ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৬৯০

শেখ হাসিনার বিকল্প আমাদের পার্টিতে নেই: কাদের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৩৫ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,অপর এক  প্রধানমন্ত্রী অবসরের কথা বলেছেন। আগেও অবসর নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের নেতাকর্মী কাউন্সিলরদের দাবির মুখে তা পারেননি। আসলে তিনি অনেকদিন ধরেই বলছেন, আর কত? আমি তো অনেকদিন দায়িত্ব পালন করলাম। বাস্তবতা হচ্ছে, এখনও শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প আমাদের পার্টিতে নেই। সেইসঙ্গে তার কোনো বিকল্প সমসাময়িক বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গণেও নেই। ৭৫পরবর্তীকালে গত ৪৩ বছরে তাকে কেউ অতিক্রম করতে পারেনি। তিনি সবাইকে এবং নিজেকেও অতিক্রম করে গেছেন। সেজন্য আমরা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তাকে বলেন স্টেটসম্যান।

 

তিনি বলেন, জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে।

স্বাধীনতার ৪৭ বছর জামায়াত এখন ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি কেন সামনে নিয়ে আসছে, এটা ঘোলাটে। এটি তাদের রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে (অফিসিয়ালি) এখনও কিছু বলেনি। তবে ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার চলছে, সেটা বন্ধ হবে না।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনও তারা ক্ষমা চায়নি। এটা স্পেকুলেশনের পর্যায়ে, আলোচনার পর্যায়ে, গুজব-গুঞ্জনের পর্যায়ে সীমিত আছে। এখনও তারা অফিসিয়ালি ক্ষমা চায়নি।

তিনি বলেন, আমি গতকাল বলেছি। তারা ক্ষমা চাওয়ার আগে আমাদের কোনো মন্তব্য করা সমীচীন না। তবে ক্ষমা চাওয়ার পরও মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধের যে বিচার চলছে, তা বন্ধ হবে না। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত, যাদের বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তাদের বিচার কাজ চলবে।

জামায়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। বিষয়গুলো তাদের দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। ধরনের খবর প্রকাশের পরও দলের ভেতরে যারা আছেন, তারা কেউ কেউ সরে যেতে পারেন। সেটা ওদের বিষয়। এখনও তাদের কোনো বিষয়ই ক্লিয়ার না। ইনটেনশনটা ক্লিয়ার হোক। তারপর নিয়ে মন্তব্য করা যাবে।

 

 

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তবে এই পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী যদি শারীরিকভাবে সুস্থ সবল থাকেন, আমার মনে হয় তার বিকল্পের চিন্তাভাবনা নেই। পাঁচ বছর পরে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় অক্ষম হবেন, অসমর্থ হবেন, এটা আমরা এই মুহূর্তে ভাবতে পারি না। আর তিনি ছাড়তে চাইলেও সময় পরিস্থিতি তাকে ছাড়বে কিনা, নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়বে কিনা সেটাও তো আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে।