ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৪৩০

রায়েরবাজার বধ্যভূমির দৃশ্য বিদেশিদের হতবাক করেছে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪৫ ১৪ ডিসেম্বর ২০২০  

এনসাইক্লোপেডিয়া ও ইতিহাস বইয়ে ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চালানো গণহত্যা গত শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ হিসেবে নথিভুক্ত হয়ে আছে। অনেক বিদেশিই রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে হতবাক হয়েছেন। তারা রায়েরবাজার বধ্যভূমির দৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়েছেন।

 

নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ‘ঢাকার কাছে ১২৫টি লাশ: সম্ভবত তারা অভিজাত বাঙালি’ শিরোনামে বড় আকারের রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে পরাজয়ের ঠিক আগে আগে কিভাবে পাকিস্তানি বাহিনী ও তার বাঙালি দোসররা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।

 

বধ্যভূমির অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী ভারতীয় সাংবাদিক বিকাচ চৌধুরী। তিনি আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান নিয়ে রিপোর্ট করতে ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি লিখেছেন, সর্বত্র আনন্দমুখর পরিবেশ সত্ত্বেও রায়ে বাজার বধ্যভূমির দৃশ্য তাকে প্রচণ্ড হতবাক করে দিয়েছিল।

 

বিকাচ চৌধুরী বলেন, একটি পরিত্যক্ত ইটখোলার ভেতরে আমি অসংখ্য বিকৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা ও ঢাকার সাংবাদিকরা আমাদের বলেছে, চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক আগে কিভাবে বাংলাভাষী আলবদর বাহিনী এসব নেতৃস্থানীয় বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছিল।

 

তিনি আরো বলেন, আমি এখনও চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি সাপ্তাহিক শিলাদত্তের সম্পাদকের ঝাঁঝরা লাশ কিভাবে পড়ে আছে, কিভাবে পড়ে আছে ড. ফজলে রাব্বির ক্ষতবিক্ষত লাশ। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের বাঙালি দোসরদের নৃশংসতা পুরো বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল। কারণ, এ হত্যাযজ্ঞ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছিল।

 

ভারতীয় সাংবাদিক বলেন, কৌশলগত অসুবিধার চেয়েও সীমাহীন নৃশংসতা ও নৈতিক অবক্ষয় পাকিস্তানের পরাজয়ের মূল কারণ হয়ে উঠেছিল।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর