ঢাকা, ০৫ মে রোববার, ২০২৪ || ২২ বৈশাখ ১৪৩১
good-food
২৬২

পাবনায় স্থায়ী হতে চেয়েছিলেন বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:৪১ ৩০ অক্টোবর ২০২৩  

পাবনায় স্থায়ী হতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী। তার পরিবারের সবাই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও পাবনায় তার বাবার আরও একটি বাড়ি থাকার সুবাদে তিনি মাঝেমধ্যেই সেখানে যেতেন।

 

জানা গেছে, আরেফী গত বছরের কোরবানির ঈদে ও চলতি বছর ৩-৪ মাস আগে দুই দফা তাদের পাবনার বাড়িতে যান। তবে তার আদি বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাহ পাড়ায়।

 

মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীর বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রইচ উদ্দিন এবং প্রতিবেশী হাদুল মিয়াসহ আশাপাশের লোকজন জানান, তার নাম মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী হলেও স্থায়ীরা তাকে আমরা বেলাল নামে চিনি।

 

ভাড়াটিয়া মো. রইচ উদ্দিন বলেন, উনারা ১০ ভাইবোন। উনাদের পৈত্রিক বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাহ পাড়ায়। উনার বাবা পাবনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন। সেই সুবাদে পাবনা পৌর শায়েস্থা খা এলাকায় তারা জমি কিনে বাড়ি করে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। পরে সবাই আমেরিকা চলে যান।

 

গত বছরের কোরবানির ঈদ এবং চলতি বছর দুই দফা এখানে এসেছিলেন তিনি। আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। উনি ঢাকায় বিয়েও করেছেন। স্থায়ীভাবে পাবনায় থাকার চিন্তা করছিলেন। তার ব্যবহার-আচার খুবই ভালো।

 

প্রতিবেশি হাদুল মিয়া জানান, বহু বছর আগে থেকেই ওরা আমেরিকা থাকে। আমি তাকে তেমন চিনি না। গত ৩-৪ মাস আগে আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। ওর বাড়ির সীমানা নিয়ে আমার সঙ্গে কথা হয়। আমাদের বাড়ির সামনে রাস্তা খারাপ। তখন সে আমাকে বলে, তার নাকি মেয়রের সঙ্গে কথা হয়েছে এই রাস্তা ঠিক করে দেবে। তারপর সে এখানে বাড়ি করবে।

 

প্রতিবেশিরা আরও জানান, পাবনায় তার তেমন আত্মীয়-স্বজন নেই। এজন্য আসার পর পাবনা শহরের আবাসিক হোটেলে ছিলেন। পাবনার বাড়িতে ১০ তলা করে সেখানে থাকবেন বলেছিলেন।

 

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ইতোমধ্যে মিয়া আরেফী নামে এই ব্যক্তি ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পরে জানানো হবে।

 

প্রসঙ্গত, রাজধানীতে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের পর শনিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্যক্তিকে দেখা যায়। নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে তিনি নিজেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

 

এ সময় তার সঙ্গে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। ওই ব্যক্তির সেই ভিডিও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। রোববার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়।