ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৯১৫

বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি সম্পন্ন, থাকছে ৫ স্তরের নিরাপত্তা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:২৪ ৭ জানুয়ারি ২০২০  

টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। ইতোমধ্যে ইজতেমার প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ইজতেমা ময়দানে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এবার ইজতেমায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ৮ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
এরই মধ্যে ময়দানের ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। প্রতিবছরের মতো এবারও বাড়তি পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠের ভেতর এবং বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
এদিন থেকে শুরু হওয়া প্রথম পর্বের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত হবে ১২ জানুয়ারি। মাঝে ৪ দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১৯ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইজতেমা ময়দানের বিশাল সামিয়ানা টাঙানো, রাস্তাঘাট মেরামত ও পয়ঃনিষ্কাশনের কাজ চলছে জোরেশোরে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় থাকছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ১৬০ একর জমির ওপর প্রায় ২ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিশাল চটের প্যান্ডেলের সামিয়ানার নিচে এ ইজতেমা হচ্ছে।
স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ময়দানে প্যান্ডেল তৈরির কাজ করছেন। এছাড়া রাস্তা মেরামত, মাইক টানানো, টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ময়দানের আগাছা পরিষ্কারের কাজ করছেন আগত মুসল্লিরা। বিদেশি নিবাস, বয়ান মঞ্চ, তাশকিল কামরা এরই মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
ইজতেমার মুসল্লি সেলিম মিয়া জানান, প্রায় ৭০ জন সাথী নিয়ে তিনি ময়দানে কাজ করতে এসেছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, তাদের ব্যবস্থাপনায় ৮টি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া মাঠের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৫টি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪টি এবং র‌্যাবের পক্ষ থেকে ১০টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। মাঠে ব্লিচিং পাউডার ও মশক নিধনের পর্যাপ্ত ওষুধ ছিটানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া ৭৫০টি বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপন ও ধুলোবালি যাতে না ওঠে সেজন্য পানি ছিটানোর ব্যবস্থা থাকছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মুসল্লির সমাগম সামনে রেখে প্রতিদিন সাড়ে ৩ কোটি গ্যালন পানির ব্যবস্থা থাকছে। বাড়তি টয়লেট নির্মাণ ও পাকা টয়লেটগুলো ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনে মুসল্লিদের কোনো সমস্যা হবে না।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তায় পুরো ইজতেমা ময়দান এবং এর আশেপাশে এলাকায় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। সিসিটিভি, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকছে পুরো ময়দানজুড়ে। খিত্তায় খিত্তায় নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। সার্বিক নিরাপত্তায় এবার ইজতেমায় ৮ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবে।
এবারের ইজতেমায় রেকর্ড সংখ্যক মানুষের উপস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বিশ্ব ইজতেমার মাঠের পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে। আগের খিত্তাগুলোর সঙ্গে এবার অতিরিক্তি ১৪টি খিত্তা যোগ করা হয়েছে।