চিরনিদ্রায় শায়িত জায়ান

শ্রীলংকায় বোমা বিস্ফোরণে নিহত শিশু জায়ান চৌধুরীকে রাজধানীর বনানীর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। বুধবার বাদ আসর জানাজার নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়।

করবস্থান প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকে একটু বাম দিকে এগিয়ে গেলেই জায়ানের কবর চোখে পড়বে। মাত্র আট বছর বয়সী ছোট্ট শিশুটিকে এখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।

জায়ানের জানাজায় তার আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী অংশ নেন।

এর আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর দুপুর দেড়টার দিকে জায়ানের মরদেহ শেখ সেলিমের বাসায় নেয়া হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ এবং দলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।

পরে ২টা ৪০ মিনিটে সেখানে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার মরদেহ দেখতে মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিক এবং আত্মীয়-স্বজনরাও ভিড় করেন। এসময় শোকাবহের সৃষ্টি হয়।

শেখ সেলিমের বাসায় জায়ানকে শেষবারের মতো দেখতে আসেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজ্জামেল হক, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।

রোববার ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকায় রেস্তোরাঁয় সিরিজ বোমা হামলায় নিহত হয় জায়ান। সন্ত্রাসবাদের শিকার হয় ছোট্ট শিশুটি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তার বাবা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স।

বাবাকে আইসিইউতে রেখে লাশ হয়ে ফিরল জায়ান। ছেলেকে শেষ দেখা দেখতে পারলেন না মশিউল। আদরের সন্তান রাজধানীর সানবিম স্কুলের ছাত্র ছিল।