ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫০৯

তীব্র শীতে কম্বল সংকটে ভুগছেন জেলা কারাগারের কয়েদীরা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:২৫ ৩ জানুয়ারি ২০২০  

গরম কম্বল ছাড়াই তীব্র শীত কাটাতে হচ্ছে নারী ও শিশুসহ গাইবান্ধা জেলা কারাগারের ৯০০ কয়েদীকে। শীতে তাদের কম্বল দেয়া হয়নি। তাই গরমকালে দেয়া কম্বল দিয়েই শীত পোহাতে হচ্ছে। শীতের কম্বলের চাহিদার কথা উপর মহলকে জানালেও এখনো তা মেলেনি কয়েদীদের ভাগ্যে। 
সূত্র জানায়, কারাগারে নারী ওয়ার্ডে একজন নবজাতকসহ ৩৫ জন রয়েছেন। কারাগারের অভ্যন্তরে সব ওয়ার্ডে কয়েদী রয়েছেন ৮৬৫ জন। এদের কারো গায়েই শীতের গরম কাপড় নেই। অধিকাংশ কয়েদী দরিদ্র হওয়ায় শীত মেটানোর মতো গরম কাপড় কেনা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। সরকারিভাবে প্রতি কয়েদীর জন্য গরমকালে ৩টি কম্বল দেয়া হয়। এর মধ্যে একটি মাথার বালিশ, একটি বিছানা এবং অন্যটি গায়ে জড়ানোর জন্য। এ কম্বল দিয়ে গরমকাল পার করা গেলেও শীতকালে কয়েদীরা পড়েছেন বিপাকে।
গত কয়েকদিন ধরে যেখানে বাড়তি লেপ-তোষক ও জ্যাকেট গায়ে দিয়েও শীত নিবারণ হচ্ছে না; সেখানে একটি পাতলা কম্বল গায়ে দিয়ে শীতে কঠিন সময় পার করছেন কয়েদীরা। তাই শীত নিবারণ করতে কয়েদীরা জড়ো হয়ে অথবা কয়েকজন একত্র হয়ে কম্বল গায়ে জড়িয়ে শুয়ে বসে থাকছেন।
সূত্র জানায়,  কারাগারে এমনও অনেক কয়েদী আছে, যাদের পরনের একটি লুঙ্গি ও একটি গেঞ্জি ছাড়া গায়ে জড়ানোর মতো কিছু নেই। ফলে হাড় কাঁপানো এ শীতে দিন-রাত পার করতে তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। 
গাইবান্ধা জেলা কারাগারের সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, শীতে কয়েদীদের জন্য কম্বল প্রয়োজন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কম্বলের চাহিদার কথা জানানো হয়েছে।
প্রতিবছরই শীতে কয়েদীদের মধ্যে বাড়তি কম্বল দেয়া হয়। এবার এখনো বরাদ্দ না পাওয়ায় কম্বল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, শীতের তীব্রতার কারণে কয়েদীদের মধ্যে বিতরণের জন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে কোনো কম্বলের সংস্থান হয়নি। কিন্তু চেষ্টা চলছে।

জনদুর্ভোগ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর