ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩৪৬

হাসপাতালে রোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার আহ্বান ওবাদুল কাদেরের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৩৮ ১৮ জুলাই ২০২০  

করোনাভাইরাস সংকটে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার যথাযথ পরিবেশ তৈরি করে রোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বলব, আপনারা রোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনুন, হাসপাতালমুখী হওয়ার পরিবেশ তৈরি করুণ। হাসপাতালের উপর নানা কারণে রোগীদের আস্থার সংকট তৈরি হওয়ায় রোগী কমছে। তাই আশা করব আস্থা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করবেন।

তিনি বলেন, রোগীর অভাবে কোনও কোনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে এমন সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে। সংক্রমণের বর্তমান স্তরে রোগীর সংখ্যা কম নয়। এছাড়া সাধারণ রোগী তো রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে হাসপাতাল বন্ধ রাখা সমাধান নয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, লাগাম টেনে না ধরতে পারলে করোনা সংক্রমণ উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছেন৷ আসন্ন ঈদে জনসমাগম যেকোনো মূল্যে এড়িয়ে চলতে হবে। গণপরিবহন চলাচল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 
স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রত্যেককে ঈদযাত্রায় নিজের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পশুর হাট, লঞ্চ, বাস, ট্রেন স্টেশন, ফেরী ঘাট, শপিং মলসহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের সর্বোচ্চ সামাজিক দূরত্ব মানার চেষ্টা করতে হবে। মাস্ক পরিধান অবশ্যই করতে হবে। জীবনকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য জীবিকা অর্জনে চলাচল যেন জীবনহানির ঝুঁকিতে না পড়ে, সেদিকে আমার সর্বোচ্চ খেয়াল রাখতে হবে।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, শুরু থেকেই একটি মহল সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করাকেই দেশ ও জনগনের প্রাতি দায়িত্ব পালন হিসেবে ব্রত করে নিয়েছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযানকে তারা সহযোগিতা ও সমর্থন না দিয়ে বরং অন্ধ সমালোচনা করছে। সরকার নাকি অনিয়মকারীদের পৃষ্টপোষকতা দিয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি জানতে চাই আপনাদের সময়তো দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল, ছিল দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্য তখন কি এ ধরনের একটি সাহসী উদ্যোগ নিতে পেরেছিলেন? পেরেছিলেন দলীয় সংকীর্ণতার ঊধ্বে উঠে কিছু করতে? পারেন নি। যারা গ্রেনেড হামলার বিচার করতে গিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছে, চলমান অভিযানকে নাটক বলে পরিহাস করা তাদের মুখেই মানায়। যারা নাটক করে, নাটক সাজায় তারা সব কিছুতেই নাটক দেখতে পাবেন। এটাই স্বাভাবিক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, চলমান অভিযান অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্ব-প্রণোদিত হয়ে নিজ উদ্যোগেই এসব অভিযান পরিচালনা করেছেন। কোনও দল বা মহল এসব অনিয়মের কথা আগে তুলে ধরেনি। সরকারই উদঘাটন করেছে কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, এ থেকে বুঝা যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা আন্তরিক এবং কঠোর অবস্থান। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনও অনিয়ম দুর্নীতি প্রশ্রয় পাবে না। দুর্নীতিবাজদের, দুর্বৃত্তদের কোনও দলীয় পরিচয় নেই। গুটি কয়েক মানুষের লোভ প্রতারণার কাছে জনসাধারণের আশা আকাঙ্খা জিম্মি হতে পারে না। তাদের স্বপ্ন সাধনা ও দিনরাত পরিশ্রম বর্ণহীন হতে পারে না।

মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার এদেশের জনমানুষের আশা আকাঙ্খাকার প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দেয়। তাই যারা জনস্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যক্তি স্বার্থ সুরক্ষায় অপপ্রয়াস চালাবে তাদের রক্ষা নাই। জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি তা করতেই হবে। সততা ও নিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে দল ও সরকার পরিচালনা করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এদেশে রাজনীতিতে সততার প্রতীক বঙ্গবন্ধু পরিবার। তাই শেখ হাসিনা ও সরকারের অর্জন আমরা কিছু ব্যক্তির লোভের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দিতে পারি না।