ঢাকা, ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১০ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১১১০

আবরার হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:০৫ ৮ অক্টোবর ২০১৯  

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে সোচ্চার গোটা দেশের শিক্ষার্থীরা। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
রাজশাহী
আবরার হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়। পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয় সেটি। পরে সেখানে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে সমাবেশ করেন তারা। এসময় বক্তারা  এ হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করেন।
বরিশাল
একই দাবিতে বরিশাল বিএম কলেজের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় বক্তারা দেশে আইনের শাসন নেই বলে অভিযোগ করেন। সেখান থেকে সরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
রংপুর
ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর মহাসড়ক থেকে সরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করেন তারা। এছাড়া রংপুর নগরীর ডিসি মোড় এলাকায় বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে মানববন্ধন করেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
চট্টগ্রাম
আবরার হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন। এদিন বিকালে নগরীর ষোলশহর স্টেশন চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ
আবরার হত্যার প্রতিবাদে ময়মনসিংহ নগরীর ফিরোজ-জাহাঙ্গীর চত্বরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করেন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নোয়াখালী
নোয়াখালী টাউন হল মোড় এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে বাধা উপেক্ষা করে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
এছাড়া টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
সকাল থেকে আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বুয়েটে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। এরই মধ্যে তারা ৮ দফা দাবি তুলে ধরেছেন।
গত রোববার দিনগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আবরারের সহপাঠীরা অভিযোগ করেন, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন। 
ময়নাতদন্তকারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকেরাও জানান, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মারধরের কারণেই মৃত্যু হয়েছে।