ঢাকা, ২০ এপ্রিল শনিবার, ২০২৪ || ৭ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
৮০০

কলেজ সহযোদ্ধাকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হাসিনা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৫:৫০ ৩ জানুয়ারি ২০১৯  

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

একাদশ সংসদ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে দেশ-বিদেশের রাষ্ট্র প্রধান, রাজনৈতিক নেতাসহ তার শুভানুধ্যায়ীরা। সেরকমই শুভেচ্ছা জানাতে বুধবার বিকেলে গণভবনে আসেন বাংলাদেশ স্কাউটসের গার্লস ইন স্কাউটিং বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নাজমা। তবে তার শুভেচ্ছা জানানোর থেকে ৫০ বছর আগে গড়ে ওঠা শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব তাকে সবার থেকে আলাদা করেছে। 

সাল ১৯৬৬-৬৭,  ছাত্রলীগ থেকে ইডেন কলেজের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই নির্বাচিত কমিটিতে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন নাজমা শামস। রাজনৈতিক মতভিন্নতা থাকলেও বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে আজও।

তাই প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ এলেও শেখ হাসিনার বিশেষ দৃষ্টি আটকে যায় নাজমা শামসের দিকে। পুরনো দিনের বন্ধুকে আলিঙ্গনে নেন শেখ হাসিনা, যিনি চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। জমে ওঠে দুজনের মধ্যে আড্ডা। সবার মাঝে দুজন মধ্যমণি হয়ে থাকেন। 


সাক্ষাতে প্রণোচ্ছ্বল পুরনো দুই বন্ধু। শেখ হাসিনার সামনে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লেন নাজমা শামসও। জড়াজড়ি করে দুজনে একসঙ্গে ছবি তোলেন, গল্পে মেতে ওঠেন, ফিরে যান ৫০ বছর আগের স্মৃতিতে। 

তাদের এই আনন্দঘন সাক্ষাৎ নিয়ে ফেইসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।

তিনি লিখেছেন, “উত্তাল দিনগুলোতে রাজপথে ছিলেন একসাথে। রাজনীতির আদর্শের মতভিন্নতা ছিল। দেশের প্রশ্নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথ কাঁপিয়েছেন তারা। সেই সম্পর্ক এখনো অটুট আছে। শত ব্যস্ততার মাঝেও দেখা হলেই স্মৃতিচারণে মেতে উঠেন দুজনে। খেয়াল থাকে আড় কোনদিকেই। কৈশোরের সেই দিনগুলোতে বারবার ফিরে যান। কী রকম ছিল সেই আন্দোলনের দিনগুলি, সেই সময়ের ছাত্র রাজনীতিসহ নানা খুনসুটি।

 “এরই একজন বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হ্যাট্রিক জয়ে দেশের চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শিগগিরই শপথ নিবেন। এই শেখ হাসিনা এখন শুধু আর বঙ্গবন্ধুকন্যা, দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি কিংবা দেশের প্রধানমন্ত্রীই নন। তিনি এখন পুরা বিশ্বের বিস্ময়। যিনি গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তৃতীয় বিশ্বের ভঙ্গুর অর্থনীতির একটি দেশকে নিয়ে যাচ্ছেন উন্নতির শিখরে। বিশ্ব মোড়লরা এখন বাংলাদেশের দিকে অবাক হয়ে তাকায়। বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে, সমীহ করে চলে। তা সম্ভব হয়েছে শুধু শেখ হাসিনার ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বের কারণেই।


 “আরেকজন… প্রফেসর নাজমা শামস। বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউট গার্লস ইন স্কাউটিং ফোরাম জাতীয় কমিটির সভাপতি। আজ গণভবনে এসেছিলেন ছাত্রজীবনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধীকে অভিনন্দন জানাতে। দেখেই একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরেন। তাদের মধ্যে সম্পর্কের এই উষ্ণতা দেখে অভিনন্দন জানাতে আসা সকলের উৎসুক দৃষ্টি তখন সেদিকে। একে একে ক্যামেরাগুলোর ফ্লাশলাইট ঝলসে উঠল।”


প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন আরও লিখেছেন, “তখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই জানালেন, তিনি যখন ইডেন কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন তখন প্রফেসর নাজমা শামস ছিলেন জিএস। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন ছাত্রলীগ থেকে, আর নাজমা শামস ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন থেকে। কিন্তু সম্পর্কটা ছিল খুবই আন্তরিকতায় ভরপুর। সেই সম্পর্ক এখনো আছে।”