ঢাকা, ২৯ এপ্রিল সোমবার, ২০২৪ || ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩০১

কী-বোর্ডে লেখার চেয়ে হাতে লেখার উপকারিতা কেন বেশি?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৫৬ ১০ অক্টোবর ২০২৩  

২০১৪ সালের জুনে যুক্তরাজ্যে দুই হাজার অংশগ্রহণকারীর ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়। সেই জরিপে দেখা যায় প্রতি ৩ জনে ১ জন অন্তত গত ৬ মাসের মধ্যে কলম দিয়ে কিছু লেখেননি। স্বাক্ষর দেয়ার মত প্রয়োজনীয় কিছু কাজ বাদে কাগজে কিছু লেখার প্রয়োজনই পড়েনি তাদের।

 

স্পষ্টই বোঝা যায় যে, আগের তুলনায় এখন আমাদের হাতে লেখার প্রয়োজন কমে এসেছে। এর একটা কারণ কাগজের ব্যবহার কমে আসা। বিভিন্ন ধরনের কাজ দ্রুত ও দক্ষতার সাথে করতে কাগজের বদলে ব্যবহৃত হচ্ছে নথিপত্রের ডিজিটাল কপি। চিঠির কাজ হয়ে যাচ্ছে ই-মেইলের মাধ্যমে।

 

কিন্তু কাগজের ব্যবহার কমা ছাড়াও যে আরেকটি কারণে লেখার পরিমাণ কমে আসছে, তা হল ডিজিটাল ডিভাইস। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই চেষ্টা করেন যা কিছু লেখার, সেটা ফোনে বা পিসিতে লিখে সেভ করতে। কলম দিয়ে লেখার চেয়ে টাইপ করার কাজ সহজ হওয়ায় এবং নানান সুবিধা থাকায় আমরা এখন সাধারণত নিজেদের ডিভাইসেই লিখি।

 

আবার জার্নাল বা রোজনামচা লেখার পুরোনো প্রচলনও ডায়েরি বা নোটপ্যাডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আর সামগ্রিকভাবে হাতে লেখার প্রচলন কমে আসায় জার্নাল বা রোজনামচাও আগের চেয়ে কম মানুষ লেখে।ইংরেজিতে হাতে লেখার বিশেষ দক্ষতা হল ‘কার্সিভ হ্যান্ডরাইটিং’ বা ‘ইংরেজি টানা হাতের লেখা’। টানা হাতের লেখার দক্ষতা কারো থাকলে কাগজ থেকে কলম না উঠিয়েই এক বা একাধিক শব্দ লেখা যায়।

 

দীর্ঘদিন ধরে ইংরেজি ভাষাভাষী বিভিন্ন দেশে অবস্থিত স্কুলে টানা হাতের লেখা শেখানো বাধ্যতামূলক ছিল। তবে ১৯৬০ এর দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এই বিধানের যৌক্তিকতা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে এ বিষয়ক বাধ্যবাধকতা শিথিল করা হয়। এবং সর্বশেষ ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার তাদের বিদ্যালয়ে টানা হাতের লেখা শেখানোর বিধি সম্পূর্ণ বাতিল করে।

 

আমেরিকাসহ উন্নত অনেক দেশের স্কুলে বর্তমানে কীবোর্ড-এ টাইপিং শেখানো হয়। অনেক স্কুলে শিশুদের টাচস্ক্রিন ডিভাইসে টাইপ করা শেখানো হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলিতে হাতের লেখা শেখানোর বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়ার পর বিভিন্ন মহলের বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। কারণ ডিভাইসে লেখার অনেক সুবিধা থাকলেও হাত দিয়ে কাগজে লেখার অনেক উপকারিতা আছে।

 

হাতের লেখা ও টাইপিং আমাদের মস্তিষ্কে কীভাবে ভিন্ন প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে ২০১২ সালে প্লে-নার্সারিতে পড়া শিশুদের ওপর একটি গবেষণা করা হয়। গবেষণায় শিশুদেরকে দুই দলে ভাগ করা হয়। এক দলের শিশুদেরকে শেখানো হয় টাইপিং এবং আরেক দলের শিশুদের শেখানো হয় হাতের লেখা।

 

এরপর একটি পরীক্ষা নেয়ার সময় তাদের মস্তিষ্কে এমআরআই মেশিন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যারা টাইপিং শিখেছে, তারা আকৃতি বা শেইপ এবং অক্ষরের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে না। অথচ যারা হাতে লিখতে শিখেছে, তারা শেইপ এবং অক্ষরের পার্থক্য বোঝে। এই গবেষণা থেকে বোঝা যায়, আমাদের মস্তিষ্ক হাতের লেখার মাধ্যমে শেখা অক্ষরকে ভিন্নভাবে দেখে।

 

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, যেকোনো বয়সের মানুষই কোনো তথ্য হাতে লিখলে সেটা আরো ভালভাবে বুঝতে পারে এবং মনে রাখতে পারে দীর্ঘ সময়। তবে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাগজে-কলমে কিছুই লিখতে হয় না। এবং বিশ্বজুড়ে অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা সংক্রান্ত সব কাজ ডিজিটাল ডিভাইসেই করছে।

 

এই পরিস্থিতিতে অনেক বিশেষজ্ঞই ভাবছেন ভবিষ্যতে খুব কম মানুষই হাতের লেখায় দক্ষ হবে। অনেকের মতে, অদূর ভবিষ্যতে বিলুপ্তই হয়ে যাবে হাতে লেখার দক্ষতা। কিন্তু হাতে লেখার দক্ষতা আমাদের মধ্য থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়ার সুযোগ হারাব আমরা।

.

১. স্মৃতিশক্তি বাড়ায় হাতের লেখা

প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে গড়ে ৭ থেকে ৬৯ জন মানুষ ‘রাইটার্স ক্র্যাম্প’ নামের এক ধরনের অসুস্থতায় ভোগেন। এই রোগে অসুস্থ হওয়া মানুষেরা হাত দিয়ে অন্যান্য কাজ করতে পারলেও কলম দিয়ে লিখতে পারেন না। এ ধরনের অসুস্থতা বিবেচনা করে অনেক বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন যে, অন্য যেকোনো কাজ বা ক্রিয়ার তুলনায় হাতে লেখার সময় আমাদের মস্তিষ্ক ভিন্নভাবে কাজ করে।

 

হাত দিয়ে একটা অক্ষর লিখতে গেলে শুধুমাত্র স্ক্রিনে একটা চিহ্নের ওপর ট্যাপ করলেই হয় না। কিংবা কীবোর্ডের একটা কী’র ওপর চাপ দিলেও হয় না। বরং একটি অক্ষরের আকৃতির কথা মাথায় রেখে কলম বাঁকিয়ে বাঁকিয়ে সেটা লিখতে হয়। গবেষণায় দেখা গেছে হাতে লিখতে গেলে এ ধরনের জটিল কাজ করতে হয় বলেই লেখার সময় আমাদের মস্তিষ্কের যে অংশ সাময়িকভাবে স্মৃতি ধরে রাখে, সেই অংশ বেশি সক্রিয় থাকে।

 

গবেষকদের মতে, হাতে লিখতে গেলে আমাদের স্নায়ু এবং পেশী জটিল উপায়ে কাজে লাগাতে হয়। এবং কাজ যত জটিল হয়, আমাদের মস্তিষ্ক তত ভালভাবে সেই কাজ ও কাজ সংক্রান্ত তথ্য মনে রাখতে পারে।

.

২. নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করে

২০১৪ সালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে হাতের লেখার সঙ্গে টাইপিং এর বড় একটি পার্থক্য উঠে আসে। গবেষণাটি করা হয়েছিল ক্লাসে শিক্ষার্থীদের নোট নেয়ার ধরনের ওপর ভিত্তি করে। গবেষণায় অংশ নেয়া কিছু শিক্ষার্থী শ্রেণীকক্ষে ক্লাস চলাকালীন সময়ে কলম দিয়ে লিখে নোট নিয়েছিল এবং বাকিরা নোট নেয়ার জন্য ব্যবহার করেছিল ল্যাপটপ।

 

গবেষণায় দেখা যায়, যারা ল্যাপটপে টাইপ করে নোট নিয়েছিল, তারা শিক্ষকের কথা হুবহু লিখে রেখেছে।অন্যদিকে যারা হাতে লিখে নোট নিয়েছে, তারা প্রথমে শিক্ষকের বলা কথা শুনে বোঝার চেষ্টা করেছে। এরপর যা বুঝেছে, সেটা খাতায় নিজের ভাষায় লিখেছে।

 

এমনকি ক্লাস শেষে যখন ক্লাসে শেখানো পাঠের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছে, তখনও কাগজে লিখে নোট নেয়া শিক্ষার্থীরা অপেক্ষাকৃত সঠিক উত্তর দিয়েছে। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত একজন গবেষক মনে করেন, হাতে লিখতে গেলে লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হয়। ফলে ক্লাসরুমে যারা হাতে লিখে নোট নিয়েছে, পাঠ নিয়ে তাদের ভাবতে হয়েছে বেশি। এতে করে তারা অন্যদের চেয়ে ভালভাবে শিখতে পেরেছে।

.

৩. লেখার গঠন সুন্দর হয়

অনেকের মতে, হাতে লেখার তুলনায় টাইপ করলেই দ্রুত লেখা যায়। কিন্তু এক গবেষণায় দেখা গেছে, হাতের লেখায় দক্ষ ব্যক্তিরা টাইপিং-এ দক্ষদের চেয়ে দ্রুত রচনা লিখতে পারেন। এছাড়াও যারা হাতে লেখেন, রচনায় তাদের বাক্য আরো সম্পূর্ণ ও সুগঠিত হয়। শিশুদের ওপর করা আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, কীবোর্ড ব্যবহারকারীদের চেয়ে কাগজ-কলমে যারা রচনা লিখেছে, তাদের লেখায় আইডিয়া বা ধারণার সংখ্যা বেশি।

 

অর্থাৎ, হাতে লিখলে যেকোনো ধারণাই আরো স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা যায়। এতে করে লেখার গঠন সুন্দর হয়।এছাড়াও কোনোকিছু হাতে লেখার সময় একটা শব্দের বদলে আরেকটা শব্দ ব্যবহারের সম্ভাবনা মাথায় আসে বেশি। ফলে মস্তিষ্কে ভিন্ন ভিন্ন শব্দের মধ্যে সংযোগ ও সম্পর্ক তৈরি হয়।

.

৪. বিভিন্ন মানসিক জটিলতা নিরাময়ে সাহায্য করে

‘পঠনবিকার’ বা ‘ডিসলেক্সিয়া’ হল বহুল প্রচলিত এক ধরনের স্নায়বিক অসুখ। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বুদ্ধিমত্তার দিক দিয়ে সাধারণ মানুষদের মতই হয়ে থাকেন, অথচ সহজে কিছু পড়তে বা বানান করতে পারেন না। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৩ থেকে ৭ শতাংশ মানুষ এই স্নায়বিক বিকারে আক্রান্ত। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত মানুষেরা হাতের লেখার চর্চা থেকে সুফল পেতে পারেন।

 

আবার মেডিটেশন বা ধ্যান এর সময় আমাদের মস্তিষ্কের যেসব অংশ সক্রিয় থাকে, তার মধ্যে কিছু অংশ হাত দিয়ে লেখার সময়ও সক্রিয় থাকে। ফলে মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ কাটাতেও সাহায্য করে হাতে লেখার অভ্যাস। এ কারণে মানসিক রোগের চিকিৎসকেরা অনেক সময়ই রোগীদেরকে তাদের চিন্তাভাবনা কাগজে-কলমে লিখে রাখার পরামর্শ দেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের মনের মধ্যে জন্মানো আবেগ প্রকাশিত হয় লেখার মাধ্যমে। তাই যারা লেখে, তাদের মনও অন্যদের চেয়ে বেশি ভাল থাকে।

.

৫. অন্য কিছু সুবিধা

কোনো একটি বিষয়ে দীর্ঘ সময় মনোযোগ ধরে রেখে চিন্তা করা যায় কাগজে-কলমে লেখার সময়ই। এতে করে বিভিন্ন দিক দিয়ে গভীরভাবে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ পাওয়া যায়। এভাবে জটিল চিন্তাভাবনা কিংবা ‘ক্রিটিকাল থিংকিং’ এর ক্ষমতা বাড়ায় হাতের লেখার অভ্যাস।

 

এছাড়াও হাতের লেখার অভ্যাস থাকলে পড়ার ক্ষমতাও বাড়ে। আমাদের চোখ ও হাতের কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় আনে হাতের লেখা। আবার নতুন নতুন উপায়ে নিজের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার সুযোগ তৈরি হয় হাতে-কলমে লেখার অভ্যাসের কারণে। সর্বোপরি, বিভিন্ন দিক দিয়েই আমাদের স্নায়ু ও মস্তিষ্কে ইতিবাচক সব পরিবর্তন আনার পেছনে হাতের লেখার ভূমিকা রয়েছে।

.

# ভবিষ্যতে কি হারিয়ে যাবে হাতের লেখার দক্ষতা?

ধারণা করা হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ সালে আধুনিক লেখার ভাষা প্রথম উদ্ভাবিত হয় মেসোপটেমিয় সভ্যতায়। তবে লেখার পদ্ধতি সময়ের সাথে সাথে পাল্টেছে। পাথর, কাঠ বা মাটির ফলক থেকে শুরু করে গাছের পাতা কিংবা চামড়ার মত বিভিন্ন স্থানে মানুষ লিখেছে। কখনও খোদাই করে, কখনও ছাপের মাধ্যমে, কখনও আবার কালি ব্যবহার করে জটিল সব চিন্তা প্রকাশ করেছে মানুষ।

 

১০৫ খ্রীষ্টাব্দে কাগজ উদ্ভাবিত হলেও বিভিন্ন সময়ে, দেশে ও সভ্যতায় কাগজের পরিবর্তে অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহৃত হয়েছে। শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে যন্ত্রের সাহায্যে কারখানায় কম খরচে প্রচুর পরিমাণে কাগজ প্রস্তুত করা সম্ভব হয়েছে।

 

প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলেই তা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে সম্ভব হয়েছে বহুল ব্যবহৃত বলপয়েন্ট কলমের আবিষ্কার। প্রযুক্তির কল্যাণেই কলম বা পেনসিল কম খরচে ও বেশি পরিমাণে উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে।

 

তবে বর্তমানে আমাদের হাতে লেখার দক্ষতার মূল্য কমে এসেছে এই প্রযুক্তির কারণেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর কল্যাণে আমাদের ডিভাইসে কোনো শব্দ বা বাক্য সম্পূর্ণ লেখার আগেই সম্ভাব্য সাজেশন দেখাচ্ছে। হাত বা চোখের ইশারায় টাইপিং এর প্রযুক্তিও উন্নত হচ্ছে। এ ধরনের পদ্ধতিতে লিখতে গিয়ে অনেকেই অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। আবার ‘ভয়েস টাইপিং’ এর মাধ্যমে মুখে বলা কথাই লেখায় পরিণত হচ্ছে।

 

উন্নত প্রযুক্তির এই নতুন বিশ্বে এমনটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক যে, ভবিষ্যতে হয়ত হাতের লেখার দক্ষতা আমাদের মাঝ থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে। তবে আমরা সচেতন হলে চমৎকার এই দক্ষতা খুব সহজে বিলুপ্ত হবে না। এবং আশ্বস্ত করার মত তথ্য হল, অনেকে এ বিষয়ে সচেতন হচ্ছেন। হাতের লেখার উপকারিতা খুঁজে বের করতে যেমন গবেষণা হচ্ছে, তেমনি হাতের লেখা শেখানোর জন্যে বিশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে বিশ্বের নানান প্রান্তে।

 

যেই যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার ২০১০ সালে বিদ্যালয়ে হাতের লেখা শেখানোর বিধান বাতিল করেছিল, সেখানকার অনেক রাজ্য সরকার এখন আবার হাতের লেখা শেখানোর নিয়ম ফিরিয়ে আনছে। তাছাড়া, টাইপ ও প্রিন্টিং এর এই দুনিয়ায় হাতে লেখা নথি-পত্রের গুরুত্বও বাড়ছে। অর্থাৎ, ভবিষ্যতে হাতে লেখার দক্ষতার মূল্য কমে আসলেও এই দক্ষতা চর্চা ও রপ্ত করার জন্য মানুষের আগ্রহের অভাব হয়ত কখনোই হবে না।