ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ৬ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৩০৭

করোনা ভ্যাকসিনের ৩০ কোটি ডোজ কিনছে ইইউ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৭:৩০ ১৪ জুন ২০২০  

করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ৩০ কোটি ডোজ পেতে ওষুধ কোম্পানি অস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছে ইউরোপের চার দেশ। সেগুলো হলো জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও নেদারল্যান্ডস। শনিবার জার্মান সরকার এক ঘোষণায় এ কথা বলেছে।

সুইডিশ কোম্পানি অস্ট্রা এবং ব্রিটিশ কোম্পানি জেনেকা মিলে ১৯৯৯ সালে অস্ট্রাজেনেকা গ্রুপ গঠন করে। এর সঙ্গেই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইউরোপের চার দেশ। তাতে বলা হয়েছে, টিকা আবিষ্কারের পরপরই ইউরোপিয়ান সব দেশকে তা সরবরাহ করবে কেম্পানিটি।

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে অংশীদারিত্বে ভিত্তিতে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে অস্ট্রাজেনেকা। এ মুহূর্তে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চলছে। সেই অবস্থাতেই বিশ্বজুড়ে নিজের সাপ্লাই চেইন তৈরি করছে কোস্পানিটি।

অস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী পাসকাল সরিয়ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ চুক্তির ফলে ইউরোপের লাখ লাখ লোক অনুমোদনের পর অক্সফোর্ডের ভ্যাকিসন লাভের নিশ্চয়তা পাবে। ইউরোপীয় সাপ্লাই চেইনের জন্য আমরা দ্রুত উৎপাদন শুরু করতে পারব। আমরা আশা করছি, শিগগির ভ্যাকসিনটি সবার কাছে পৌঁছানো যাবে।

গেল এপ্রিলে প্রাথমিকভাবে কয়েক শত স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষার কাজ শুরু করে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। এখন এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার।

জার্মান সরকারি সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হবে।

জার্মান মন্ত্রণালয় বলছে, শনিবার ঘোষিত ডোজ ৪০ কোটি পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ)
 সব দেশের যারাই নিতে চায় তারাই যেন ভ্যাকসিনটি পায়।

বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ইউরোপের জনসংখ্যা ৪৪ কোটি ৭০ লাখের মতো। ইইউভুক্ত দেশগুলোর জন্যে আগাম ভ্যাকসিন কেনার পক্ষে শুক্রবার সায় দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন।

ভ্যাকসিন তৈরিতে সাধারণত কয়েক বছর লেগে যায়। কিন্তু বর্তমানে ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে তা তৈরির তোড়জোড় চলছে। সর্বোপরি, ভ্যাকসিন কেনার আগাম অর্থ পরিশোধ এর উৎপাদন প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করবে। যদিও মানবদেহে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা এখনও শেষ হয়নি।

এ চুক্তির ফলে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর একটি নির্দিষ্ট মূল্যে ইউনিয়নভ্ক্তু দেশগুলো তা কেনার অধিকার পাবে। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরাও ঝুঁকিমুক্ত থাকবে।

বিশ্বের বড় বড় ওষুধ কোস্পানিগুলো বর্তমানে ভ্যাকিসন তৈরির দৌড়ে শামিল রয়েছে। করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ১৭ হাজার লোক মারা গেছেন।  আর আক্রান্ত হয়েছে ৭৪ লাখ মানুষ।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর