ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৬৮৭

সমুদ্র সৈকতে পর্যটক নিষিদ্ধ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১০:৪৮ ১৯ মার্চ ২০২০  

কক্সবাজার কুয়াকাটাসহ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সব ধরনের জামায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে টু্যরিস্ট পুলিশ।  জনসমাগম এড়াতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে মাইকিং করছে পুলিশ প্রশাসন ।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সরকারি ছুটি থাকায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে যেন ঈদের আমেজ! কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে প্রচারণা সত্ত্বেও হাজার হাজার লোকের ভিড় সামলাতে  হিমশিম খেতে হয়েছে স্থানীয় পুলিশকে। এ অবস্থায় সমুদ্র সৈকত এলাকায় সব ধরনের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার। এর পরই  পুলিশ সদস্য  দর্শনার্থীদের সৈকত এলাকা থেকে সরে যেতে মাইকিং করেন।


বান্দরবান ভ্রমণে  নিষেধাজ্ঞা : পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে দেশি-বিদেশি প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে বান্দরবানে। কিন্তু করোনার কারণে দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণের ওপর সাময়িক নিষেধজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বুধবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে  হয়। স্বাধীনতা দিবসে টানা তিন দিনের ছুটি থাকায় নীলাচল, নীলগিরি, চিম্বুক, মেঘলা, স্বর্ণমন্দির, শৈলপ্রপাতসহ টুরিস্ট স্পটগুলোতে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকের সমাগমের আশঙ্কায় এ নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসমাগম এড়াতে বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলোতে ভ্রমণে পর্যটকদের সাময়িক নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ অব্যাহত থাকবে।

পর্যটকশূন্য কুয়াকাটা : সাগরকন্যা কুয়াকাটা এখন পর্যটকশূন্য। বুকিং বাতিল করছেন পর্যটকরা। অনির্দিষ্টকালের জন্য হোটেল-মোটেল বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও। পর্যটকদের নিরাপদে যার যার গন্তব্যে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এমন সংকটে হতাশ হোটেল-মোটেল মালিকরা। রেস্টুরেন্ট ও পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীরাও অলস দিন পার করছেন। মাহিম ফ্যাশনের মালিক মো. আনোয়ার বলেন, ‘আগে একদিনে যা বিক্রি হইত, এখন তা এক সপ্তাহেও হইতাছে না।’ খান প্যালেস আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক মো. রাসেল খান বলেন, ‘অগ্রিম বুকিং বাতিল হয়ে গেছে। নতুন করে কোনো পর্যটক আসছে না।’
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র এএসপি মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ‘আমরা পর্যটকদের সতর্কতা করছি।  কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

 কুমিল্লার সব বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা : করোনার সংক্রমণ রোধ ও জনসমাগম এড়াতে কুমিল্লার নগরউদ্যান এবং শিশুপার্কসহ সরকারি-বেসরকারি সব বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এ ছাড়া জেলার প্রতœতাত্ত্বিক স্থান শালবন বিহার ও কোটবাড়ি জাদুঘরসহ জেলার সব দর্শনীয় স্থানগুলোতেও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কুমিল্লার কোটবাড়ি ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহারের কাস্টোডিয়ান মো. হাফিজুর রহমান জানান, কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জেলার সব  দর্শনীয় স্থানগুলো মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

জনসমাগম এড়াতে কুমিল্লা নগরীর ঈদগাহ মাঠের ফটকে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘করোনা ভাইরাস যাতে না ছড়ায়, সে জন্য জনসমাগম হয় এমন জায়গাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রকোপ কমলে সেগুলো পুনরায় খুলে দেওয়া হবে।’


গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারিপার্ক বন্ধ : করোনার ঝুঁকি এড়াতে এবার বন্ধ ঘোষণা করা হলো গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারিপার্ক। আগামী শুক্রবার থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত পার্কে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান পার্কটি পরিদর্শন করে এ সিদ্ধান্ত নেন। 

এদিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর কাটাগড়ের মেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড় দেওয়ান শাগের শাহের (রহ) উরস উপলক্ষে প্রায় আড়াইশ বছর ধরে ১২ চৈত্র ঐতিহ্যবাহী এ মেলাটি বসে।