হিন্দুরা মৃতদেহ যেভাবে সৎকার করেন
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২০:৪২ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ধর্ম কর্ম, জ্ঞান বিজ্ঞান, ওষুধ পথ্য কোনো কিছুই মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে না। মৃত্যুর পর পৃথিবীতে প্রচলিত স্ব স্ব ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মানুষের মৃতদেহকে চির বিদায় জানায়। এ বিদায়কে কেউ বলে দাফন-কাফন, কেউ বলে সৎকার, শেষকৃত্য আবার কেউ বলে অন্তেষ্টিক্রিয়া বলে।
তবে হিন্দু ধর্মে মৃতদেহের শেষ বিদায়কে সৎকার বা শেষকৃত্য বলা হয়ে থাকে। যখন হিন্দু ধর্মের কোন লোক মারা যায়, তখন ধর্মীয় প্রতানুসারে মৃতদেহের সৎকারের দায়িত্ব মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের উপর বর্তায়। হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী মৃতদেহের স্নান, সংলেপন ও কাপড় দিয়ে ঢেকে, যতটা সম্ভব চন্দন কাঠ বা অন্যান্য জ্বালানি সহযোগে মৃতদেহটি পুড়িয়ে দিতে হয়।
অতঃপর পুড়ে যাওয়া ছাইভস্মের কিছু অংশ গঙ্গায় বিসর্জন দিতে হয়। যাতে গঙ্গার ধারা ঐ ব্যক্তিকে নরক থেকে বের করে স্বর্গে নিয়ে যেতে পারে। এরপর ছাইভস্মের বাকী অংশ কোন প্রবাহমান নদী নালায় ফেলে দেওয়া হয়। সেই সাথে দাহ করার স্থানে একটি স্মারক নির্মাণ করা হয়ে থাকে।
তবে সাধু, পবিত্র পুরুষ, গর্ভবতী মহিলা এবং তিন বছরের কম বয়সী কোন শিশুর মৃতদেহ পুড়ানো হয় না। কারণ, সাধুগণ দেহ থেকে উচ্চ মার্গীয় বিচ্ছিন্নতা অর্জন করেছেন বলে সবার ধারণা। তাই তাদের মৃতদেহ দাহ না করে পদ্ম পদের স্থানে দাফন করা হয়। প্রথা অনুসারে একটি শিশুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দহন পদ্ধদিতে করা হয় না। কারণ তারা নিরীহ ও পবিত্র। তাই তাদের শেষকৃত্য বয়স্কদের থেকে ভিন্ন।
মৃত ব্যক্তির সেই আত্মীয় যে সশরীরে সৎকারে অংশ নিয়েছে, তাকে সপ্তাহান্তে দু'দিন গোসল করতে হয় এবং বস্ত্রাদি ধুয়ে পবিত্র হতে হয়। কারণ, সৎকারাদির কারণে সে অপবিত্র হয়ে যায়। যাদের মৃতদেহকে দাহ করার সামর্থ নেই, তারা হয় মৃতদেহটিকে ভাগারে ফেলে দেয় নতুবা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে তিন কারণে মৃতদেহ দাহ করা হয়ে থাকে-আধ্যাত্মিক,সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক।
আধ্যাত্মিক কারণ
সনাতন ধর্মোনুসারীরা পুনর্জন্মে বিশ্বাসী। এই জগৎ সংসারে পুনরায় জন্মগ্রহন করে মানুষ দুঃখজ্বালা ভোগ করুক এটা কেউ চাই না। তাই যে দেহে তিনি এতদিন বাস করেছেন, সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছেন, পৃথিবীর যাবতীয় সুখের স্বাদ দিয়েছেন সে দেহের প্রতি আকর্ষণ ও মায়া থাকা স্বাভাবিক। দেহের প্রতি আকর্ষণে পুনঃদেহ ধারনের আকাঙ্ক্ষা জাগতে পারে। সে আকাঙ্ক্ষা দূর করার জন্যেই আকর্ষণের বস্তু-দেহটিকে আগুনে পুড়িয়ে নিঃশেষ করা হয়।
সামাজিক কারণ
আর্য ঋষিদের ভবিষ্যৎ চিন্তা অনুযায়ী মানুষ সৃষ্টি হতেই থাকবে। এতে কোনদিন স্থানাভাব দেখা দিতে পারে। তখন মানুষের দেহ না পুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে রাখা হলে ক্রমশ জায়গার অভাব দেখা দিতে পারে। এই কারণেই দেহ পোড়াবার বাবস্থা করা হয়েছে।
বৈজ্ঞানিক কারণ
মানুষ বিভিন্ন কারণে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্য রোগে মৃত্যুবরণই সর্বাধিক। এই সকল মৃতদেহে পচন ধরলে পরিবেশে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এসব চিন্তা থেকেও আর্য ঋষিগণ শব পোড়াবার বিধি দিয়েছে।
মৃতদেহের মুখাগ্নির কারণ
সনাতন ধর্মোনুসারীদের বিশ্বাস, মানুষ মৃত্যুর পর স্বর্গবাসী হয় অথ্যাৎ দেবলোকে যায়। কিন্তু, তিনি সেই স্বর্গ বা দেবলোকে যাবেন কিভাবে? বৈদিক নিয়ম অনুসারে দেবলোকে বা স্বর্গলোকে পাঠাতে হলে দেবতাদের পুরোহিত অগ্নিতে আহুতি দিতে হয়। অগ্নিদেবই সে অর্চনা বা আহুতি দেবলোকে নিয়ে যান। তাই যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন তার প্রাণবায়ু অগ্নিদেবকে আহুতি না দিলে তিনি স্বর্গবাসী হতে পারবেন না। তাই প্রাণবায়ু বের হওয়ার পথ মুখে অগ্নি সংযোগ করে মন্ত্র পাঠ করা হয়।
এছাড়া হিন্দু ধর্মের অনেক প্রথার মতো শেষকৃত্যের সময় আরো প্রথা ও নিয়ম চালু আছে। শাস্ত্রমতে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হলে এই প্রথাগুলো মেনে চলতেই হবে। এর মধ্যে একটা হল, দাহ করার ঠিক আগমূহুরতে মৃতদেহের মাথায় একটা লাঠি দিয়ে জোরে মারতে হবে। অনেকে এই প্রথা পছন্দ না করলেও এর পেছনে কিন্তু শাস্ত্রের সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে।
অধিকন্তু, হিন্দু ধর্ম মতে বিশ্বাস করা হয়, যে কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পরেও আত্মা রয়ে যায়। করণ আত্মা অবিনশ্বর। তাই দাহ করার আগে খুলি ফাটিয়ে আত্মাকে দেহ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পথ করে দেওয়া হয়। না হলে কোনও দুষ্ট তান্ত্রিক সেই আত্মাকে অশুভ কাজে ব্যবহার করতে পারে বলেও অনেকের আশঙ্কা।
আগুনে পোড়ানোর কারণ
হিন্দু ধর্মে আগুনকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মে আগুনের শিখা হলো ব্রহ্মা স্বরূপ৷ আগুনে মৃতদেহের সৎকারে আত্মাকে মলিন পুরনো দেহ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়, যাতে সে নতুন করে পথ চলা শুরু করতে পারে৷ কারণ যতক্ষণ না কিছু বাকি থাকে ততক্ষণ আগুন সবকিছু পুড়িয়ে ফেলে।
এছাড়া কবর দেওয়া হলে শরীরের অভ্যন্তরে থাকা পাঁচটি উপাদান মহাজগতের পাঁচটি উপাদানে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া খুব ধীর গতিসম্পন্ন। দেহকে শ্মশানের দ্বারা দেহের শারীরিক অবশেষগুলো পৃথিবীর মুখ থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলা হয়, যাতে আত্মাটি এগারো দিন পরে মুক্ত হতে পারে শরীরের মায়া কাটিয়ে।
অগ্নি দেবতাকে যেহেতু স্থূল ও সূক্ষ্ম, পদার্থ এবং আত্মার মধ্যে একটি যোগসূত্র হিসাবে দেখা হয়, তাই দেখা এবং অদেখা, জ্ঞাত ও অজানা এবং পুরুষ ও দেবদেবীদের মধ্যে একটি বার্তাবহ, মৃতদেহ শ্মশান দ্বারা নিষ্পত্তি করা হয়। তাই মৃত দেহ হল অগ্নির কাছে নৈবেদ্য এবং ব্যক্তিকে আরও উন্নত ও উজ্জ্বল জীবনে পরিচালিত করার জন্য আন্তরিক প্রার্থনা করা হয়। শ্মশানকে প্রাধান্য দেওয়ার আরেকটি কারণ হ’ল সদ্য বিচ্ছিন্ন সূক্ষ্ম শরীরে
বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি তৈরি করা এবং প্রিয়জনদের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করার পরিবর্তে এটিকে এগিয়ে যেতে প্রেরিত করতে দেওয়া। অধিকন্তু, হিন্দুরা, মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধার বাইরে, শকুন এবং অন্যান্য প্রাণী দ্বারা গ্রাস করার জন্য মৃতদেহগুলো চারপাশে ছেড়ে যেতে চান না।
নদীতীরে দাহ করার রীতি
হিন্দু ধর্ম মতেপবিত্র নদী বিদেহী আত্মার জন্য উত্তম। তাই যে কোন হিন্দু ধর্মাবলম্বী নদীর তীরে মৃত্যুবরণ ও দহন হবার চূড়ান্ত ইচ্ছা পোষণ করে। সে কারণেই বিখ্যাত নদীর তীর ধরে অনেক হিন্দু মন্দির নির্মাণ।
- ৭ এপ্রিল থেকে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত
- ‘বিগ বস’ বিজয়ী হলেন রুবিনা
- নিউজিল্যান্ড সফরে টাইগারদের নতুন স্পন্সর
- ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্যচর্চায় উদ্ভট যত উপকরণের ব্যবহার
- অ্যান্ড্রয়েড ১২ নিয়ে যা জানালো গুগল
- আঙুর না কিসমিস, কোনটি বেশি উপকারী?
- নেদারল্যান্ডস যুবলীগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
- সিনেমা ছাড়লেন শাকিল খান
- ২৪ মে খুলছে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
- পাপুলের এমপি পদ বাতিল
- শিক্ষককে নিজ হাতে পুরস্কার দিতে না পারায় আক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর
- কোন আচার খাবেন?
- রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন জকোভিচ
- সাইফ-কারিনার ঘরে নতুন নবাব
- মিয়ানমারে বিক্ষোভে নিহত ২
- প্রথম ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ পেলেন ৩ ব্যক্তি, ১ প্রতিষ্ঠান
- ফসল দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে কৃষকদের শ্রদ্ধা
- গান দিয়ে ফুটে ওঠে বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
- ভালোবাসায় সিক্ত ভাষা শহীদরা
- অন্যের বউকে বিয়ে করে আলোচনায় নাসির হোসেন
- কোম্পানীগঞ্জে দু`গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের মৃত্যু
- বাংলায় এসএমএস পাঠালে খরচ অর্ধেক
- জুরাইনে শেষ ঠিকানায় এটিএম শামসুজ্জামান
- রান্নায় যেসব তেল ব্যবহার করবেন
- ড. জোহার মৃত্যু গণঅভ্যুত্থানকে প্রভাবিত করে
- চুল অকালে পাকলে যা করবেন
- একুশে ফেব্রুয়ারির নেপথ্যে রয়েছে আরও সংগ্রামের ইতিহাস
- টিকাদানে নিয়ম ভঙ্গে আর্জেন্টিনার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ
- গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ রোধে করণীয়
- ফিরে এলো একুশ, কোন পথে বাংলা ভাষা
- বাংলায় এসএমএস পাঠালে খরচ অর্ধেক
- করোনার টিকা নেওয়ার পর যা করবেন
- প্রকৌশলী ড. মঈনুলকে নিয়ে চলছে দুদকের অনুসন্ধান
- একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ
- ২১শে ফেব্রুয়ারির দিন ঢাকার যেসব পথ দিয়ে চলতে হবে
- শিম খেলে রোগ থাকবে দূরে
- আবার বিয়ে করলেন দিয়া
- চুল অকালে পাকলে যা করবেন
- ২৪ মে খুলছে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
- একুশে ফেব্রুয়ারির নেপথ্যে রয়েছে আরও সংগ্রামের ইতিহাস
- হার্ট ভালো রাখে যে ১০ খাবার
- হিন্দুরা মৃতদেহ যেভাবে সৎকার করেন
- শিশুদের চোখ সংক্রমণের নানা লক্ষণ
- যে কুকুর ৪২ কোটি টাকার মালিক
- আলজাজিরার প্রতিবেদন ফেসবুক-ইউটিউব থেকে সরানোর নির্দেশ
- কোম্পানীগঞ্জে দু`গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের মৃত্যু
- মঙ্গলগ্রহে মহাকাশযান পাঠিয়েছে আমিরাত
- ১ কোটিতে রাজস্থানে মোস্তাফিজ
- ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২১ মে