ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫৫৯

মিয়ানমারে ফিরতে রাজি নয় রোহিঙ্গারা

আটকে গেল প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:৫৯ ২২ আগস্ট ২০১৯  

 কোনও রোহিঙ্গা মিয়ানমারে যেতে রাজি না হওয়ায় প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম। 
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরে তিনি বলেন, আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। যদি  কেউ স্বেচ্ছায় রাজি হয়, তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ যেতে রাজি হয়নি।
এসময়  শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরে  চীন ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, বৃহস্পতিবার থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।  মঙ্গল ও বুধবার তারা মোট ২৩৫টি পরিবারের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের অনেকেই মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। পাঁচটি বাস ও তিনটি ট্রাক প্রস্তুত রাখা হয়। তবে যারা স্বেচ্ছায় গাড়িতে উঠবে মূলত তাদেরই প্রত্যাবাসন করা হবে, কাউকে জোর করা হবে না।
তিনি  জানান, মিয়ানমার সরকারের দেওয়া ছাড়পত্র অনুযায়ী এক হাজার ৩৭টি পরিবারের মোট তিন হাজার ৫৪০ জনকে ফেরত নেওয়ার প্রথম তালিকাটি দেওয়া হয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে অন্যদের এই প্রক্রিয়ায় আনা হবে। কারণ এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি হিসেবে টেকনাফের কেরণতলী থেকে উখিয়া হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম এলাকা পর্যন্ত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেখানে পুলিশ, র‍্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। তাদের সঙ্গে রয়েছেন ১৯৮২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নানা অজুহাতে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার জন্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া আরও অন্তত সাড়ে তিন লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলে বাংলাদেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। 
 
 রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ও বুধবার (২১ আগস্ট) দুই দিনে দুই শতাধিক রোহিঙ্গার মতামত নেওয়া হয়। মিয়ানমারে ফেরার ব্যাপারে তাদের মধ্যে কোনও আগ্রহ দেখা যায়নি । সাক্ষাৎকারদাতারা জানান, রোহিঙ্গা স্বীকৃতি ও ভিটেমাটি ফিরে না পেলে ফেরত যাবেন না তারা। একই সঙ্গে নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর