ঢাকা, ২৭ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৯৪

ইউএনও ওয়াহিদা হত্যাচেষ্টা মামলায় আটক ৪

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৫২ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০  

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম হত্যা চেষ্টা মামলায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘোড়াঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের নৈশ্য প্রহরী পলাশ আহম্মেদকে প্রথম আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী শুক্রবার ভোরে অপর ৩ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। শিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ আলম (৩৪) ও আসাদুল হক (৩৫)।

জাহাঙ্গীর ঘোড়াঘাট উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের আবুল কালামের পুত্র, মাসুদ একই উপজেলার দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের আদু মিয়ার পুত্র এবং আসাদুল সাগরপুর গ্রামের আমজাদ আলীর পুত্র। আটককৃতদের পুলিশ, র‌্যাব সদস্য ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

মমিনুল ইসলাম জানান, আটককৃতদের এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত তাদেরকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো যাবে না।

ঘোড়াঘাট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সকালে আহত ইউএনও’র বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলাটি ঘোড়াঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম তদন্ত করছেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার মধ্যরাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের নৈশ্য প্রহরীকে বেঁধে রেখে সন্ত্রাসীরা পিপিই পরিধান অবস্থায় বাসায় প্রবেশ করে ওয়াহিদাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় এবং শরীরে বেধড়ক আঘাত করে। বাসায় থাকা তার পিতা শেখ ওমর আলী তাকে বাঁচাতে এলে উনাকেও সন্ত্রাসীরা বেদম প্রহার করে। 
ঘটনার পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ইউএনও ওয়াহিদা খানম, তার পিতা শেখ ওমর আলীকে উদ্ধাার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। তাকে আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিন ওয়াহিদার অস্ত্রোপচারে অংশ নেয়া চিকিৎসক জাহেদ হোসেন বলেন, গেল বৃহস্পতিবার রাতে তার মাথার অস্ত্রপাচার করা হয়েছে। তিনি এখন অনেকটা আশঙ্কা মুক্ত রয়েছেন। অস্ত্রোপাচারের পর ওয়াহিদার জ্ঞান ফিরেছে, কথাও বলেছেন। উনার মাথায় কমপক্ষে ৯টি আঘাতের ক্ষত দেখা গেছে।

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর