ঢাকা, ১৯ মার্চ মঙ্গলবার, ২০২৪ || ৫ চৈত্র ১৪৩০
good-food
৬৮৬

চলে গেলেন ‘সোনালী কাবিন’র কবি আল মাহমুদ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:১৬ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

‘সোনালী কাবিন- এর কবি আল মাহমুদ আর নেই। ৮২ বছর বয়সে অগণিত পাঠক-ভক্ত, আত্মীয়-স্বজনকে ছেড়ে চিরতরে চলে গেলেন তিনি।

শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন কবি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তিনি নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

কবি আল মাহমুদকে ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়া হয়। প্রথমে সিসিইউতে ও পরে আইসিইউতে নেয়া হয়েছিল তাকে।

শুক্রবার হাসপাতালে তাঁকে ‘লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। রাত ১১ টা ৫ মিনিটে ‘লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়।

 

বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে সক্রিয় থেকে যিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্‌ভঙ্গিতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন, তিনি কবি আল মাহমুদ। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবিও তিনি।

তাঁর প্রকৃত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। একাধারে একজন কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক তিনি।

 

কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে সাহিত্যিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।

সাহিত্যে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, শিশু একাডেমি (অগ্রণী ব্যাংক) পুরস্কার, ফররুখ স্মৃতি পুরস্কার, জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই জনপ্রিয় কবি-লেখক।

লোক লোকান্তর (১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৬৬) ইত্যাদি আল মাহমুদের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।

আল মাহমুদ ১৯৫৪ সালে লেখালেখির সূত্র ধরে ঢাকা আসেন। কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত ও নাজমুল হক প্রকাশিত সাপ্তাহিক কাফেলায় লেখালেখি শুরু করেন। তার কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর (১৯৬৩) তাকে স্বনামধন্য কবিদের সারিতে স্থান করে দেয়।  

শিল্প-সাহিত্য বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর