ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৬১৮

আহমদ শফীর জানাজায় অনুসারীর ঢল, বিজিবি মোতায়েন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৫:৫০ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমদ শফীর মৃতদেহ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পৌঁছানোর আগেই সেখানে জানাজায় যোগ দিতে অনুসারীর ঢল নামে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেই স্থানে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়।

 

অতিমাত্রায় ভিড় তৈরি হওয়ার কারণে হাটহাজারী এলাকায় সড়কপথ বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় উপজেলার সবধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এলাকাটি চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের ওপরে অবস্থিত হওয়ায় এ সড়কপথে জেলা দুটির মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হয়।

 

সকাল ৯টা নাগাদ আহমদ শফীর মৃতদেহ হাটহাজারীতে পৌঁছে। ছাত্র আন্দোলনের জের ধরে হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালকের পদ ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। ঢাকার একটি হাসাপাতালে গতকাল (শুক্রবার) মৃত্যু হয় তার।

 

শফীর ছেলে আনিস মাদানী গণমাধ্যমকে জানান, শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জানাজা ও দাফন হবে তার।

 

হাটাহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমীন জানান, দুপুরে জানাজা শেষে সেখানে দাফনের সব প্রস্তুতি নেয়া হয়। জানাজায় যোগ দেয়ার জন্য সারাদেশ থেকে অনুসারীরা আসেন।  এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়।

 

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুরো এলাকায় র‌্যাব পুলিশ ছাড়া বিজিবি মোতায়েন করা হয়। অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে আমরা বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিই, যাতে করে সবকিছু শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

 

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সব প্রস্তুতি স্বাভাবিক।

 

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়রা জানান, আহমদ শফীর অনুসারীতে সয়লাব হয়ে যায় হাটহাজারী উপজেলা এলাকা। সব দোকান পাট ও যান চলাচল বন্ধ থাকে।

 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকালেই চট্টগ্রাম -খাগড়াছড়ি মহাসড়ক হাটহাজারী অংশে যান বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে বেশ দূর থেকেই হেঁটে মাদ্রাসার দিকে আসেন।

 

সকাল ৯টার দিকে পুলিশী প্রহরায় আহমদ শফীর মৃতদেহ হাটহাজারী পৌঁছানোর পর প্রথমে নেয়া হয় ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকায় তার অস্থায়ী বাড়িতে। সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর নেয়া হয় হাটবাজার মাদ্রাসায় এবং সেখানে তার কার্যালয়ের পাশেই মৃতদেহ রাখা হয়।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ শফীর অনুরাগীরা সেখানে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ভিড়ের কারণে কয়েকবার মাদ্রাসার গেইট বন্ধ করে দিতে হয়। ভিড়ের চাপে বেশ কয়েকজন আহতও হন।