ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
১৬৬

ফাইনাল খেলার ট্রফি ভাঙলেন ইউএনও, আলীকদমে উত্তেজনা (ভিডিও)

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৩০ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২  

ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে বিজয়ী ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারীর মধ্যে ট্রফি বিতরণ না করে প্রকাশ্যে ভেঙে ফেলেছেন বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলামে। গত শুক্রবার বিকেলে ফেসবুকে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে তার ট্রফি ভাঙার ভিডিও ভাইরাল হয়। এ নিয়ে উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার বিকেলে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে ইউএনওর অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। 

 

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার মোবাইল ফোন করা হলেও তা রিসিভ করেননি ইউএনও মেহরুবা ইসলাম ।ভিডিওতে দেখা যায়, খেলার ট্রফি আছড়ে ভাঙছেন তিনি।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই দিন বিকেলে উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের মাংতাই হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ‘আবাসিক জুনিয়র একাদশ’ বনাম ‘রেপারপাড়া বাজার একাদশ’ দলের ফাইনাল  হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম।

 

খেলায় দুই দল প্রথমে ৩৫ মিনিট করে ৭০ মিনিট খেলে। এতে ড্র হলে ম্যাচ ট্রাইবেকারে গড়ায়। তাতে ‘আবাসিক জুনিয়র একাদশ’ ৩ গোল করে। বিপরীতে ‘রেপারপাড়া একাদশ’ ১ গোল পায়। নিয়ম অনুযায়ী, ‘আবাসিক জুনিয়র একাদশ’ চ্যাম্পিয়ন এবং ‘রেপারপাড়া একাদশ’ রানার আপ হয়।

 

তবে খেলার ফলাফল নিয়ে রানার আপ দল ও তাদের সমর্থকরা আপত্তি তুলে। এর মধ্যেই পুরস্কার বিতরণের উদ্যোগ নেয় আয়োজক কর্তৃপক্ষ।  ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সেই অনুষ্ঠানে ইউএনও মেহরুবা ইসলাম উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে জানান, প্রত্যেক খেলোয়ারকে মেডেলগুলো দিয়ে যাবেন। ট্রফিগুলো আমানত হিসেবে থাকবে। আরেকটি খেলা হলে সেগুলো বিতরণ করা হবে।

 

এ নিয়ে দর্শকদের মতামত জানতে চান তিনি। সেসময় অনেকেই ‘না বলে। এরপর ইউএনও বলেন, তুচ্ছ ব্যাপার এটা। যদি ট্রফি না থাকত তাহলে আমরা খেলতাম না? জয়-বিজয় খেলায় থাকবেই।… আমি এখন ট্রফি ভেঙে খেলাটা শুরু করব। এরপরই টেবিলের ওপর পাশাপাশি রাখা ট্রফি দুটি আছড়ে ভেঙে ফেলেন।

 

ট্রফি ভাঙার প্রতিবাদে ও ইউএনওর অপসারণ দাবিতে আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালামের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। তিনি ফেসবুক থেকে ইউএনওকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করার হুমকি দেন।

 

এ প্রসঙ্গে চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি খেলায় উপস্থিত ছিলাম। ইউএনওর বক্তব্যকালে কেউ কেউ ‘ব্যাড সাউন্ড’ দেয়। বলা হয়, আবারও খেলতে হবে। এতে সাময়িক উত্তেজনা হয়।

 

এ ব্যাপারে খেলার আয়োজক সংগঠন ‘আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজ’ এর সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ট্রফি ভাঙার বিষয়ে আমাদের কোনো আন্দোলন বা কর্মসূচি নেই। যারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তাদের সঙ্গে আমাদের একাত্মতা নেই। এ বিষয়ে আমরা কোথাও অভিযোগও দেইনি।

 

তবে ট্রফি ভাঙার প্রতিবাদে ও ইউএনওর অপসারণ দাবি জানিয়ে শনিবার বিকেল ৪টায় উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ‘আলীকদম উপজেলা সর্বসাধারণ’ ব্যনারে  সমাবেশ হয়। সেখানে চেয়ারম্যান বলেন, ইউএনওর খেলার ট্রফি ভাঙা ঠিক হয়নি। তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে আলীকদম অচল হওয়ার আশঙ্কা আছে।