একজন জোসনার গল্প
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২০:১২ ২ এপ্রিল ২০১৯
বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে এক সময় সমাজ ব্যবস্থায় সনাতনী ধ্যান-ধারণা, মূল্যবোধে ও লিঙ্গ বৈষম্য ছিল প্রকট। বর্তমানে সেই ধ্যান-ধারণা তথা দৃষ্টি ভঙ্গীতে এসেছে অনেক পরিবর্তন। তারপরও গ্রামের লোকজনের মধ্যে এখনো সেকেলে চিন্তাধারা বিরাজমান। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা এবং শিক্ষার অভাবে এত দিন পিছিয়ে থাকলেও বর্তমানে গ্রামে বসবাসরত নারীরা সেই অচলায়তন ভেঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে এগিয়ে আসছে। বিশেষ করে গত দশ বছরে এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন এবং অগ্রগতি আজ বিশ্বে প্রশংসিত। নারীর ক্ষমতায়ন একটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও লিঙ্গ সমতার প্রতিফলক। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের কাছ থেকে বিশ্বের বেশ কিছু শেখার আছে।
বর্তমান সরকার লিঙ্গ সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য এমডিজি ২০১৫ অর্জন ও নারীর প্রতি সকল বৈষম্য বিলোপ (সিডও) এর বিভিন্ন ধারা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এমডিজি ৩ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তার প্রতিফলন হলো, বাংলাদেশের গ্রামীণ অনগ্রসর নারীদের ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ।
দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা দিনাজপুর। এক সময় উত্তরবঙ্গকে দেশের সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চল বলা হলেও এখন চিত্র পুরোটাই উল্টো। এখন সংসারে নারী-পুরুষ সমানভাবে অর্জন করে । আবার কখনো কখনো নারীরাই চালাচ্ছেন সংসার।
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার একইর গ্রামের নারীদের কাছে একটি প্রেরণার নাম হলেন জোসনা আরা (৪৪)। সংসারের কাজের পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি নিজেও সংসারের ব্যয় নির্বাহে ভূমিকা রাখছেন।
তিনি বলেন, ‘মোর জামাই যা টাকা কামায় ওলা দিয়ে হামার সংসার চলে না। দুই বেটা-বেটির খিলানোর ভার হামার উপরি’। জোসনা এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী। বিয়ের পর থেকেই তার অভাবের সংসার। স্বামী বুদা মাঠে কাজ করে যে আয় রোজগার করতেন তা দিয়ে বেশ টানাপোড়নের মধ্যেই সংসার চলতো তাদের। তিনি কখনও শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারেননি। কিন্তু নিজের ছেলে মেয়েকে এই আলো থেকে বঞ্ছিত হতে দিতে চাননি। ছেলে এবং মেয়ে দুজনকেই স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। স্কুলে ভর্তি করানোর পর তাদের অভাবের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ঘরের গন্ডি থেকে বের হয়ে তিনি নিজেও সংসারের হাল ধরবেন। তাই স্থানীয় এক ফার্মে গরু পরিচর্যার কাজ নেন যেখানে পারিশ্রমিক হিসেবে মাসিক তিন হাজার টাকা পেতেন। এই টাকার পুরোটা তিনি সংসারের ব্যয় নির্বাহে খরচ করতেন না।
জোসনা বললেন, ‘জিলা টাকা মুই কামাছুনু ওলাত্তে কিছু সংসারোতও দিছিনু। বাকি যা টাকা আছলো ওলা জমে থুয়ে দিছিনু। কারণ মোর মনোত্ত আছোলো নিজে নিজে কেছু এটা করার’।
যখন তার কাছে জমানো মোটামোটি ১৫ হাজার টাকার মত হয় তখন তিনি যে ফার্মে কাজ করতেন তার মালিকের কাছে তার পরিকল্পনার কথা বলেন এবং আর্থিক সহায়তা চান। পরবর্তীতে ফার্মের মালিক তাকে আরও ২০ হাজার টাকা ঋণ দেন। এই ঋণের টাকা আর তার সঞ্চয় করা টাকা দিয়ে তিনি একটি উন্নত জাতের গাভী কিনেন এবং এভাবেই একটি গাভী দিয়ে তিনি তার স্বাবলম্বী হওয়ার যাত্রা শুরু করেন। এই গরুর দুধ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে তিনি মাসে আরও কিছু আয় রোজগার করা শুরু করলেন। গরু কেনার দুই বছরের মাথায় তিনি যে ফার্ম থেকে ঋণ নেন, তা তিনি পরিশোধ করে ফেলেন। ইতিমধ্যে তার বাড়িতে গরুর সংখ্যা দাঁড়িয়ে যায় দু’টিতে।
এখানেই তার স্বাবলম্বী হওয়ার যাত্রা শেষ হয়নি। তিনি বললেন, ‘ঋণ শোধ করার পর মুই ফার্মেত কাজ করা ছাড়ে দিছিনু। মর জামাই জি টাকা কামাসোলো আর মুই দুধ থিকে জি টাকা পাছুনু ওলা দিয়ে হামার সংসার ভাল চলছোলো। এই বছর মুই এনা এনা করে টাকা জমে ফির ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একটা ফ্রিজিয়ান জাতের বকনা কিনি। তার সাথে হামার বাড়িত ৬০টা রাজ হাঁস আর ৩০টা মুরগি পালি’।
তিনি এই মুরগি ও রাজ হাঁসের ডিম এবং গরুর দুধ বাজারে বিক্রি করে বর্তমানে মাসে ১৫ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা আয় করেন।
জোসনা খুব বিচক্ষণতা এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে মাত্র চার বছরেরও কম সময়ে সাফল্য পেয়েছেন। তার স্বামী এবং তার আয় রোজগারে তাদের সংসার এখন ভালোভাবেই চলছে। বসত বাািড়টি করেছেন পাকা।
কথায় আছে যে রাধে, সে চুলও বাঁধে! একটা সময় পর্যন্ত এ প্রবাদটা সত্যি হলেও কালের পরিক্রমায় নারীরা এখন শুধু রেঁধে কিংবা চুল বেঁধে নয়, তারা পুরুষের সাথে সংসারের হাল ধরে নিজের অবস্থার পরিবর্তন করেছেন। তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ হলেন জোসনা। সূত্র : বাসস
- লেবুপানি খাবেন যে কারণে
- রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ৩ যুবক নিহত
- গরিবদের জন্য চার চাকা আনলো পিয়াজ্জিয়ো
- ঢাকায় ভিসা কেন্দ্র খুললো চীন
- জলবায়ু পরিবর্তন: ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে বাংলাদেশ
- ইরানে হামলা: নাগরিকদের ইসরায়েল ছাড়তে বললো অস্ট্রেলিয়া
- দেশব্যাপী ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ
- আইপিএল থেকে মুস্তাফিজকে ফেরাতে বিসিবির সঙ্গে একমত সুজন
- পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি
- খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
- আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ
- নৌকায় চড়ে জরুরি কাজ সারছেন শারজাহবাসী
- প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে এইচএসসি পাসে ৬৩৮ পদে চাকরি
- বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়লো ৪ টাকা, খোলা তেল কমেছে ২ টাকা
- প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করলে প্রেমিকা দায়ী নয়:দিল্লি হাইকোর্ট
- গুলশানে চুলোচুলি করা সেই ৩ নারী গ্রেপ্তার
- তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে যে ৭ খাবার খাবেন
- সালমানকে মারবেন না, এখনও সংসার হয়নি, কান্নায় ভেঙে পড়লেন রাখি
- হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি ইরানের, উদ্বিগ্ন পুরো বিশ্ব
- মিয়ানমার বাহিনীর আরও ৪৬ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো
- বার্সাকে কাঁদিয়ে সেমিতে পিএসজি
- ৬ টাকার ডিম নিলামে তুলে সোয়া দুই লাখ সংগ্রহ মসজিদের
- যেভাবে তাপকে পরাস্ত করে গ্রীষ্মেও ঠান্ডা থাকা যায়
- তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১০ উপায়
- এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু
- ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালালে জবাব দেবে ইরান
- বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪, একই পরিবারের ৫ জন
- সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল লিটারে ১০ টাকা
- আমার কাছে বাংলা নববর্ষটা অন্য রকম: নুসরত জাহান
- আমার কাছে বাংলা নববর্ষটা অন্য রকম: নুসরত জাহান
- ঈদে মন খারাপ নুসরাত ফারিয়ার
- গুলশানে চুলোচুলি করা সেই ৩ নারী গ্রেপ্তার
- ঈদে শাকিব খানের ‘সেঞ্চুরি’
- ডায়াবেটিস কাদের পরীক্ষা করানো উচিত, জানালেন চিকিৎসক
- পহেলা বৈশাখের সঙ্গে হালখাতার সম্পর্ক ছিল না
- রাজ্য হিসেবে জম্মু-কাশ্মীরের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়ার ঘোষণা মোদির
- ৬ টাকার ডিম নিলামে তুলে সোয়া দুই লাখ সংগ্রহ মসজিদের
- সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াই জমে গেছে
- লঞ্চ দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেলো
- পহেলা বৈশাখ:ঘোরাঘুরি ও খাবারদাবারে সতর্ক থাকুন
- তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১০ উপায়
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে
- জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেলো এমভি আব্দুল্লাহ ও ২৩ নাবিক
- ভিডিও বার্তায় দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ
- বৈশাখের প্রথম দিন আবহাওয়া যেমন থাকবে
- যেভাবে এলো বাংলা ১২ মাসের নাম
- ইসরায়েলে ইরানের হামলা প্রতিহতের দাবি বাইডেনের
- ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আট ভেন্যু চূড়ান্ত