ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩৩৮

কর্মস্থল হিসেবে ভালো নয় ফেসবুক গুগল অ্যাপল অ্যামাজান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:০৯ ২ জানুয়ারি ২০২০  

গতবছরও সেরা কর্মস্থলের তালিকায় বিশ্বজুড়ে এগিয়ে ছিল ফেসবুকের প্রধান অফিস। ফেসবুকে চাকরি করার জন্য কর্মীরা অপেক্ষা করতেন, তবে সে ফেসবুক এখন আর নেই। গ্লাসডোর ২০২০ র‌্যাঙ্কিং জানিয়েছে, কলেজ গ্র্যাজুয়েট ও সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের নিয়োগ দিতেও ফেসবুক এখন হিমশিম খাচ্ছে। ফেসবুক কর্মীরা তাদের প্রতিষ্ঠানকে প্রাইভেসির মতো বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ধীরগতির বলে মন্তব্য করেছে। এছাড়া উচ্চ পর্যায়ের প্রকল্পগুলো অত্যন্ত রাজনৈতিক যেখানে জীবন ও কাজের ভারসাম্য নেই।

শুধু ফেসবুক নয়, গুগল, অ্যাপল অ্যামাজানও এক্ষেত্রে পিছিয়ে গিয়েছে। প্রতিবছর নতুন বছর শুরুর আগে বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে তারা জরিপ করে এ তালিকা প্রকাশ করে।

ফেসবুকের ক্ষেত্রে একের পর এক তথ্য পাচারের অভিযোগে জরিমানা গোনার ঘটনাকে পেছনে ফেলে এখন কর্মীদের ফেসবুক ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা উঠে এসেছে আলোচনায়। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের চাকরি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট গ্লাসডোর সেরা কর্মস্থলের তালিকায় ফেসবুকের পিছিয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরেছে।

গ্লাসডোর তালিকা অনুসারে, টানা ২ বছর ধরে ফেসবুক সেরা কর্মস্থলের তালিকা থেকে পিছিয়েছে। গত বছর গ্লাসডোর তালিকার ১৬ নম্বরে থাকা ফেসবুক এবার ২৩ নম্বরে চলে আসাই তার প্রমাণ। গ্লাসডোর তালিকায় শীর্ষ তিন কর্মস্থল হিসেবে হাবস্পট, বেইন অ্যান্ড কো এবং ডকুসাইন নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান জায়গা করে নিয়েছে। গতবার ফেসবুক কর্মীরা ফেসবুককে গড়ে সাড়ে ৪ র‌্যাঙ্কিং দিলেও এবার তা কমে ৪ দশমিক ৪ এ এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু র‌্যাঙ্কিংয়ে পেছালেও গড়পড়তা গ্লাসডোর তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ফেসবুক কিছুটা এগিয়ে আছে। এখানে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেরই সাড়ে ৩-এর মতো র‌্যাঙ্কিং পেয়েছে।

বিশ্বব্যাপী সেরা কর্মস্থলের তালিকা প্রকাশ করে গ্লাসডোর

ফেসবুকের কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর থেকে কর্মীদের মধ্যে সেরা কর্মস্থল হিসেবে আস্থা কমতে দেখা যায়। ফেসবুকের তথ্য পাচারের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানটিকে সেরা কর্মস্থল ভাবার জায়গা থেকে বের হয়ে আসেন। এছাড়া ফেসবুককে অ্যান্টি ট্রাস্ট তদন্তের মুখেও পড়তে হচ্ছে। ফেসবুক ছাড়াও পিছিয়ে পড়ার তালিকাতে রয়েছে গুগল। ৩ ধাপ পিছিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে এখন সেরা কর্মস্থল হিসেবে ১১তম স্থানে রয়েছে। তেমনি অ্যাপল ১৩ ধাপ পিছিয়ে তালিকায় ৮৪ নম্বরে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু অন্যতম জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের শীর্ষ ১০০ তালিকাতেও জায়গা করতে পারেনি।

গ্লাসডোর মূলত ৮টি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে তালিকা করে। এর সঙ্গে কর্ম ও জীবনের ভারসাম্য, জ্যেষ্ঠ কর্মী ব্যবস্থাপনা, বেতন ও সুবিধার মতো বিষয়গুলো যুক্ত। এ তালিকায় আসতে হলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কমপক্ষে ১ হাজার কর্মী ও সব বিভাগে কমপক্ষে ৭৫ রেটিং পেতে হয়।