ঢাকা, ০৯ নভেম্বর রোববার, ২০২৫ || ২৫ কার্তিক ১৪৩২
good-food

কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের শিক্ষকরা, সারাদেশে ক্লাস বন্ধ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১০:১৯ ৯ নভেম্বর ২০২৫  

দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায় ও শাহবাগে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন সহকারী শিক্ষকরা। ফলে সারাদেশে  ৬৫ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

 

দাবি আদায়ে শনিবার শাহবাগ অভিমুখে কলম হাতে যাত্রা শুরু করেছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। কিন্তু হাতে থাকা সেই কলম মুহূর্তেই ছিটকে যায় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ আর জলকামানের তীব্রতায়। লাঠিচার্জে আহত হন অনেকে। 

 

শাহবাগ এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেখানেই আন্দোলনকারী শিক্ষকদের থামাতে চেষ্টা করে পুলিশ। এ নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশি হামলার পর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ। 

 

তিনি বলেন, “দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আমরা রবিবার থেকে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করব। একই সঙ্গে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।”

 

শামসুদ্দিন মাসুদ বলেন, “শিক্ষকদের ওপর পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়েছে, শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”

 

শিক্ষকদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—১. সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন প্রদান; ২. উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান ৩. সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। কর্মবিরতির কারণে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

 

চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকার প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে এবং ১৩তম গ্রেডে থাকা শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এতে সহকারী শিক্ষকরা বৈষম্যের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন।

 

এদিকে, সহকারী শিক্ষকদের আরেকটি অংশ সরকারের প্রতি ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। এর মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা পরীক্ষা বর্জন ও আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।