সিলভার কার্প নিয়ে বিপাকে আমেরিকা!
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১৯:২৮ ২ আগস্ট ২০১৯
সিলভার কার্প বা ব্রিকেট জাতীয় মাছ আমেরিকায় কখনো ছিল না। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে এই মাছের আমদানি ঘটে দেশটির ক্যাটফিশ চাষীদের হাতে। মাছের খামারে বা পুকুরে অত্যধিক শ্যাওলার বিস্তারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তারা। এই জলজ উদ্ভিদের হাত থেকে বাঁচতেই এশিয়া থেকে কার্প জাতীয় মাছ নিয়ে যান তারা। বাণিজ্যিক স্বার্থে সরকারও তাদের তখন অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু কে জানতো সেই মাছই এক সময় বিপাকে ফেলবে আমেরিকানদের!
কার্পের বংশবৃদ্ধি ঠেকাতে এখন ক্যানটাকি, টেনেসি, ইলিনয়েস, মিসৌরী অঙ্গরাজ্যের সরকার রীতিমতো হিশশিম খাচ্ছে। এসব অঞ্চলের নদ-নদী, হ্রদ ও জলাশয়ে কার্পের সংখ্যা এতোই বেড়েছে যে অন্যান্য প্রজাতির মাছ প্রায় খাদ্য সংকটে পড়েছে। কার্পের অত্যাচারে হুমকির মুখে পড়েছে ক্যানটাকি এবং বার্কলে হ্রদের বিলিয়ন ডলারের পর্যটন শিল্প।
সত্তুরের দশকে শ্যাওলার বংশ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে আনা কার্প মাছেরই বংশ ধ্বংস করার নানা উপায় খুঁজছে প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রে এসব প্রজাতির মাছকে বলা হয় ‘এশিয়ান কার্প’। অনেকে খানিকটা তাচ্ছিল্যের স্বরেই এ নামে ডাকে। সেখানে এ মাছ কেউ পাতে তোলেন না। এর একটা বড় কারণ সূক্ষ কাঁটা (ফিশবোন)!
ক্যানটাকির মত্স্য ও বন্যপ্রাণি সম্পদ দফতরের মত্স্য বিভাগের পরিচালক রন ব্রুক বলেন, বার্কলে ড্যামের কাছে এশিয়ান কার্পের সংখ্যা গণনার জন্য এখন ইলেক্ট্রিক শক ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবে শক দিলে মাছ মরে না কিন্তু লাফিয়ে উঠে কিছুক্ষণের জন্য অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন এদের সংখ্যা গণনা করা যায় অথবা চাইলে মাছ ধরাও যায়। এভাবে ড্যামের আশেপাশের মাছ ধরে নির্দিষ্ট কিছু ক্রেতার কাছে বিক্রিও করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে কার্প জাতীয় মাছের প্রধান ব্যবহার সার তৈরিতে। এরপরই আছে মাছ ধরার টোপ এবং মানুষের খাবার তৈরি।
ফিশারিজ বিভাগের তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রে চার প্রজাতির কার্প পাওয়া যায়। এর মধ্যে এশিয়ান ও সিলভার কার্পই প্রধান। এগুলো এক একটি সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ কেজি পর্যন্ত হয়।
ব্রুক বলেন, খামারিরা বুঝতে পারেননি যে শ্যাওলা ধ্বংস করার জন্য আনা কার্পগুলো তাদের অজান্তেই নদীতে চলে যাবে। তবে নদী পর্যন্ত পৌঁছাতে তাদের ত্রিশ বছর সময় লেগেছে। ভালো উদ্দেশ্যে আনা হলেও এখন এগুলো আমাদের জন্য সাক্ষাৎ বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে!
কার্প জাতীয় মাছ যেকোনো শব্দ বা গোলযোগের প্রতি খুবই সংবেদনশীল। এ কারণে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চললেই এগুলো দিগবিদিক লাফাতে শুরু করে। সিলভার কার্প ১০ ফুট পর্যন্ত লাফাতে পারে। এসব মাছের কারণে টুরিস্ট বোটগুলো প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পর্যটকরাও আঘাত পান। আর স্ট্রেসের সময় কার্প জাতীয় মাছের শরীর থেকে রক্ত ও মিউকাস বের হয়। ফলে টুরিস্ট বোটগুলো পিচ্ছিল হয়ে যায়।
এদিকে ক্যানটাকি ও বার্কলে হ্রদ কর্তৃপক্ষ কার্পের সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে একটি পদ্ধতির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। এ দুটি অঙ্গরাজ্যে মাছ শিকার সংক্রান্ত পর্যটনের ব্যবসা বছরে একশ কোটি ডলারেরও বেশি। ফলে অর্থনীতির স্বার্থে এ শিল্প কর্তৃপক্ষকে বাঁচাতেই হবে।
বার্কলে হ্রদে কাপ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে পরীক্ষামূলকভাবে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বন্যপ্রাণি বিভাগের প্রকল্পটির আওতায় হ্রদের প্রবেশ মুখে ‘বায়ো অ্যাকুস্টিক ফিশ ফেন্স’ স্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ এই বেড়া থেকে সৃষ্ট বুদবুদ শব্দ ও আলো ছড়ায়। ফলে কার্পের মতো শব্দ সংবেদনশীল প্রাণী দূরে চলে যায়। পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে স্যামন মাছের বিচরণপথ পরিবর্তনে এক সময় এই কৌশল ব্যবহার করা হতো। এটি সফল হলে কার্প নিয়ে বিপাকে থাকা অন্যান্য অঙ্গরাজ্যও এ পদ্ধতি ব্যবহার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্যানটাকি মত্স্য বিভাগ এ বছর সাড়ে ২২ হাজার কেজির ওপর কার্প মাছ শিকারের আশা করছে। এসব মাছ বিক্রি করা হবে স্থানীয় চীনা ব্যবসায়ীদের কাছে। তারা এই মাছ প্রক্রিয়া করে তাদের দেশে মানবখাদ্য হিসেবে রফতানি করে। পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে মাছ শিকারের একটি উদ্যোগ নেয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। সূত্র: সিএনএন
- কবর জিয়ারতে যেসব কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
- আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান ফর দ্য কান্ট্রি: তারেক রহমান
- জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনা এনসিপির
- শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে
- শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ মেসি
- শ্রদ্ধার খুব জেদ, আলিয়া-অনন্যার চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেয়: শক্তি
- তারেকসহ নির্বাসন থেকে ফেরা বিশ্বের নেতাদের সাতকাহন
- নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর পরিচয়
- শীতে পানি পান করবেন কতটা
- ৫৮তম সেঞ্চুরিতে ১৬ হাজারি ক্লাবে কোহলি
- আতাউর রহমান বিক্রমপুরীকে নিয়ে যা জানা যাচ্ছে
- দেশে ফিরে ৩ দিন যেখানে যাবেন, যা করবেন তারেক রহমান
- নতুন রূপে ধরা দিলেন রুনা, কাড়লেন মন
- চাঁদাবাজরা ট্রেলার দেখিয়েছে, পিকচার আভি বাকি হ্যায়: হাসনাত
- ইসলামে গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার শাস্তি কী?
- শীতকালে চুল পড়া বাড়ে কেন?
- হাদি হত্যা: ফয়সাল ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ৮ অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ
- দাদির কোলে ছবি দিয়ে জাইমার আবেগঘন পোস্ট
- কবীর সুমনের কথায় কেঁদে ভাসালেন শুভশ্রী!
- বিপিএলের উত্তাপ শুরু, আসতে শুরু করেছেন বিদেশিরা
- বিশ্ববাজারেও স্বর্ণের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ
- আইনের শাসন কাকে বলে দেখিয়ে দিতে চাই: সিইসি
- আইনের শাসন কাকে বলে দেখিয়ে দিতে চাই: সিইসি
- পত্রিকা অফিসে হামলা জাতির জন্য লজ্জার: সালাহউদ্দিন আহমদ
- ভোটে লাখ সেনা মোতায়েন, যৌথ বাহিনীর অভিযান শিগগিরই
- ভারতকে উড়িয়ে ১৩ বছর পর চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান
- গলা ব্যথা হয় যেসব কারণে
- মনে পড়ে কি সেই শাকিল খানের কথা?
- পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ, যেভাবে ভোট দেবেন প্রবাসীরা
- হাদি হত্যা: মামলায় ৩০২ ধারা সংযোজনের আদেশ
- শীত কি সত্যিই প্রেমের মৌসুম?
- মেসির ‘অমরত্বের’ তিন বছর
- মনে পড়ে কি সেই শাকিল খানের কথা?
- গলা ব্যথা হয় যেসব কারণে
- ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র চালু
- `৭১-এর পর বাংলাদেশে ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে’ ভারত
- ওসমান হাদি: জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ের ৭ দিন
- নিয়ম মেনে চলার পরও ওজন কমছে না? জেনে নিন সমাধান
- পত্রিকা অফিসে হামলা জাতির জন্য লজ্জার: সালাহউদ্দিন আহমদ
- মেহজাবীনের মামলার শুনানি পেছাল
- বাংলাদেশের বিদায়, ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান
- ‘সেভেন সিস্টার্স স্বাধীন কর’ স্লোগান: বাবর বললেন, ‘দুঃখজনক’
- প্রথম আলো-ডেইলি স্টার সম্পাদককে ইউনূসের ফোন
- শীতকালে চুল পড়া বাড়ে কেন?
- হাদির মৃত্যুতে তারকাদের কে কি লিখলেন
- মেয়েকে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর সকালে ঢাকায় নামবেন তারেক রহমান
- আইপিএল: মোস্তাফিজকে কত দিনের এনওসি দিলো বিসিবি
- নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর পরিচয়
- দাদির কোলে ছবি দিয়ে জাইমার আবেগঘন পোস্ট
- পোস্টাল ব্যালট প্রেরণ, যেভাবে ভোট দেবেন প্রবাসীরা


