ঢাকা, ২৪ এপ্রিল বুধবার, ২০২৪ || ১০ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
১৩৫৯

চাঁপাই উৎসবে আনন্দ-সম্মিলন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৩৪ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে নবম চাঁপাই উৎসব-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকাস্থ চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা সমিতির উদ্যোগে শুক্রবার দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর, ভাষা সৈনিক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু। সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চাঁপাই নবাবগঞ্জ-২ আসনের এমপি ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহা. উজির আলী, সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাহতাব উদ্দিন, ডাইসিন কেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, ঢাকাস্থ নাটোর জেলার সভাপতি আব্দুস সামাদ মোল্লা, নওগাঁ জেলা সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আহমেদ হোসেনসহ চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা।

এমপি ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেন, আধুনিক চাঁপাই নবাবগঞ্জের গর্ব আম সংরক্ষণ ও বাজার সম্প্রসারণে জন্য যা যা করা দরকার এজন্য সংসদে বক্তব্য দেয়া হয়েছে। ফলটি কিভাবে সংরক্ষণ ও বাজার সম্প্রসারণ করা যায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শিল্পমন্ত্রীসহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। সরকার এ জেলার গর্ব ও সম্পদ খিরসাপাত আমের জিআই স্বীকৃতি দিয়েছে। নেতৃত্বের অভাবে সোনা মসজিদ পর্যন্ত ফোর লেন করা হয়নি। তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রেলপথ নির্মাণেও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে। বাড়বে কর্মস্থান, এগিয়ে যাবে জেলা। এখানে যাতে কেউ মাদকের ব্যবসা না করে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।  সর্বোপরি, ওই অঞ্চল থাকবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম শুধু এ দেশে নয়, বিশ্বেও অনেক খ্যাতি পেয়েছে। সরকার এবার খিরসাপাত আমের ভৌগোলিক নির্দেশক-জিআই’র স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে অনেক সম্ভাবনা থাকলেও আমের বাজার উন্নয়ন হচ্ছে না। এছাড়া বিভিন্ন শিল্পেও অনেক পিছিয়ে আছে। তাই আমসহ বিভিন্ন শিল্প বিকাশে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া দরকার। বিভিন্ন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে উন্নত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা চাই।

’চলো জি ভাই চাঁপাই উৎসবে যাই স্লোগানে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে সকাল ৮টা থেকেই ঐতিহ্যবাহী কলাইরুটি দিয়ে নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়। জেলার কৃতী সন্তান ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশায় অবদান রাখার জন্য সম্মাননা দেয়া হয়। এছাড়া সমিতির সদস্যদের নাম, ঠিকানা ও ছবিসহ একটি সুদৃশ্য ডাইরেক্টরির মোড়ক উম্মোচন করা হয়। বিকেলে বার্ষিক সাধারণ সভা-এজিএম ও সন্ধ্যায় চাঁপাই নবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা পরিবেশন করা হয়।