আল-জাজিরার প্রতিবেদন ও ডিজিটাল আইন: যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২২:০৭ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
আল-জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। কিছু বলারও নেই। একটা চ্যানেল কী করেছে, কী দেখিয়েছে৷ কী বলতে চেয়েছে। এর সত্য-মিথ্যা দেশবাসী যাচাই করবেন।
যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের ইন্ধন থাকতে পারে এসব ঘটনায়। কেননা, তারা তো থেমে থাকবে না। তাছাড়া আওয়ামী লীগ বিরোধিতার বিষয়টি তো রয়েছেই।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উত্তরণে জাতিংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদন তৈরির সঙ্গে অতীতে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ, ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোলাচালান মামলা এমনি ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যামামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পরিবার যুক্ত থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার এড়াতে ইমডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির কথাও বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, যুদ্ধাপরাধ, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার বিচারের কথা তুলে শেখ হাসিনা বলেন, “যাদের বিচার হয়েছে, তারা-তাদের পরিবার কি চুপ করে বসে থাকবে? তাদেরও কিছু ইন্ধন আছে। সেই সাথে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা অদ্ভুত কিছু মিথস্ক্রিয়া দেখা যায়। আল্ট্রা লেফট-আল্ট্র রাইট মাঝে মধ্যে এক হয়ে যায়!
“বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা চায় নাই, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, যারা গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। যারা এই দেশটাকে অস্ত্রো চোরাকারবারি, ড্রাগ চোরাকারবারি, দুর্নীতির একটা আখড়ায় পরিণত করেছে তারা বাংলাদেশের উন্নতিটা মানবে কিভাবে বলেন। তারা বদনাম করার চেষ্টা করছে।”
“কোন চ্যানেল কী বলল না বলল, সেটা শুনে তো আমার রাজনীতি না। দেশের মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, সেটাই আমার রাজনীতি। যারা বলতে থাকছে বলতে থাকুক। বলতে থাকাই তো তাদের কাজ,” বলেন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ গতকাল স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পূর্ণ যোগ্যতা অর্জন করেছি। সমগ্র জাতির জন্য এটা অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের। আমাদের এই উত্তরণ এমন এক সময়ে ঘটলো, যখন আমরা সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। আমরা মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের দ্বারপ্রান্তে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এ উত্তরণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে টেনে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তারই হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করলো।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রের পূর্ববঙ্গ শুধু অবহেলিতই ছিল না, এখানকার সম্পদ নিয়ে গিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানকে সমৃদ্ধ করা হচ্ছিল। শতকরা ৫৬ ভাগ মানুষের জন্য ব্যয় করা হতো ২৫-৩০ ভাগ সম্পদ। আর পশ্চিম পাকিস্তানের ৪৪ শতাংশ জনগণের জন্য ৭০-৭৫ ভাগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই বৈষম্য এবং শোষণের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সোচ্চার হন। শুরু করেন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলন। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল জগতে বাংলাদেশে সবাইকে সুরক্ষিত রাখতেই এই আইন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন গড়েছি, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়াও আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্বটাও আমাদের পালন করতে হবে।
“যেন শিশু থেকে শুরু করে যুবক থেকে শুরু করে কেউ যেন বিপথে যেতে না পারে বা কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ অথবা কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত হতে না পারে। এমন কোনো কাজ যেন না করে যেটা দেশের জন্য ক্ষতি হয়, দেশের মানুষের জন্য ক্ষতি হয়। সেজন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া একান্তভাবে অপরিহার্য।”
এই আইনের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “সমালোচনা যারা করেছে, তারা করবেই। কারা সব থেকে বেশি সমালোচনা করছে? তারা কি বাস্তব কথাটা একবার উপলব্ধি করছে? তারা তো তা করছে না।
“আমার বয়স ৭৫ বছর। স্কুল জীবন থেকে রাস্তায় নামি। ৬২ সাল থেকে পথে পথে মিছিলে মিছিলে যোগ দিয়েছি। কাজেই এ দেশের সবাইকে আমার চেনা আছে।”
কারও নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ হ্যাঁ, কারও মৃত্যু কাম্য নয়। কিন্তু সেটাকে কেন্দ্রে করে একটা অসেন্তোষ সৃষ্টি করাও কাম্য নয়।”
এই প্রসঙ্গে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলখানায় চার জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে হত্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সে রকম ঘটনা তো আর ঘটেনি।
“যারা সেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের সাথেও তো অনেকেই ঘাঁটছাড়া বেঁধেছিল। তবে কারও মৃত্যু কাম্য নয়। কেউ অসুস্থ হলে মারা গেলে কী করার আছে।”
আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের যে অভিযোগ উঠেছে, সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কোনো সতর্কবার্তা থাকবে কি না?
উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, “আইন তো আপন গতিতে চলে। আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে কি না, সেটা দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। কোনটা আপনার কাছে অপপ্রয়োগ, কোনটা অপপ্রয়োগ না, এটা একটা আপেক্ষিক ব্যাপার।
“কিন্তু আমি তো মনে করি আইন নিজের গতিতে চলছে এবং চলবে। যদি কেউ অপরাধ না করে তার বিচারে শাস্তি হবে না। কিন্তু আদৌ অপরাধ হচ্ছে কি না, কিংবা এমন কোনো কাজ করছে কি না, যেটা দেশের ক্ষতি হচ্ছে, জনগণের ক্ষতি হচ্ছে, সে কাজ থেকে বিরত করার জন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট।”
- রোজা রাখলে মুখে দুর্গন্ধ হয়, দূর করার উপায় জানালেন চিকিৎসক
- কণ্ঠশিল্পী খালিদ আর নেই
- ঝলমলে তানজীদ-রিশাদ, সিরিজ জয় বাংলাদেশের
- গাছে নেই পর্যাপ্ত মুকুল, আমের ফলন নিয়ে শঙ্কা
- রেড, ইয়োলো, গ্রিন: যেভাবে বুঝবেন যে ব্যাংকের অবস্থা যেমন
- ইফতারে বানিয়ে ফেলুন হালিম
- যে ৬ অভ্যাস নষ্ট করছে আপনার মানসিক শান্তি
- লিটনের বাদ পড়া নিয়ে মুখ খুললেন মিরাজ
- সোমালিয়া জলদস্যুদের জাহাজ জব্দ করলো ভারতীয় নৌবাহিনী
- টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়কদের ৯ শতাংশ শিক্ষক, ৫৬ শতাংশ সহপাঠী
- রকেট উৎক্ষেপণের খরচ ৩০ লাখ লিটার পানি
- বিআরআরএফ-র সভাপতি এন রায় রাজা সম্পাদক আরেফিন মাসুদ
- হঠাৎ অসুস্থ অমিতাভ, করা হলো অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি
- ইফতারে লেবুর শরবত খেলে কী হয়?
- রাজশাহীতে গোলাম আরিফ টিপুকে বিনম্র শ্রদ্ধা
- রোনালদোর মাইলফলকের ম্যাচে আল নাসেরের জয়
- জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যা: আম্মানকে গ্রেফতারের নির্দেশ
- সমুদ্রপথে জাহাজ পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা
- ইফতার-সেহরিতে যা খাবেন, যা খাবেন না
- সন্তান প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু নারী ফুটবলারের
- কপাল ফেটে হাসপাতালে ভর্তি মমতা
- অনন্তর হাতঘড়িতে মুগ্ধ জাকারবার্গ-চ্যান, যেসব ঘড়ির দাম মিলিয়ন ডলার
- নৌকায় এসে যেভাবে বিশাল জাহাজ জিম্মি করে জলদস্যুরা
- শান্ত-মুশফিকের রেকর্ড জুটিতে দাপুটে জয় বাংলাদেশের
- পুরো রমজানে ইফতার করাবেন ডিপজল ও মিশা
- সাহরিতে যেসব খাবার কখনই খাবেন না
- সোমালিয়ার স্টক এক্সচেঞ্জ: বিনিয়োগ হয় জলদস্যুদের লুটের অর্থ-অস্ত্র
- গোপন অডিও বার্তায় পুরো ঘটনার বর্ণনা দিলেন জিম্মি জাহাজের অফিসার
- রোজা রাখলে শরীরে যা ঘটে
- রোজা রাখলে শরীরে যা ঘটে
- ইফতার-সেহরিতে যা খাবেন, যা খাবেন না
- বিআরআরএফ-র সভাপতি এন রায় রাজা সম্পাদক আরেফিন মাসুদ
- ইফতারে বানিয়ে ফেলুন হালিম
- হঠাৎ অসুস্থ অমিতাভ, করা হলো অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি
- ইফতারে লেবুর শরবত খেলে কী হয়?
- সোমালিয়া জলদস্যুদের জাহাজ জব্দ করলো ভারতীয় নৌবাহিনী
- কপাল ফেটে হাসপাতালে ভর্তি মমতা
- রকেট উৎক্ষেপণের খরচ ৩০ লাখ লিটার পানি
- অনন্তর হাতঘড়িতে মুগ্ধ জাকারবার্গ-চ্যান, যেসব ঘড়ির দাম মিলিয়ন ডলার
- পুরো রমজানে ইফতার করাবেন ডিপজল ও মিশা
- শান্ত-মুশফিকের রেকর্ড জুটিতে দাপুটে জয় বাংলাদেশের
- রাজশাহীতে গোলাম আরিফ টিপুকে বিনম্র শ্রদ্ধা
- সোমালিয়ার স্টক এক্সচেঞ্জ: বিনিয়োগ হয় জলদস্যুদের লুটের অর্থ-অস্ত্র
- গোপন অডিও বার্তায় পুরো ঘটনার বর্ণনা দিলেন জিম্মি জাহাজের অফিসার
- বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়কদের ৯ শতাংশ শিক্ষক, ৫৬ শতাংশ সহপাঠী
- সমুদ্রপথে জাহাজ পরিচালনায় নতুন নির্দেশনা
- জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যা: আম্মানকে গ্রেফতারের নির্দেশ
- জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের পরিচয় মিলেছে
- সন্তান প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু নারী ফুটবলারের