ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৮৪০

শীতের সকালে প্রতিদিন পান করুন খেজুরের রস

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:১১ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০  

কুয়াশা-ঢাকা শীতের সকালে টাটকা এক গ্লাস খেজুরের রসের তুলনা হয় না। এ মধুবৃক্ষ থেকে আহৃত রস কাঁচা ও জ্বাল দিয়ে পান করতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এটি দিয়ে তৈরি গুড় ও পাটালির জুড়ি নেই। 

 

শীতে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডার মধ্যে কাঁচা খেজুরের রস আহহ, এক কথায় অমৃত! শীতের পিঠা-পায়েসের একটি উপাদেয় উপাদান এটি। এ রসে তৈরি দানা, ঝোলা ও নলেন গুড়ের স্বাদ ও ঘ্রাণই আলাদা।

 

খেজুরের রস প্রচুর খনিজ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এতে ১৫-২০% দ্রবীভূত শর্করা থাকে, যা থেকে গুড় ও সিরাপ তৈরি করা হয়। খেজুরের গুড় আখের গুড়ের চেয়ে বেশি মিষ্টি, পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। ঘ্রাণ ও স্বাদের জন্য এর রয়েছে বিশেষ চাহিদা। 

 

খেজুরের গুড়ে আখের গুড়ের চেয়ে বেশি প্রোটিন, ফ্যাট ও মিনারেল রয়েছে। সকালে এ রসের সিরাপ দিয়ে রুটি খেলেই বেশি তৃপ্তি পাওয়া সম্ভব। 

 

যে কারণে পান করবেন খেজুরের রস 
এতে প্রচুর এনার্জি বা শক্তি রয়েছে। জলীয় অংশও বেশি। তাই একে প্রাকৃতিক 'এনার্জি ড্রিংক' বলা হয়। এ রসে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি থাকে। এটি কাঁচা, আবার জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করেও খাওয়া যায়। 

 

গুড়ে আয়রন বা লৌহ বেশি থাকে এবং হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে। যারা শারীরিক দুর্বলতায় ভোগেন, কাজকর্মে জোর পান না, খেজুরের রস তাদের জন্য দারুণ উপকারী। রস ও গুড়—দুটোই তারা খেতে পারেন।

 

যখন পান করবেন
খেজুরের রস ভোরবেলায় পান করা ভালো। সারারাত ধরে জমে থাকার পর সকাল সকাল এটি খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে সময় যত গড়াতে থাকে, তত এতে ফারমেন্টেশন বা গাঁজন প্রক্রিয়া হতে থাকে। ফলে স্বাদ নষ্ট হয় এবং অম্লতা বাড়ে। 

 

অন্ধকারে এ প্রক্রিয়া কম হয়। দিনের আলোতে গাঁজন বেশি হয়। তাই দিনের বেলা রস পান ঠিক নয়। এতে বমিসহ পেটের নানা সমস্যা হতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, খেজুরের রসে যেন কোনো পোকামাকড় মুখ না দেয়।


যতটুকু পান করবেন
একজন সুস্থ মানুষ সকালে এক থেকে দুই গ্লাস খেজুরের রস পান করতে পারেন। সকালে খালি পেটে পান করলেও সমস্যা নেই। যেহেতু এটি এনার্জি ড্রিংক, তাই শরীরে শক্তি জোগাতে পরিমাণমতো রস পান করা ভালো।


যেভাবে পান করবেন: পুষ্টিবিদদের মতে, রাতে বা সকালে রস পান করতে পারেন বা এর তৈরি বিভিন্ন খাবার খেতে পারেন। তবে রস যেহেতু খোলা অবস্থায় গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়, তাই এতে জীবাণু থাকতে পারে। এটা অস্বাস্থ্যকর। এজন্য হালকা আঁচ দিয়ে বা ফুটিয়ে নিয়ে পান করা ভালো। এছাড়া রস জ্বাল দিয়ে বিভিন্ন খাবার তৈরি করে খেতে পারেন।


যারা পান করবেন না
যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা খেজুরের রস এড়িয়ে যাবেন। এতে চিনির পরিমাণ বেশি।