ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩১৮

যে ৩ সুগন্ধি বেশি পছন্দ করতেন মহানবী (সা.)

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:২৩ ৯ এপ্রিল ২০২৩  

মনপ্রাণ প্রফুল্ল করে সুগন্ধি। যার সৌরভে স্নিগ্ধতা অনুভব করেন ব্যবহারকারী। অনেকে একে রুহের খোরাক বলেন। এটি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নত। সুগন্ধির প্রতি তাঁর ভীষণ অনুরাগ ছিল। তিনি নিজেও ছিলেন যার আধার।

 

শুধু নবীজিই নয়, সব নবীর সুন্নত ছিল সুগন্ধি। হাদিস শরিফে ইরশাদ আছে, আবু আইয়ুব আল-আনসারি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ৪টি জিনিস নবীদের চিরাচরিত সুন্নত। সেগুলো হলো- লজ্জা ও শরম, সুগন্ধি ব্যবহার, মিসওয়াক করা এবং বিয়ে করা। (তিরমিজি, হাদিস : ১০৮০)

 

মহানবী (সা.) প্রচুর সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। তিনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে চারদিক সুগন্ধে ভরে যেতো। সুগন্ধির প্রতি আকর্ষণ নবী-রাসুলদের আদর্শ। 

 

নবীজি (সা.) সুগন্ধি ব্যাপক পছন্দ করতেন। কেউ তা উপহার দিলে কখনো প্রত্যাখ্যান করতেন না তিনি। (বুখারি, হাদিস : ৫৯২৯)

 

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ৩টি জিনিস নাকচ করা যায় না। সেগুলো হলো- বালিশ, সুগন্ধি তেল ও দুধ। (তিরমিজি, হাদিস : ২৭৯০)

 

তো নবীজি (সা.) কোন সুগন্ধিগুলো বেশি ব্যবহার করতেন। হাদিসের আলোকে সেগুলোর কয়েকটি নিচে তুলে ধরা হলো-

 

মেশক
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, উত্তম সুগন্ধি হলো মেশক। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৯২)

 

এদেশে মেশককে কস্তুরিও বলা হয়। মিলন ঋতুতে পুরুষ হরিণের পেটের কস্তুরি গ্রন্থি থেকে সুগন্ধ বের হয়। মেয়ে হরিণকে তা আকৃষ্ট করে। ঋতুর শেষে যা হরিণের শরীর থেকে খসে পড়ে। পরে সেটি রোদে শুকিয়ে কস্তুরি তৈরি করা হয়। 

 

চন্দন ও জাফরান
আল্লামা ইবনে আবদুল বার (রহ.) ‘তামহিদ’ নামক কিতাবে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-এর একটি হাদিস ব্যাখ্যা করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) জাফরান সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

 

মসলা ও খাবার হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়। এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এতে উন্নতমানের ক্যারোটিন থাকে। যাকে ক্রোসিন বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার কোষ-লিউকেমিয়া, ওভারিয়ান কারসিনোমা, কোলন অ্যাডেনোকারসিনোমা প্রভৃতি বিনষ্ট করতে সাহায্য করে এটি।

 

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, জাফরান স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। জাপানে পারকিনসন এবং স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া নানা রোগে তা প্রয়োগ করা হয়। 

 

আম্বর
হজরত আয়েশা (রা.)-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রাসুলুল্লাহ (সা.) কী ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। জবাবে তিনি বলেন, নবীজি (সা.) মেশক ও আম্বরের সুগন্ধি ব্যবহার করতেন। (নাসায়ি শরিফ, হাদিস : ৫০২৭)

 

সমুদ্রে এক ধরনের মাছ আছে। এ থেকে মোমের মতো জিনিস পাওয়া যায়। সেটি দিয়ে মহামূল্যবান এ সুগন্ধি তৈরি করা হয়।