ঢাকা, ২৬ এপ্রিল শুক্রবার, ২০২৪ || ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৩৬

কলাবাগান ক্লাবেও ক্যাসিনো চলতো, অস্ত্র-ইয়াবাসহ সভাপতি গ্রেপ্তার

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৩২ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত কলাবাগান ক্রীড়াচক্রেও ক্যাসিনো ছিল। জানালেন, র‌্যাব-২ এর সিও আশিক বিল্লাহ। 
ওই ক্লাব থেকে অস্ত্র-গুলি, তাস ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব। আটক করা হয়েছে ক্লাবটির সভাপতি সফিকুল আলম ফিরোজসহ ৫ জনকে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ক্লাবটিতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। এর আগে, বিকেল থেকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাব ঘিরে রাখেন র‌্যাব সদস্যরা।

অভিযান শেষে ক্লাব থেকে নাইন এম এম পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ইয়াবা ও তাস উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় র‌্যাব।

সফিকুল আলম ফিরোজ ছাড়া আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ক্লাবের অফিস সহকারী হাফিজ, হারুন, লিটন ও আনোয়ার।


র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোর কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে এক সময় ক্লাবটিতে ক্যাসিনো চলতো বলে আলামত পেয়েছি। 
“হয়ত কোনো একভাবে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা ক্যাসিনোটা এখান থেকে সরিয়ে ফেলেছে। ক্যাসিনোর অন্যান্য সরঞ্জাম আমরা পেযেছি। এখানে আমরা বিদেশি কয়েন, প্লেইং কার্ড, ক্যাসিনোতে যেরকম স্কোর বোর্ড থাকে, সেরকম স্কোরবোর্ড আমরা এখান থেকে উদ্ধার করেছি।”


এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে ক্লাবটির সভাপতি সফিকুল আলম ফিরোজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় র‌্যাব। পরে বিকাল ৪টার দিকে ক্লাবটির আশপাশ ঘিরে ফেলেন র‌্যাব সদস্যরা। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে শফিকুল আলমকে নিয়ে ক্লাবটিতে অভিযান শুরু হয়। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. গাউসুল আজম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

আশিক বিল্লাহ বলেন, লাইসেন্সবিহীন একটি বিদেশি অস্ত্র, তিন রাউন্ড গুলি এবং ‘হলুদ রঙের নতুন ধরনের’ ইয়াবা তারা সফিকুলের অফিস থেকে উদ্ধার করেছেন। 

কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বায়রার সিনিয়র সহ-সভাপতি সফিকুল আলম ফিরোজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

সফিকুলের পাশাপাশি তার সহযোগী লিটন মিয়া, আনোয়ার, হাফিজুর রহমান ও হারুণকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়ে র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।”

কলাবাগানে অভিযান শুরুর আগে শুক্রবার সকাল থেকে নিকেতনে ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের অফিসে অভিযান চালায় র‌্যাব। তিনি নিজেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিতেন।

ওই অফিস থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে।

এদিকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে পরিচালিত অভিযান শেষ হওয়ার পর মেট্রোশপিং সেন্টারে স্থাপিত ধানমন্ডি ক্লাবে অভিযান শুরু হয়।

গেল বুধবার বিকালে গুলশান ২ নম্বরের ৫৯ নম্বর সড়কে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বাসা এবং ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবে একযোগে অভিযান চালায় র‌্যাব। এছাড়া ওই এলাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র এবং বনানীর আহমেদ টাওয়ারে গড়ে তোলা একটি ক্যাসিনোতেও অভিযান চালায় র‌্যাব। 
অভিযানে ক্লাবগুলো থেকে জুয়ার আড্ডা চালানোর আয়োজন, নগদ দেশি ও বিদেশি টাকা, অস্ত্র ও নেশাজাতীয় বিভিন্ন দ্রব্য জব্দ করা হয়। অভিযানে এরই মধ্যে একাধিক যুবলীগ নেতা গ্রেফতার হয়েছেন।

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর