সফলভাবে অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নিয়মকানুন

ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ সম্পর্কিত নির্দেশনা জারিও করা হয়েছে।

মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনায় সরকার প্রথাগতভাবে বার্ষিক পরীক্ষা নিচ্ছে না। অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে তাদের অর্জিত শিখনফল মূল্যায়ন করা হবে। ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ভিত্তিতে কোন সপ্তাহে শিক্ষার্থীর কী মূল্যায়ন করা হবে, সেটা বিবেচনায় নিয়ে নির্ধারিত কাজ প্রণয়ন করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

# প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অ্যাসাইনমেন্টে অংশগ্রহণ করতে হবে।
# সপ্তাহে তিনটি করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবে শিক্ষার্থীরা।
# অ্যাসাইনমেন্ট অভিভাবক বা অন্য কারও মাধ্যমে বা অনলাইনে সংগ্রহ ও জমা দেয়া যাবে।

# সপ্তাহের শুরুতে ওই সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্টগুলো দিয়ে দেয়া হবে।
# ব্যখ্যামূলক প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন, সৃজনশীল প্রশ্ন, প্রতিবেদন প্রণয়ন ইত্যাদি এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ।
#শিক্ষার্থীদের সাদা কাগজে নিজের হাতে লেখা অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে।
#শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে মূল্যায়নের সব রেকর্ড যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। 

নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্ধারিত বিষয়গুলোর প্রস্তাবিত অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সব কাজ প্রতিষ্ঠানকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, গেল ১৬ মার্চ পর্যন্ত মাধ্যমিকের ক্লাস হওয়ার পর কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের নির্ধারিত পাঠ্যসূচি পড়ানো সম্ভব হয়নি। তাই চলতি বছরের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্ত করে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।

গেল ১৬ মার্চ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা বিবেচনায় দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার ১৮ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এরপর দফায় দফায় ২৫ এপ্রিল, ৫ মে, ৩০ মে, ৬ আগস্ট, ৩১ আগস্ট, ৩ অক্টোবর ও ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সেসবে ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ এই ছুটির মেয়াদ বেড়েছে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা রক্ষায় অনলাইন, টিভি ও বেতারে ক্লাস চালিয়ে আসছে সরকার।