ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৯৩৬

শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪২ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

 রাজধানীর শাহজাহানপুর রেল কলোনিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়ে ৫ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। উচ্ছেদ অভিযানে কলোনীর রেলওয়ের জায়গায় ৫টি মোটর গ্যারেজ, ৭টি রিক্সা গ্যারেজ,  কয়েক শ’ ঘর, দোকানপাট ক্লাবসহ তিনটি বস্তি ছাড়াও এক ডজন বিভিন্ন সমিতির অফিস গুড়িয়ে দেয়া হয়। 
মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রেলওয়ে কলোনির বিশাল জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা  ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্লাবসহ’ কয়েক শ’ বসতভিটা, দোকানপাট বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। 

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন।

রেলওয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর)  এ অভিযান শুরু হয়। দুটি বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। 

শাহজাহানপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান  জানান, কলোনীর পুরো এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বিল্ডিং বাদে যত অবৈধ স্থাপনা আছে সবগুলোই উচ্ছেদ করা হবে।  বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অভিযান চলবে। 
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় রেলওয়ের জায়গা দখল করে শাহজাহানপুর রেল কলোনীতে কয়েক শ বাড়ি গড়ে তোলা হয়। এসব ঘর ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে কোটি টাকার ওপরে  উঠানো হতো।  দখল পাকাপোক্ত করতে রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের কাছে ভাগ পৌঁছে দেয়া হতো। ওই এলাকায় বখাটেদের আড্ডার পাশাপাশি প্রতি রাতে জুয়া ও মাদকের আসর জমতো । 
বিশেষ করে কলোনীর ভেতরে কয়েক একর জায়গা দখল করে ৫টি গাড়ি মেরামতের গ্যারেজ স্থাপন করে দখলদাররা। এসব গ্যারেজর ভাড়া উঠতো মাসে কয়েক লাখ টাকা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনির, যুবলীগ নেতা শরিফ ও গ্রেফতার যুবলীগ নেতা খালেদ ভুইয়ার ক্যাডার রাজু এসব বস্তি ও গ্যারেজ থেকে ভাড়া তুলতো। 
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া বাংলাদেশ রেলওয়ে ল্যান্ড অ্যান্ড বিল্ডিংয়ের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম  জানান, মন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এ উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছি। এখানে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকতে দেয়া হবে না। 
তিনি আরো জানান, কলোনীতে যেসব কোয়ার্টার আছে সেগুলোতে কোন ভাড়াটিয়া থাকতে পারবে না। 
উচ্ছেদ অভিযানের প্রশংসা করেছেন কলোনীর বাসিন্দারা। তারা বলেন, এতদিন কোন মন্ত্রী উচ্ছেদ অভিযান চালাননি। সিবিএ নেতা পাতি নেতা আর স্থানীয় ক্যাডাররা যে যার মতো দখল করে ভাড়া আদায় করতেন। এবারের অভিযানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হওয়ায় কলোনীর পরিবেশ পাল্টে গেছে।