ঢাকা, ০৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৫ || ২১ কার্তিক ১৪৩২
good-food
৭১৯

চাঁদপুরে মসজিদে ইমামের কক্ষে ৩ শিশুর মরদেহ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৪৬ ৩০ আগস্ট ২০১৯  

চাঁদপুরের মতলবের একটি মসজিদে ইমামের কক্ষ থেকে ৩ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত শিশুদের মধ্যে ইমামের ছেলেও রয়েছে। 
তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান, শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার পূর্ব কলাদিয়া জামে মসজিদের ইমামের কক্ষে তাদের মৃত্যু হয়।

তিন শিশু হল : ইব্রাহিম মিয়া (১২), রিফাত হোসেন (১৫)   ও ওই মসজিদের ইমাম জামাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (৫)।

ইব্রাহিম ও রিফাত মতলব দক্ষিণ উপজেলার ভাঙ্গাপাড় মাদরাসার ছাত্র বলে জানালেও তাদের ঠিকানা তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারেনি পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তের তথ্য দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ইমাম জামাল তার ছেলেকে ঘরে রেখে মসজিদে ঢোকেন। নামাজ শেষে তিনি তার কক্ষ ভেতর থেকে আটকানো দেখতে পান। ডাকাডাকি করে তাদের সাড়া না পেয়ে স্থানীয়রা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পায়নি। কোনো বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে দেখছে বলেও তিনি জানান।

ইমাম জামাল উদ্দিন বলেন, জুমআা নামাজের আগে বেলা পৌনে ১টার সময় আমি বয়ান ও খুদবার জন্য মীমবরের দিকে যাই। নামাজ পড়ানো শেষে সমজিদে মিলাদ পড়িয়ে নিজের রুমে ফিরে আসি। ওই সময় আমার রুমের দরজা ভিতর থেকে আটকানো দেখে অনেক ধাক্কাধাক্কি করি। পরে মুসল্লিদের সহায়তায় দরোজা ভেঙ্গে দেখি আমার ছেলেসহ অপর দুই শিশু বিছানায় পড়ে আছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, দুই মাস পূর্বে মসজিদের ইমাম হিসেবে মাওলানা জামাল উদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হয়। সেই থেকে তার শিশু সন্তানসহ আব্দুল্লাহ আল নোমান ওই কক্ষে বসবাস করতেন। এক মাস পূর্বে মসজিদ সংলগ্ন মুক্তা ভিলায় তিনি বাসা ভাড়া নেন। তাদের বাড়ি বরগুনা জেলার কালাই মুদাফাত গ্রামে। এর আগে তিনি চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডে জামে মসজিদে ইমামতি করতেন।

এদিকে মৃত ইব্রাহিম ও রিফাত মতলব পৌরসভার ভাঙ্গাপাড় মাদরাসার ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। রিফাতের বাবা মতলব পৌরসভার নলুয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ও ইব্রাহিম খলিলের বাড়ি দশপাড়া তার পিতা আফসার উদ্দিন।

মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. একেএম মাহাবুর রহমান বলেন, মৃত ঐ তিন শিশু কিশোরের মুখ থেকে শুধু ফেনা বের হচ্ছিলো। ফুড পয়োজিং বা অন্য কোন কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না।

মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ বলেন, ঘটনাস্থল ও কক্ষটি পর্যবেক্ষণ করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন। এ মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না।