দুষ্টু জিনের ভয় দেখিয়ে শিশু ও খাদেম বলাৎকার, নারী ধর্ষণ করেন ইমাম
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ১৫:০৭ ২২ জুলাই ২০১৯
ঝাঁড়ফুক করতে আসা নারীদের ফাঁদে ফেলে জিনের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন ইমাম। এমন গুরুতর অভিযোগ পেয়ে তদন্তেও তার প্রমাণ মিললো।
র্যাব জানিয়েছে, ধর্ষণ করে সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে রাখতেন রাজধানীর একটি মসজিদের ওই ইমাম। তিনি ১০টিরও বেশি ছেলে শিশুকে বলাৎকার করেছেন। এসব বিষয় ফাঁস করতে চাইলে তাদের ‘দুষ্টু জিন’ দিয়ে ক্ষতি করার ভয় দেখানো হতো।
অভিযুক্ত ইমাম রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি মসজিদে নামাজ পড়াতেন। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রায় শিক্ষকতাও করতেন। রোববার রাতে এসব অভিযোগে র্যাব তাতে গ্রেপ্তার করে। সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক সারওয়ার-বিন-কাশেম।
র্যাব জানায়, অভিযুক্ত ইদ্রিস আগে সিলেটে বসবাস করতো। ১৯৯৮ সালে সিলেট থেকে টাইটেল পাস করে স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। পাশাপাশি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করে।
৪ বছর পর ২০০২ সালে ঢাকায় আসে এবং দক্ষিণখানে বর্ণিত মসজিদের ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হয়। সে ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে, এই মসজিদের ইমামতি করে আসছে। সে সময়ও একই অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের কাছে কয়েকজন অভিযোগ করে মসজিদের এই ইমাম এলাকায় বিভিন্ন ধরনের কু-কর্ম করে বেড়াচ্ছেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে আমরা গোয়ান্দা নজরদারি বাড়াই। পরে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।’
র্যাব জানায়, জ্বিনের ভয় দেখিয়ে নারীদের ধর্ষণ করতেন ইদ্রিস। এই ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ইদ্রিস ২০০২ সাল থেকে এই মসজিদে ইমামতি করতেন। একই সঙ্গে এলাকার একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। এই অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে তিনি ঝাড়ফুক, পানি পড়া ও তাবিজ-কবজের কাজ করতেন। এলাকায় প্রচার করেছিল তিনি জ্বিন কজ্বায় রাখতে পারেন। এটা ছিল তার একটি বড় হাতিয়ার। মহিলারা তাবিজ-কবজ, ঝাড়ফুক করতে এলে তাদেরকে মসজিদে তার কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করতেন এবং তা ভিডিও ধারণ করে রাখতেন। বিশেষ করে বিধবা ও স্বামী বিদেশ থাকেন - এমন মহিলাদের টার্গেট করতেন ইমাম।
র্যাব জানায়, অনেক নারী চেয়েছিলেন বিষয়টি প্রকাশ করতে। কিন্তু সামাজিক অবস্থার কারণে তা করেনি। আর এসব কথা ফাঁস হবার ভয়ে সবাইকে জ্বিনের ভয় দেখানো হতো।
ইমাম বলতেন, “তোমরা যদি এসব বিষয় নিয়ে মুখ খোল, তাহলে ‘দুষ্টু জ্বিন’ দিয়ে তোমাদের ক্ষতি করব।”
এভাবে চার-পাঁচজন নারী ইমামের কুপ্রবৃত্তির শিকার হয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
সারোয়ার বলেন, তার খেদমতে থাকা খাদেমদেরও বলাৎকার করেছেন। এ যাবত দশজনের বেশি খাদেমের সঙ্গে এই কাজ করেছেন। তারা র্যাবকে জানিয়েছে, এই ইমাম মসজিদের পাশের নিজের রুমে বসে সিগারেট খেতেন। বলাৎকার করার ভিডিও ইদ্রিস ধারণ করে রাখতেন, যাতে তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে না পারে।
‘তার এই কারণে মসজিদের যেতে চাইত না। তখন ইদ্রিস তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে বলত, শিশুরা যদি মসজিদে না যায় তাহলে তার আমল নষ্ট হবে। এসব ছলচতুরতার মাধ্যমে তাদেরকে মসজিদের আনতেন আর বলাৎকার করতেন।’
সংবাদ সমেম্লনে র্যাব জানায়, নারীদের ধর্ষণ ও শিশুদের বলাৎকারের কথা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন ইমাম। আর তার কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোনে কুরুচিপূর্ণ ছবি, ভিডিও পাওয়া গেছে।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, ‘মাদ্রাসায় যারা পড়ত তারা খুবই ছোট। অল্প বয়সে তারা খাদেম হয়। এসব শিশুদেরই তিনি বলাৎকার করতেন। যারা একবার তার ফাঁদে পড়েছে তারা বারবার এই ঘটনার শিকার হয়েছে।’
‘জ্বিনের ভয় দেখিয়ে সে এসব শিশুদের সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ কাজ বেশি করেছে। বারো বছরের একটা শিশুকে আমরা পেয়েছি যে চারবছর ধরে এই লালসার শিকার।’
আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্যও মিলেছে ইমাম ইদ্রিসের বিরুদ্ধে। তিনি একটি সোসাইটি গঠন করে প্রচার করেন, এটা হুজুরদের মাধ্যমে পরিচালিত। এখানে কোন সুদের কারবার হবে না।
এভাবে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু সে টাকা কখনো ফেরত দেননি। স্থানীয়রা যখন টাকা ফেরত চেয়েছে তখন তিনি বলতেন, তিনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন তারা টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছে। তাই টাকা দেওয়া সম্ভব না।
‘পরে আবার বলেন, একটা বড় জমি কিনে জমির লাভ সকলকে করা হবে। কিন্তু জমির টাকা এখনও কাউকে দেননি।’
উত্তরখানের বিভিন্ন গার্মেন্টস ও প্রতিষ্ঠান থেকে মসজিদ ও মাদ্রাসার কথা বলে টাকা তুলেছিলেন এই ইমাম। কিন্তু সেসব টাকা ইমাম ইদ্রিস ব্যক্তিগত কাজে লাগিয়েছেন বলেও প্রমাণও পাওয়া গেছে।
- যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি সোমা সাইদ
- শিগগিরই অবসর নেবো, সেদিন কাঁদবোও: রোনালদো
- যাকে ভয় পেতেন, তার নায়িকা মৌ খান
- অ্যাপল–স্যামসাং নয়, সেরা ক্যামেরা কোন ফোনগুলোর
- প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ল
- এইচএসসি পাসে ২০০ এসআর নেবে আবুল খায়ের গ্রুপ
- সেন্টমার্টিন ভ্রমণের নতুন ওয়েবসাইট
- ইতিহাসের প্রথম নির্বাচন: কবে ও কোথায়?
- ওমর সানীকে ‘স্যরি’ বললেন মৌসুমী
- নতুন দলের হয়ে সেরাটা দিতে মুখিয়ে সাকিব
- ব্যালটে মামদানির নাম দুইবার, জেতানোর চক্রান্ত বলছেন মাস্ক
- মেট্রোরেলে চাকরি পাচ্ছেন নিহত কালামের স্ত্রী
- বিএনপিতে যোগ দিলেন মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
- নাসীরুদ্দীনের বিরুদ্ধে যুবদলের নয়নের মামলা, তদন্তে ডিবি
- এক চামচ অলিভ অয়েলেই সমাধান
- বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে আশরাফুল
- ক্ষমা চাইলেন শাহরুখ
- বিএনপি জিতলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন?
- যারা পেলেন বিএনপির মনোনয়ন [তালিকাসহ]
- বাজার কাঁপাতে আসছে রয়্যাল এনফিল্ডের ই-বাইক
- সাগরে নতুন লঘুচাপ, পাঁচ দিন বৃষ্টির আভাস
- নির্বাচনে জিতলে ‘দুই বাংলা’ এক করার ঘোষণা বিজেপি নেতার
- শাপলা কলি প্রতীকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি
- নাক ডাকা কমানোর সহজ কিছু টিপস
- শাকিব খান চমকের বড় উদাহরণ: চঞ্চল চৌধুরী
- প্রোটিয়াদের হৃদয় ভেঙে প্রথম বিশ্বকাপ জিতল ভারতের মেয়েরা
- বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে ভারতে তোপের মুখে কংগ্রেস নেতা
- আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না কোটি মানুষ:রয়টার্সকে হাসিনা
- ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে: ফখরুল
- ওজন কমবে ভাতের মাড়ে
- বিএনপি জিতলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন?
- নাসীরুদ্দীনের বিরুদ্ধে যুবদলের নয়নের মামলা, তদন্তে ডিবি
- ইতিহাসের প্রথম নির্বাচন: কবে ও কোথায়?
- সাগরে নতুন লঘুচাপ, পাঁচ দিন বৃষ্টির আভাস
- শাপলা কলি প্রতীকে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে এনসিপি
- বাজার কাঁপাতে আসছে রয়্যাল এনফিল্ডের ই-বাইক
- নাক ডাকা কমানোর সহজ কিছু টিপস
- যারা পেলেন বিএনপির মনোনয়ন [তালিকাসহ]
- এক চামচ অলিভ অয়েলেই সমাধান
- ওমর সানীকে ‘স্যরি’ বললেন মৌসুমী
- শাকিব খান চমকের বড় উদাহরণ: চঞ্চল চৌধুরী
- ক্ষমা চাইলেন শাহরুখ
- নির্বাচনে জিতলে ‘দুই বাংলা’ এক করার ঘোষণা বিজেপি নেতার
- ব্যালটে মামদানির নাম দুইবার, জেতানোর চক্রান্ত বলছেন মাস্ক
- বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে আশরাফুল
- নতুন দলের হয়ে সেরাটা দিতে মুখিয়ে সাকিব
- প্রোটিয়াদের হৃদয় ভেঙে প্রথম বিশ্বকাপ জিতল ভারতের মেয়েরা
- বিএনপিতে যোগ দিলেন মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
- মেট্রোরেলে চাকরি পাচ্ছেন নিহত কালামের স্ত্রী
- শিগগিরই অবসর নেবো, সেদিন কাঁদবোও: রোনালদো












