ঢাকা, ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১৪ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৪০০

করোনা ভাইরাস: কি করবেন, কি করবেন না

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:২২ ৮ মার্চ ২০২০  

চীনে করোনা ভাইরাস এক রকম মহামারি আকার নিয়েছে। চীনের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মরণঘাতি ভাইরাস। এতে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬০০ জন মারা গেছেন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে শনাক্ত হয়েছে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী। এরই মধ্যে রোববার বাংলাদেশে ৩জন রোগীর দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। 


 করোনা ভাইরাস কী?

করোনাভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট। কারণ ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটি দেখতে অনেকটা মুকুটের মত। আর একারণেই এটির নাম করোনা। ভাইরাসের উপরিভাগে প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রামিত হওয়া টিস্যু নষ্ট করে। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি রয়েছে। সকল প্রজাতির করোনাভাইরাসে সাধারণত স্পাইক (এস), এনভেলপ (ই), মেমব্রেন (এম) এবং নিউক্লিওক্যাপসিড (এন) নামক চার ধরনের প্রেটিন দেখা যায়।

করোনাভাইরাস হলো নিদুভাইরাস শ্রেণীর করোনাভাইরদা পরিবারভুক্ত করোনাভাইরিনা উপগোত্রের একটি সংক্রমণ ভাইরাস প্রজাতি। এই ভাইরাসের জিনোম নিজস্ব আরএনএ দিয়ে গঠিত।

২০০২ সাল থেকে চীনে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) নামে যে ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর ৮০৯৮ জন সংক্রমিত হয়েছিল। সেটিও ছিল এক ধরণের করোনাভাইরাস।

করোনা ভাইরাসের লক্ষণ:

এই ভাইরাসের পূর্ববর্তী লক্ষণগুলো হলো -
ক) সর্দি
খ) গলা ব্যথা
গ) কাশি
ঘ) মাথা ব্যথা
ঙ) জ্বর
চ) হাঁচি
ছ) অবসাদ
জ) শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।

এক্ষেত্রে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায় এবং যারা বয়স্ক তাদের এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে এবং নিউমোনিয়া বা শ্বাস নালীর ব্যাধির মতো মারাত্মক অসুস্থতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি থাকে।

কী করবেন ?

করোনাভাইরাস এর কোন ওষুধ বা চিকিৎসা নেই। তবে এই ভাইরাস প্রতিরোধে আগে থেকেই কিছু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যেমন ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোওয়া এবং টিস্যু ব্যবহার করা। অবশ্যই মাস্ক পরে থাকা।

হিউম্যান করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ
ক) হাঁচি বা কাশির পরে হাত ধুয়ে নিন।
খ) কাশি বা হাঁচির আগে মুখ ঢেকে নিন।
গ) আপনার যদি মনে হয় যে আপনি সংক্রামিত, তাহলে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলুন।
ঘ) রান্না না করা গোশত ও ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
ঙ) নিজেকে সারাক্ষণ হাইড্রেট রাখুন।
চ) লক্ষণগুলো দেখা দেয়া মাত্রই ওষুধ খান এবং পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠতে দেবেন না।
ছ) ধোঁয়াটে এলাকা বা ধূমপান করা এড়িয়ে চলুন।
জ) যথাযথ বিশ্রাম নিন।
ঝ) ভিড় থেকে দূরে থাকুন।

কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে ?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি আসলে ফ্ল্যাবিও ভাইরাস, যা দ্রুত সংক্রামিত হয়। চিনের ইউহানের প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা নজরে আসে। তারপর থেকে নতুন নতুন জায়গাতেও ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটে চলেছে। মূলত গবাদি পশু থেকে ছড়ায় বলে করোনার ক্ষেত্রে বিপদ অনেক বেশি। পশু-পাখি ও গবাদি পশুর সংস্পর্শে থাকা মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি। পশুর লোম, মল থেকেই এই ভাইরাস সংক্রমণের প্রবণতা বেশি। সরাসরি মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় এই ভাইরাস, মানুষ থেকেও পশুর দেহে ছড়াতে পারে।

সূত্র : বোল্ডস্কাই, কলকাতা ২৪