ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩৫৭

আনসারদের পিটুনিতে ৩ কিশোরের মৃত্যু

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:৩১ ১৪ আগস্ট ২০২০  

কর্মকর্তা ও আনসার সদস্যদের বেধড়ক মারপিটে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দীদের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে ভর্তি কিশোর বন্দীরা এই দাবি করেছে।  পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে মারপিটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

জানা গেছে, কেন্দ্রে আসলে কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। আনসাররা মিলে কিশোরদের বেধরক মারপিট করে অজ্ঞান করে ফেলে। ঘটনার  ৬ ঘণ্টা পর বিষয়টি  প্রকাশ পায় বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরের ওই ঘটনায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৩ বন্দি নিহত ও আরও ১৪ জন আহত হন। নিহতরা হলেন, বগুড়ার শিবগঞ্জের তালিবপুর পূর্ব পাড়ার নান্নু পরমানিকের ছেলে নাঈম হোসেন (১৭), একই জেলার শেরপুর উপজেলার মহিপুর গ্রামের আলহাজ নুরুল ইসলাম নুরুর ছেলে রাসেল ওরফে সুজন (১৮) এবং খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮)।

 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে বের হয়ে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে আসলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। আজকের ঘটনাটি একপাক্ষীক।’

 

তিনি জানান, এখানে কী এবং কেন এমন ঘটনা ঘটেছে তা পুলিশ তদন্ত করবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তদন্ত হবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরদের স্বজনরা মামলা করলে পুলিশ মামলা নেবে। 

 

রাতে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, কিভাবে এই কিশোররা হতাহত হলো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পরই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

 

যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি বন্দী কিশোররা তুলে ধরে তাদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা। তারা জানান, ঈদের দু’দিন পর ঘটনার সূত্রপাত । শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের আনসার সদস্য নূর ইসলাম কয়েকজন কিশোরের চুল কেটে দিতে চান। কিন্তু কিশোররা চুল কাটতে রাজি না হওয়ায় তিনি কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ওই কিশোররা নেশা করে। এর প্রতিবাদে ওই দিন কয়েকজন কিশোর তাকে মারপিট করে।’

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর