ঢাকা, ০৮ মে বুধবার, ২০২৪ || ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৯৫২

আকর্ষণীয় পর্যটন তালিকায় পাকিস্তান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৯:১৯ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  


 ব্যয়বহুল ভ্রমণ আর বিলাসবহুল ভ্রমণ এক নয়। বিখ্যাত জায়গা দেখা আর নতুন কোনো অভিজ্ঞতা লাভ করাও এক জিনিস নয়। ঝানু পর্যটক মাত্রই এসব পার্থক্যের কথা জানেন।

 এমন পর্যটকদের জন্যই প্রভাবশালী ফোর্বস ম্যাগাজিন ২০১৯ সালে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এমন পর্যটনস্থলের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে ঘুরতে যাওয়ার  ভ্রমণকারীর জন্য  নতুন অভিজ্ঞতা হবে।

২০১৯ সালে সারা বিশ্বের ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করবে এমন জায়গার তালিকায় পাকিস্তান থাকলেও  প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আঁধারখ্যাত ভারতের কোনো জায়গা নেই।

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, নিরাপদ ভ্রমণের জায়গা হিসেবে ভারতের জায়গা হয়নি ওই তালিকায়। তবে, পাকিস্তানকে দরাজ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে একদা অবিভক্ত কাশ্মীরের অংশ গিলগিট-বাল্টিস্তান প্রদেশকে।

এ ছাড়া ফোর্বসের তালিকায় নাম রয়েছে এই জায়গাগুলোর —
দ্য অ্যাজোর্স আইল্যান্ডস, পর্তুগাল: হলিউড ছবি ‘অবতার’ দেখেছেন? অ্যাজোর্সের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে তুলনা চলে পর্দায় দেখা প্যান্ডোরা উপগ্রহের। অতলান্তিক মহাসাগরেরওই দ্বীপপুঞ্জে আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ, প্রাকৃতিক উষ্ণ প্রস্রবণ, কালো বালির সৈকত রয়েছে। পাহাড় চড়া, স্কুবা ডাইভিং এবং তিমি দর্শনের ব্যবস্থাও রয়েছে।

পূর্ব ভুটান: গত কয়েক বছরে পর্যটকদের কাছে ভুটানের জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বিশেষ করে পশ্চিম ও মধ্য ভুটানের। পুনাখা জোং, দোচুলা পাস, চিমি লাখাং, তাশিচোজং এবং গাংতে গুম্ফাতে সারাবছর ভিড় থাকে পর্যটকদের।

লস কাবোস, মেক্সিকো: বিলাসবহুল রিসোর্ট এবং ফাইভ স্টার হোটেলের জন্য পরিচিত দক্ষিণ মেক্সিকোর লস কাবোস। সপরিবারে পিকনিক করা যাবে লাভার্স বিচে। স্নর্কেলিংয়ের শখ থাকলে তার ব্যবস্থাও রয়েছে সান্তা মারিয়া সমুদ্র সৈকতে। ওয়াইন টেস্টিংয়ের আয়োজন করা হয় বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়। ঢুঁ মেরে দেখতে পারেন সেখানেও।

কলম্বিয়া : শাকিরা, ফনসেকার মতো বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীদের জন্ম কলম্বিয়ায়। তবে, সাধারণ নাগরিকরাও যে কম যান না, কলম্বিয়ার মাটিতে পা রাখলেই তা টের পাবেন। দেয়ালে দেয়ালে চোখে পড়বে স্ট্রিট আর্ট। আর খাদ্যরসিক হলে তো কথাই নেই। নানা ঘরানার খানাপিনার জন্য প্রসিদ্ধ বোগোটা।

ইথিওপিয়া : ক্রিশ্চান, ইহুদি ও মুসলিমরা মিলেমিশে থাকেন এদেশে। তবে নিজেদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই তাদের। বরং ইথিওপিয়ায় ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সেখানকার মানুষ। তাই প্রাচীনকালের বিভিন্ন স্থাপত্য আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেখানে। যার মধ্যে কয়েকটি চতুর্থ এবং পঞ্চম শতকে নির্মিত।


পাকিস্তান : আমেরিকান এবং ইউরোপীয়দের মধ্যে ইদানিং পাকিস্তান নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। গিলগিট ও বাল্টিস্তানের হান্ঝা পার্বত্য উপত্যকা, শিগার এবং কারাকোরাম হাইওয়ে হয়ে খাপলু, অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে ধীরে ধীরে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। রয়েছে প্রায় বরফে মোড়া আত্তাবাদ হ্রদ ও রাকিপোশির মতো এলাকাও।


রুয়ান্ডা : পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছে। বন-জঙ্গল যাদের পছন্দ, তাদের জন্য আদর্শ জায়গা। রয়েছে নানা অভয়ারণ্য। ভিরুঙ্গা পার্বত্য এলাকার ভলক্যানস ন্যাশনাল পার্কের স্থায়ী বাসিন্দা ৩০০ গরিলা। রয়েছে রেইন ফরেস্ট নিয়ুঙ্গওয়ে ন্যাশনাল পার্ক। এখানে প্রায় ১০৮০ প্রজাতির গাছপালা রয়েছে। পাখি রয়েছে ২৫০ প্রজাতির।