ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৭১০

‘প্রটোকলের বাধা মানিনা’

ঘুষ যে দেবে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:২৩ ১৮ আগস্ট ২০১৯  

ছবি : সাইফুল কল্লোল

ছবি : সাইফুল কল্লোল

ঘুষ যে নেবে তার বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নিতে হবেই, ঘুষ যে দেবে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। এ নির্দেশনা দিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ নির্দেশনা দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিতে যে ঘুষ নেবে শুধু সে অপরাধী নয়, যে দেবে সেও অপরাধী। এই জিনিসটা মাথায় রাখা এবং সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তাহলে আমাদের অনেক কাজ দ্রুত হবে।

সম্পদের প্রতি মানুষের লোভের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্পদের তো সীমা আছে। মানুষ আসলে অন্ধ হয়ে যায় অর্থের জন্য। কিন্তু এটা ভুলে যায় যে মরে গেলে কিছু সাথে নেয়া যাবে না, কবরে একাই যেতে হবে। যা রেখে যাবে সেটা আর কোনোদিন কাজে লাগবে না। আর যদি বেশি রেখে যায় তবে ছেলে-মেয়ের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। ওই নিয়ে মারামারি কাটাকাটি শুরু হয়ে যাবে। এখন যেটা যথেষ্ট দেখা যায়।

তিনি বলেন, এই অন্ধের মত ছুটে বেড়ানো, আর নিজের সবকিছু নষ্ট করার কী অর্থ থাকে? কার কত আয়, আয় বুঝে ব্যয়; জীবনটা সবার ভালোভাবে চলুক সেটা আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়টা সামনে নিয়ে আসা- যে ঘুষ দেবে সেও যেমন দোষী, যে নেবে সে দোষী। তাহলে এভাবে যদি আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি, এটা নিয়ন্ত্রণ, করলে আমাদের অনেক কাজ আমরা দ্রুত করতে পারবো।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যথেষ্ট সক্রিয় আছে বলেও এসময় জানান প্রধানমন্ত্রী।
কে কত খরচ করলো তারও একটা হিসাব নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন সরকার প্রধান।

দেশে ডেঙ্গু সম্পর্কে দেশবাসীকে আরও সচেতন থাকার এবং এ বিষয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এবার শুধু আমাদের দেশেই নয়, আশপাশের অনেক দেশেই ডেঙ্গু দেখা গেছে। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে মহামারি আকারে- যেমন ফিলিপাইনে মহামারি আকারে দেখা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী ডেঙ্গু প্রতিরোধে পিএমও, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সিটি কর্পোরেশনগুলোর প্রচেষ্টায় সন্তোষ জানিয়ে এ ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, নিজের ঘর-বাড়ি ও কর্মস্থলের চারপাশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে নিজেকে সচেতন হতে হবে। যাতে কোথাও পানি জমে এ রোগ সৃষ্টিকারী লার্ভা জন্মাতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনও এই রোগের প্রকোপ অনেকটা রয়ে গেছে এবং বিভিন্ন জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। কাজেই এ ব্যাপারে আমাদের আরেকটু সতর্ক হতে হবে।

দেশের মানুষকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজের কাজটি নিজেই করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘পাশ্চাত্য বিশ্বের অনেক কিছুই আমরা অনুকরণ করতে চাই। কিন্তু তারা যেভাবে নিজেদের কাজটা নিজেরা করে, তা আমরা অনুকরণ করি না।’
দারিদ্র্য বিমোচন ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে, উল্লেখ করে যেকোনো কাজে নিজের কাছে যেকোনো সময় যে কাউকে যাওয়ার অনুমতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


তিনি বলেন, ‘আমাকে জনগণ ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী করেছে এটা ঠিক, কিন্তু আমি জাতির পিতার কন্যা, কাজেই সেই হিসেবে মনে করি, দেশের প্রতি আমার একটা দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। সেখানে প্রটোকলের বাধা আমি কখনও মানি না, মানতেও চাই না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই সবার সঙ্গে মিশতে, জানতে এবং কাজ করতে। আমরা সবাই একটা টিম হিসেবে কাজ করব, যাতে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়।’


 

 

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর