ঢাকা, ০৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৫ || ২১ কার্তিক ১৪৩২
good-food
৩৯৭

ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১০:১৪ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

শনিবার দলের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। যৌথসভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, রংপুর-৩ এর উপ-নির্বাচন এবং কয়েকটি উপজেলার প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে আয়োজিত এ বৈঠকে ছাত্রলীগের প্রসঙ্গ তোলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। বিশেষ করে তারা দুপুরের আগে ঘুম থেকে ওঠে না। এ সময় মনোনয়ন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরাও আলোচনায় অংশ নেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত অপেক্ষা করা, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে পৌঁছানোর পর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুষ্ঠানে যাওয়া এবং সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদকে প্রধান অতিথি করে আয়োজন করা ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে একই ধরনের অপর একটি ঘটনার কথা এ সময় উঠে আসে। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজের সম্মেলনের দুই মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও কমিটি দিতে না পারা, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি করার বিষয়ে অনৈতিক অর্থনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ আসা, কেন্দ্রীয় কমিটিতে অনেক বিতর্কিত, বিবাহিত ও জামায়াত-বিএনপি সংশ্লিষ্টদের পদায়ন করার বিষয়ে এ সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

একইসঙ্গে বাদ পাড়াদের সংখ্যা উল্লেখ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও তারা কারা সেটা স্পষ্ট না করা ও পরে বাদ দেওয়ার ঘোষণা কার্যকর না করা, পাশাপাশি অনেক ত্যাগীকে বাদ দেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।

এছাড়া সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধুর ক্যান্টিনে মাঝে-মধ্যেই অনুপস্থিত থাকা, ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে বিবাহিত হওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলেন নেতারা। এছাড়া সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দু’জনের বিরুদ্ধেই অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ নিয়েও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ে কানাঘুষা রয়েছে।

সূত্রমতে, অন্তত: দশ মিনিট ধরে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এ সভায় আলোচনা হয়। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম সংগঠন। আওয়ামী লীগের পরামর্শ ও নির্দেশনায় সংগঠনটি চলে। গত ১৩ মে সম্মেলনের এক বছরের মাথায় ৩০১ সদস্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সংগঠনটির ভেতর থেকেই নানা সমালোচনা চলছিল। এরআগে ২০১৮ সালের ১২ ও ১৩ মে সম্মেলনে কমিটি করতে ব্যর্থ হয় ছাত্রলীগ। পরে ৩১ জুলাই সম্মেলনের দুই মাস পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম আওয়ামী লীগ সভাপতি চূড়ান্ত করার পর দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার ঘোষণা দেন।