শরীরে ব্যথা বাড়ে কেন?
- আমাকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে: সালাহ
- শীতকালে শরীরে ব্যথা বাড়ে কেন?
- ‘শিগগিরই’ হানা দেবে শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’
- কেন বাড়ি এসে কাঁদতেন আমির খান?
- জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে বিশাল নিয়োগ
- ফেসবুকে কত ফলোয়ার থাকলে কত টাকা পাবেন?
- বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
- ৮ ঘণ্টা ঘুম কতটা দরকারি?
- আফ্রিদির সঙ্গে প্রেম, আফগান ক্রিকেটারকে বিয়ে করছেন সেই নায়িকা
- কাশির ওষুধ নাকি লেবু-মধু বেশি কার্যকর?
- ভাত বেশি সেদ্ধ হয়ে গেছে? ঝরঝরে করবেন যেভাবে
- বিয়ের কথা জানালেন কেয়া পায়েল
- ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক স্বীকৃতি পেল টাঙ্গাইলের শাড়ি বুননশিল্প
- ছাড়ে আইফোন কেনার আগে যে ৮ বিষয় দেখা দরকার
- মেট্রোরেলের ভ্যাট প্রত্যাহার
- ২০২৫: আলোচিত ৮ সিনেমা
- গভীর গর্তে পড়া সেই শিশু জীবিত উদ্ধার
- এমবাপ্পে-হালান্ডের লড়াই দেখতে মুখিয়ে দেশ্যম
- হাসিনা-কাদের-কামালসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
- ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৪ প্রবাসী ভোটারের নিবন্ধন সম্পন্ন

