ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৯৩২

সরকারি হাসপাতালের প্রথম সাফল্য

বুকের হাড় না কেটেই হার্টের বাইপাস

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৩০ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

সরকারি হাসপাতালে প্রথমবারের মত প্রচলিত ওপেন হার্ট সার্জারির পরিবর্তে বুকের হাড় না কেটেই হার্টে সফলভাবে বাইপাস সার্জারি করা হলো। সফল এ সার্জারি সম্পন্ন করলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (এনআইসিভিডি) হাসপাতালের একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। 
রোগীর নাম মো. মতিন। তার এক হার্টে থাকা দু’টি ব্লকের চিকিৎসায় মিনিমাল ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারির (এমআইসিএস) মাধ্যমে এ বাইপাস সার্জারি করা হয়। ওই রোগীর সার্জারিতে অংশ নেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। গেল সোমবার এ অপারেশনের মাধ্যমে রোগীর হার্টে থাকা দুটি ব্লকের জন্য বাইপাস সম্পন্ন হয়।

এর আগে, একই পদ্ধতিতে ওপেন হার্ট সার্জারির পরিবর্তে বুকের পাঁজরের হাড় না কেটে ১২ বছরের নূপুরের হৃদযন্ত্রে থাকা জন্মগত ছিদ্রের চিকিৎসায় সার্জারিতে অংশ নেয়া চিকিৎসকরাই এই সার্জারিতে অংশ নেন। ডা. আশ্রাফুল হক সিয়ামের নেতৃত্বে মিনিমাল ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারির (এমআইসিএস) মাধ্যমে পাঁজরের হাড় না কেটে একটি ছিদ্রের মাধ্যমে ওই রোগীর মিনিমাল ইনভেসিভ ডিরেক্ট করোনারি আর্টারি বাইপাস করা হয়।

ডা. সিয়াম বলেন, অপারেশনের পর রোগী ভালো আছেন। হাঁটতে ও চলাফেরা করতে পারছেন। অপারেশনের তিন দিনের মাথায় রোগী বাসায় চলে যাওয়ার উপযোগী ছিলেন। তবে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার পর্যন্ত রোগী মতিনকে হাসপাতালে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কোনো সমস্যা না থাকলে রিলিজ নিয়ে বাসায় যাবেন তিনি।

মতিনের অপারেশনে ডা. আশ্রাফুল হক সিয়ামের সঙ্গে অংশ নেয়া চিকিৎসকরা হলেন ডা. আসিফ, ডা. রুমু, ডা. শাহরিয়ার, ডা. ইসরাত, ডা. ওয়াহিদা, ডা. মনজুর, ডা. মইনুল ও ডা. আহসানারা। পারফিউশানে (রক্ত সঞ্চালন) ছিলেন ডা. রুবাইয়াত এবং এনেস্থেসিয়ায় (অচেতন করা) ছিলেন ডা. আজাদ ও ডা. রাজু। 
এর আগে, এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল গেল ২৫ আগস্ট ওপেন হার্ট সার্জারির পরিবর্তে বুকের হাড় না কেটে হার্টে (হৃদযন্ত্র) অপারেশন করা হয়েছিল ১২ বছরের শিশু নূপুরের। দেশের কোনো সরকারি হাসপাতালে প্রথমবারের মত ওই সফল অস্ত্রোপচারের পর মাত্র চারদিনের মাথায় হাসিমুখে বাসায় ফেরে নূপুর।