ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৫৬০

বুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের রুম সিলগালা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:২৯ ১২ অক্টোবর ২০১৯  

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) হলে হলে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে এ অভিযান শুরু হয়; যা এখনও চলমান রয়েছে। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জামী-উস সানির কক্ষসহ দুটি হলের তিনটি কক্ষ সিলগালা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালক মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তিনটি রুম সিলগালা করা হয়েছে। একইসঙ্গে অছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, আহসান উল্লাহ হলের ১২১ নম্বর কক্ষ, জামী-উস সানির ৩২১ নম্বর কক্ষ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আবরার হত্যা মামলার আসামি মেহেদী হাসান রাসেলের ৩০১২ নম্বর কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে। এসব কক্ষ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হতো। অন্যান্য হলের ছাত্রলীগের ব্যবহৃত কক্ষগুলোও রোববারের মধ্যে সিলগালা করা হবে।

বুয়েট প্রশাসন জানায়, ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর এদিন সকাল থেকে যেসব কক্ষে প্রাক্তন এবঙ চার সিটের কক্ষে দু’একজন ছাত্র থাকতেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। আগামীতে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

শুক্রবার বুয়েট প্রশাসন এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারির পর এ অভিযান শুরু হয়েছে।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েটে আবাসিক হলে অবৈধভাবে থাকা শিক্ষার্থীদের হলত্যাগ এবং ছাত্ররাজনীতি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পরে নোটিশ জারি করেছে তারা। 

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। চলমান আন্দোলনের জন্য সেখানে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়। ভর্তি পরীক্ষার কারণে সেই আন্দোলন শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে তারা এ ঘোষণা দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তবে ভর্তি পরীক্ষার জন্য ১৩ ও ১৪ অক্টোবর আন্দোলন শিথিল থাকবে। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সহযোগিতা করবেন।

ভারতকে ফেনীর নদীর পানি দেয়া নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী ফাহাদকে গেল রোববার রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আবরার হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা প্রথমে ১০ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামেন। গতকাল বুয়েট অডিটোরিয়ামে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। তিনি সেসময় ঘোষণা দেন, বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি থাকবে না। একইসঙ্গে অভিযুক্ত ১৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘোষণা দেন তিনি।