ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১১৩৭

সব খাদ্যের সেরা দুধ, কিন্তু কেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৩২ ২০ অক্টোবর ২০১৯  

প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের অতি প্রিয় পানীয় দুধ। শাস্ত্রে একে বলা হয় পৃথিবীর অমৃত। এটি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে শরীরকে রোগমুক্ত রাখে। মূল কথা, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর ভূমিকা অপরিসীম। সর্বোচ্চ পুষ্টিমানের জন্যই দুধ সব খাদ্যের সেরা। 
খাদ্যের প্রধান ছয়টি উপাদানই একসঙ্গে পাওয়া যায় এতে। প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম বেশি পাওয়া যায়। যা হাড়ের গঠন ও শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য খুবই প্রয়োজন। দুধের অপরিহার্য উপাদান ল্যাকটোজ, যা দৈহিক গঠন, বিকাশ ও মেধা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

গরুর দুধে আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ যেমন ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, কোবাল্ট, কপার, জিংক, আয়োডিন ও সেলিনিয়াম। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ক্যানসার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে এর শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে। দুধের কম্পজিশনে পানি ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ, ল্যাকটোজ ৪ দশমিক ৮ শতাংশ, ফ্যাট ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, প্রোটিন ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। গরুর দুধ সব পুষ্টির আধার ও শক্তির উৎস।

বিশেষ করে প্রবীণদের জন্য ননীমুক্ত দুধ বিশেষ উপকারি। অন্তঃস্বত্ত্বা নারীদের প্রথম তিন মাস ২৫০ মিলি (হাফ গ্লাস) দুধ খাওয়া প্রয়োজন। ৬ মাস পর্যন্ত সময় ৩৫০ মিলি (এক গ্লাস) ও ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত ৫০০ মিলি (দুই গ্লাস) দুধ খাওয়া খুবই উপকারি। এছাড়া সামান্য কাঁচা হলুদ দিয়ে দুধ রান্না করলে তা শরীরের সৌন্দর্যের জন্যও বিশেষ উপকারি। কাঁচা দুধের পুষ্টির পরিমাণ বিভিন্ন প্রাণীর ক্ষেত্রে ভিন্ন হলেও তাতে প্রচুর পরিমাণে সম্পৃক্ত স্নেহ পদার্থ, প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।