ঢাকা, ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ১২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৫৪

নীরবে চলে গেলেন ঢাকার শেষ আর্মেনিয়ান

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৯:২৬ ১৩ মে ২০২০  

অনেকটা নীরবেই প্রস্থান ঘটলো পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আর্মেনিয়ান সম্প্রদায়ের অবশিষ্ট মানুষটির। বাকীরা আগেই চলে গেছেন। কেউ কবরে, বেশির ভাগই বাংলাদেশ ছেড়ে গেছেন।

 

স্বজন-পরিজনহীন অবস্থায় মাইকেল জোসেফ মার্টিন বাংলাদেশের মাটি কামড়ে পড়েছিলেন অনেকটা আবেগে। হয়তো চেয়েছিলেন জীবনের বাকিটা সময় এখানেই কাটাতে। কিন্তু না, স্রষ্টার অমোঘ নিয়তি।

 

কানাডায় থাকা সন্তানদের কাছে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত ১১  এপ্রিল ধরণী থেকে তার প্রস্থান হলেও করোনার এই কঠিন সময়ে খবরটি চাউর হয়েছে বেশ দেরিতে।


ঢাকার কোনো সংবাদ মাধ্যমে নয়, একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে। ৯ মে এ নিয়ে একটি আবেগঘন ফিচারধর্মী স্টোরি করে এএফপি।  যেখানে ঢাকায় আর্মেনিয়ান বসতির ৩০০ বছরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে। মানবজমিনের তরফে কথা হয় তার সঙ্গে। শফিক বলেন, বয়োবৃদ্ধ মার্টিন বার্ধক্যজনিত রোগে মারা গেছেন এবং সেটা কানাডাতে।

 

বৈশ্বিক মহামারি করোনা কোভিড-১৯ এর চাপে হয়ত ঢাকায় তার মৃত্যু সংক্রান্ত বার্তাটি এসেছে একটু দেরিতে। কিন্তু এখানে দেরি বিবেচ্য নয়, কারণ মার্টিনের চির বিদায়ের সঙ্গে ঢাকায় আর্মেনিয়ান সম্প্রদায়ই কার্যত বিদায় নিলো, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে সংবাদটি করা হয়েছে।

 

মিস্টার আলম এর আগেও তাকে নিয়ে অনেক স্টোরি করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বহুবার। তার মতে, ৮৯ বছর বয়সী মার্টিন বয়সের ভারে ন্যুব্জ ছিলেন।

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর