ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১১ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬৪৮

নানা দুর্ভোগ-রোগ শোকে কাতর বানভাসী মানুষ

মারা গেছে একশ’র বেশি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:৩৯ ২৫ জুলাই ২০১৯  

গেল দুই সপ্তাহে বানের পানিতে ডুবে, সাপের কামড়ে এবং পানিবাহিত রোগে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

 

নানা দুর্ভোগের মধ্যে সময় পার করতে হচ্ছে বানভাসি মানুষকে। প্রতিদিন বহু মানুষ বিভিন্ন রোগের শিকার হচ্ছেন। এরই মধ্যে সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মানুষ ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ২৮ জেলায় ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব জেলার ৭০টি উপজেলাকে ‘দুর্গত এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রায় আড়াই হাজার মেডিকেল টিম কাজ করছে।

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেল্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী গেল ১০ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত দুর্গত এলাকায় ডায়রিয়া, সাপে কাটা, পানি ডোবাসহ বিভিন্ন কারণে ১০১ জন মারা গেছেন।

 

এর মধ্যে জামালপুরে সর্বোচ্চ ৩৩ জন, নেত্রকোণায় ১৬ জন, চট্টগ্রামে ১ জন, কক্সবাজারে ১ জন, বগুড়ায় ৪ জন, গাইবান্ধায় ১৭ জন, লালমনিরহাটে ৪ জন, নীলফামারীতে ২ জন, সুনামগঞ্জে ৫ জন, কুড়িগ্রামে ৫ জন, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ জন করে, টাঙ্গাইলে ৭ জন এবং ফরিদপুরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

এদের মধ্যে পানিতে ডুবে ৮৩ জন, বজ্রপাতে ৭ জন, সাপের কামড়ে ৮ জন, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ১ জন এবং অন্যান্য কারণে ২ জন মারা গেছেন।

অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, গেল দুই সপ্তাহে ১১ হাজার ৩৫৩ জন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৯৫ জন অসুস্থ হয়েছেন; তাদের ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

 

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, ভারতের আসাম, পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল ও মেঘালয়ের বিভিন্ন স্থানে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের শঙ্কা রয়েছে।

 

দেশের নদ-নদীগুলোর ৯৩টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে এখনও ১৮টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বুধবার ৪৩টি পয়েন্টে পানি কমেছে, বেড়েছে ৪৬টি পয়েন্টে।

 

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে; সেই সঙ্গে অবনতি হচ্ছে মধ্যাঞ্চলে।