ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
১৫০৪

সৈয়দ আশরাফ আর নেই

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:৩১ ৩ জানুয়ারি ২০১৯  

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই  (ইন্না লিল্লাহি ...  রাজিউন)।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

তার পরিবার ও  প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গুরুতর অসুস্থতার কারণে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন তিনি।

 

দেশে না থেকেও রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ।

 

বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শপথ নেয়ার জন্য সময় চেয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন।

তবে শেষ পর্যন্ত আর শপথ নেয়া হলো না এই নিবেদিতপ্রাণ নির্লোভ, সৎ রাজনীতিকের। স্পিকারকে চিঠি দেয়ার পরদিনই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের জানুয়ারি ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমএ ডিগ্রী লাভ করেন।

পারিবারিক ঐতিহ্যের সূত্র ধরে তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৫ সালের নভেম্বর কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিনি যুক্তরাজ্য চলে যান। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সৈয়দ আশরাফ।

আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের তিনি নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি এক কন্যার জনক।