ঢাকা, ২৯ মার্চ শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৭৭৩

গ্রামের বাড়িতে আল মাহমুদের দাফন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৩৬ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

কবি আল মাহমুদ

কবি আল মাহমুদ

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে তার জানাজা পড়ানো হয়।

কবির বড় ছেলে শরীফ আহমেদ  জানান,  আল মাহমুদকে  মগবাজারের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর  গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোড়াইলে নিয়ে যাওয়া হবে। আগামীকাল রোববার বাদ জোহর সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
 দুপুর ১২টার পর কবির মরদেহ নেয়া হয় জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে। সেখানে কবি, সাহিত্যিকসহ সর্বস্তরের মানুষ কবির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। প্রেস ক্লাবে প্রথম জানাজা শেষে কবিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদে নেয়া হয়।

 দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কবির মরদেহ নেয়া হয় বাংলা একাডেমিতে। সেখানে একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী কবির মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায়  কবিকে শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়া হয়নি।

শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

তিনি নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল গ্রামের মোল্লাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিতাস নদীর পাড়েই বেড়ে ওঠা। লেখালেখি শুরু সপ্তম শ্রেণি থেকে। এরপর ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেন।

কবি আল মাহমুদের রচনার মধ্যে রয়েছে, কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর, কালের কলস, সোনালী কাবিন, মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো, অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না, বখতিয়ারের ঘোড়া, একচক্ষু হরিণ, দোয়েল ও দয়িতা, দ্বিতীয় ভাঙ্গন, নদীর ভিতরে নদী, না কোনো শূন্যতা মানি না, বিরামপুরের যাত্রী, বারুদগন্ধি মানুষের দেশ, সেলাই করা মুখ, তোমার রক্তে তোমার গন্ধ ইত্যাদি।

কবির সাড়া জাগানো উপন্যাস কাবিলের বোন, পানকৌড়ির রক্ত, উপমহাদেশ, ডাহুকি, যেভাবে বেড়ে উঠি, আগুনের মেয়ে, যমুনাবতী, চেহারার চতুরঙ্গ, যে পারো ভুলিয়ে দাও, ধীরে খাও অজগরী ইত্যাদি। সাহিত্যকর্মের জন্য আল মাহমুদ একুশে পদক, বাংলা একাডেমিসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।

শিল্প-সাহিত্য বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর