শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক দরপতনের নেপথ্যে
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১২:১০ ২২ জুলাই ২০১৯
দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতন ঠেকানো যাচ্ছে না। টানা দরপতনের কারেন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে দাড়িয়েছে, যারা এখনও অপেক্ষায় আছেন তারাও বাজার থেকে শেয়ার বিক্রি করে যাবার পথ খুজছেন।
শেয়ারবাজারের পতনরোধে গত কয়েক মাসে নানা কার্যকরি সংস্কার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বহুদিনের চাহিদা বিনিয়োগসীমা সংশোধন, প্লেসমেন্ট শেয়ারে লক-ইন এর মেয়াদ বৃদ্ধি, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) সাধারন বিনিয়োগকারীদের কোটা বৃদ্ধি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের রি-ইনভেস্টমেন্ট ইউনিট (আরআইইউ) বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বিতর্কিত বুক বিল্ডিং পদ্ধতির সংশোধন করা হয়েছে। তারপরেও শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক পতন হচ্ছে। যদিও আইপিও’র মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসা কোম্পানির মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা রয়েছে। এছাড়া একটি কোম্পানির তালিকাভুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মধ্যে সৃষ্ট দুরত্ব বাজারে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরী হয়েছে।
দেখা গেছে, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৫৯৫০ পয়েন্ট। যা ২১ জুলাই কমে দাড়িঁয়েছে ৫০৩৪ পয়েন্টে। অর্থাৎ ৬ মাসে সূচক কমেছে ৯১৬ পয়েন্ট বা ১৫.৩৯ শতাংশ। এই পতনের ফলে সূচকটি বিগত আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে। আর এই পতনের কারন অনুসন্ধানে রবিবার (২১ জুলাই) ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।
সম্প্রতি একটি কোম্পানির তালিকাভুক্তি নিয়ে বিএসইসি ও ডিএসই কর্তৃপক্ষ দুই মেরুতে অবস্থান করছে। যা আরও ফুটে উঠেছে কমিশন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পূণঃনিয়োগ ঝুলিয়ে রাখার মাধ্যমে। গত মে মাসে কেএএম মাজেদুর রহমানকে ডিএসইর এমডি হিসাবে পূণঃনিয়োগের বিষয়ে অনুমতি চেয়ে বিএসইসিকে চিঠি দেওয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোন উত্তর দেয়নি বিএসইসি। এরইমধ্যে গত ১১ জুলাই ডিএসই থেকে বিদায় নিয়েছেন মাজেদুর রহমান। তবে কমিশনের কোন জবাব না পাওয়ায় মাজেদুর রহমানকে পূণ:নিয়োগ বা নতুন এমডির খোজেঁ বিজ্ঞপ্তি দিতে পারছে না ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম বিজনেস আওয়ারকে বলেন, শেয়ারবাজারে পতনের একটি কারন হচ্ছে সার্বিকভাবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট হয়েছে। তবে কেনো নষ্ট হয়েছে সেটা পরিস্কার না। আরেকটি কারন হচ্ছে ব্যাংক খাতের ঋণ সরবরাহ কমে গেছে। এতে অনেক বিনিয়োগকারী ঋণ পাচ্ছেন না। অন্যদিকে ঋণ কমে যাওয়ায় ব্যাংকের মুনাফা কমবে। এছাড়া একটি লিজিং কোম্পানি অবসায়ন হচ্ছে। অন্যদের অবস্থাও খুব একটা সন্তোষজনক না। এসব বিষয়গুলো বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তিনি বলেন, দাম নিয়ন্ত্রন করা কমিশনের কাজ না। তাদের দেখার বিষয় হচ্ছে কোন যোগসাজোশ হচ্ছে কিনা। এর বাহিরে দাম উঠলো কি কমলো, সেটা দেখা বিএসইসির কাজ না। সমস্যা হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের মানসিকতা। কয়েকজন বিক্রি শুরু করলেই অন্যরা বিক্রি শুরু করে। বিনিয়োগকারীদের এই মানসিকতার পরিবর্তন না হলে, চলমান পরিস্থিতি ঠেকানো বেশ মুশকিল। তাদেরকে বিচার বিশ্লেষন করে বিনিয়োগ করা উচিত। এখন শেয়ারবাজার অবমূল্যায়িত। ফলে এখন বিনিয়োগের অনেক সুযোগ আছে। কিন্তু আমাদের বিনিয়োগকারীরা সেদিকে কেনো এগোচ্ছে না, সেটা আমার কাছে পরিস্কার না। আর কোন একটি কোম্পানির ইস্যুতে সার্বিক বাজারে অনাস্থার সৃষ্টি হওয়া উচিত না বলে যোগ করেন তিনি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বিজনেস আওয়ারকে বলেন, গত কয়েকবছরে যেসব কোম্পানি শেয়ারবাজারে এসেছে, তার অধিকাংশ কোম্পানির নিরীক্ষিত প্রতিবেদনে নানা অসংগতি রয়েছে। এসব নিরীক্ষিত প্রতিবেদনের মান সর্ম্পক্যে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এছাড়া কোন কোম্পানির আর্থিক হিসাব গড়মিলের প্রমাণ পাওয়া গেলেও যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নজির নেই। শেয়ারবাজারে আসতে আগ্রহী কোম্পানিগুলোর নিরীক্ষকের মান স্পষ্টতই প্রশ্নবিদ্ধ। যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মনে নিরীক্ষকদের প্রতিবেদন সর্ম্পক্যে অনাস্থা তৈরী হয়েছে। বর্তমানে নিরীক্ষকের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগ করা রীতিমতো ভয়ের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ফলে যত সংস্কারই করা হচ্ছে না কেনো, তাতে শেয়ারবাজারে এই মুহূর্তে কার্যকরি ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে না। তবে স্টেকহোল্ডারদের দাবির প্রেক্ষিতে যেসব সংস্কার করা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদে তার সুফল পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে ব্যাংক ও লিজিং খাতের অংশগ্রহণ অনেক বেশি। আর এই খাত দুইটি ভয়াবহ সময় পার করছে। যাতে ব্যাংক ও লিজিং খাতের শেয়ারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। যা শেয়ারবাজারে পতনে বড় ভূমিকা রাখছে। আর এই পতনে সবাই নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। গ্রামীনফোনের মতো বড় মূলধনী কোম্পানির ট্যাক্স সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন না হওয়াও শেয়ারবাজার পতনের আরেকটি কারন।
গত ১৬ মে দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত বিনিয়োমসীমা সমাধানে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এলক্ষ্যে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা থেকে অতালিকাভুক্ত ( ইক্যুইটি শেয়ার, নন-কনভার্টঅ্যাবল প্রিফারেন্স শেয়ার, নন-কনভার্টঅ্যাবল বন্ড, ডিবেঞ্চার, ওপেন-ইন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড) সিকিউরিটিজকে বাদ দিয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যাতে শেয়ারবাজারে ব্যাংক থেকে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো যাবে।
আরআইইউ প্রদানের সুযোগের মাধ্যমে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা রয়েছে। তবে গত ১৬ জুলাই বিএসইসি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আরআইইউ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে আগামিতে বে-মেয়াদী এবং মেয়াদী উভয় ধরণের ফান্ডের ক্ষেত্রেই কেবল মাত্র নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা যাবে।
চলমান পতনের শুরুতে আলোচনায় উঠে আসে প্লেসমেন্ট বাণিজ্য। এর মাধ্যমে টাকা বাজার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ জুলাই প্লেসমেন্ট শেয়ার বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) পূর্ব ইস্যুকৃত শেয়ারে লক-ইন ২ বছর করে পাবলিক ইস্যু রুলসের সংশোধনীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। যা প্রসপেক্টাসের সংক্ষিপ্ত সংস্করন প্রকাশের দিনের পরিবর্তে লেনদেন শুরুর দিন থেকে গণনা করা হবে। তবে প্লেসমেন্ট শেয়ার ইস্যুর পরে আইপিও অনুমোদনে ৪ বছরের বেশি সময় লাগা কোম্পানির ক্ষেত্রে ১ বছর লক-ইন করা হয়েছে।
আইপিওতে কোটা বাড়ানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে সাধারন বিনিয়োগকারীরা। এ লক্ষ্যে কমিশন বুক বিল্ডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সাধারন বিনিয়োগকারীদের কোটা ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হবে। অন্যদিকে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ এবং সাধারন বিনিয়োগকারীদের কোটা ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরও কোন কাজ হচ্ছে না। বাস্তবে বিনিয়োগ কারীদের আস্থা নষ্ট হওয়ার কারনে পুজিবাজারে অস্বাভাবিক দরতপন ঘটছে।
- এসি নেই? ঘর ঠান্ডা রাখতে যা করবেন
- হিট অ্যালার্ট নিয়ে দুঃসংবাদ
- তীব্র গরমে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে ফিলিপাইনে
- থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- আব্দুল মোনেম গ্রুপের আমদানি-রপ্তানি স্থগিত ও ব্যাংক হিসাব জব্দ
- এমপি-মন্ত্রীর স্বজনরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে ব্যবস্থা
- দুই দিনে সোনার দাম কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা
- হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয়
- আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনা দিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
- ইসরায়েলকে কড়া হুঁশিয়ারি ইরানের
- তীব্র গরমে এসি বিক্রির হিড়িক: কেনার আগে যেসব বিষয় মনে রাখবেন
- নির্দেশনা মানছেন না চালের মিল মালিকরা
- ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী পদক নিলেন বন্যা
- সব ধরনের ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে
- সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
- এই গরমে আইসক্রিম তৈরির সহজ রেসিপি
- তুলতুলে রসমালাই বানাবেন যেভাবে
- ইউটিউব দেখে পেঁয়াজ চাষে সফল শিক্ষার্থী মুনিরুল
- ছিনতাই থেকে মুক্তি: জাহাজে যা ঘটেছিল সাক্ষাৎকারে সব জানালেন নাবিক
- অসহ্য গরমে সুস্থ থাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- বিশ্বের যেসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সংশোধিত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৬ হাজার
- গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যেসব পরামর্শ দিলেন চিফ হিট অফিসার
- হজযাত্রীদের লাগবে যে পরীক্ষার রিপোর্ট
- দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী
- হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে যা করবেন
- একদিনেই হিটস্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু
- ইসরায়েলি অস্ত্র আমাদের বাচ্চাদের খেলনা: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বোরকা পরে গেলে ডিসকাউন্ট চাই: বুবলী
- ঢাকায় ঈদ পুনর্মিলনী
ক্রীড়া-শিল্প-সংস্কৃতির উৎকর্ষে মডার্ণ পাইথিয়ান গেমস - গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যেসব পরামর্শ দিলেন চিফ হিট অফিসার
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশ
- লেবুপানি খাবেন যে কারণে
- ইউটিউব দেখে পেঁয়াজ চাষে সফল শিক্ষার্থী মুনিরুল
- গরিবদের জন্য চার চাকা আনলো পিয়াজ্জিয়ো
- সাবমেরিন ক্যাবল বিচ্ছিন্ন, ইন্টারনেটে ধীরগতি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: সারাদেশে স্কুল-কলেজ ৭ দিন বন্ধ
- প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকবেন যেভাবে
- নৌকায় চড়ে জরুরি কাজ সারছেন শারজাহবাসী
- পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি
- ইরানে হামলা: নাগরিকদের ইসরায়েল ছাড়তে বললো অস্ট্রেলিয়া
- প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করলে প্রেমিকা দায়ী নয়:দিল্লি হাইকোর্ট
- আইপিএল থেকে মুস্তাফিজকে ফেরাতে বিসিবির সঙ্গে একমত সুজন
- ইসরায়েলে ফ্লাইট স্থগিত করছে আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসগুলো
- ঢাকায় ভিসা কেন্দ্র খুললো চীন
- খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
- দেশে নিবন্ধিত নিউজ পোর্টালের সংখ্যা ২১৩: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ছিনতাই থেকে মুক্তি: জাহাজে যা ঘটেছিল সাক্ষাৎকারে সব জানালেন নাবিক
- হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যে নির্দেশনা দিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর